ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বানারীপাড়ায় জামায়াত নেতা মিঠু’র উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উল্লাপাড়া উপজেলাবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছে আজাদ হোসেন। পাবনার ফরিদপুরে ডেমরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জুয়েল রানার ঈদ উপহার রাজশাহীতে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ  ঈদুল আজহা সামনে রেখে হোসেনপুরের হারেঞ্জা বাজারে পশুর হাটে জমজমাট বেচাকেনা রাজশাহী মহানগরীর সিটিহাটে দুইজন ছিনতাইকারী গ্রেফতার সিপিএসসি, র‌্যাব-১৪,ও সিপিসি-১, র‍্যাব- ১১, এর যৌথ অভিযানে কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার ০১ মহানগরীর পশুর হাট পরিদর্শন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার পর্ণোগ্রাফি মামলার আসামী জুবায়ের রাজধানীর লালবাগ এলাকায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। মাধবপুরে সোনাই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার

কালীগঞ্জ কাঁপাচ্ছে নিগ্রো ঈদে সাড়ে ৮ লাখ টাকার ষাড় দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে

কালীগঞ্জ কাঁপাচ্ছে নিগ্রো ঈদে সাড়ে ৮ লাখ টাকার ষাড় দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে


তৈয়বুর রহমান (কালীগঞ্জ) গাজীপুর : 
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি বিশাল আকৃতির ষাড়, নাম তার ‘নিগ্রো’। উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের জুয়েল আকন্দের (৩২) শখের বশে লালন-পালন করা এই বিরল দৃষ্টিনন্দন ষাড়টির ওজন প্রায় ১১৫০ কেজি। জুয়েলের নিজ বাড়িতে ষাড়টি বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও এর চাহিদা ও কৌতূহল এখন ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দূরান্তে।

জুয়েল আকন্দ জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের নাওয়ানের মোড় থেকে মাত্র দুই দাঁতের অবস্থায় কালো রঙের ষাড়টি কেনেন। এরপর থেকেই নিখাদ প্রাকৃতিক খাদ্য ও যতেœ তিনি গড়ে তুলেছেন ‘নিগ্রো’কে। কোনো স্টেরয়েড বা কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই ঘাস, ভুসি, ছোলা, গাজর, কলাই, খাঁটি তেল ও দানাদার খাবারে বড় হয়েছে ষাড়টি। দিনে দুইবার গোসল আর পর্যাপ্ত চলাফেরার সুযোগে নিগ্রো এখন একেবারে স্বাস্থ্যবান এবং ঝলমলে চেহারার একটি ষাড়।

“নিগ্রো নামটি আমি দেইনি,” বলেন জুয়েল। “কালো জিভ আর কুচকুচে কালো গায়ের রঙ দেখে আগেই লোকজন এ নাম দিয়েছিল। সেই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।”

এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন নিগ্রোকে একনজর দেখতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ করছেন ফেসবুক লাইভ। এমন উৎসাহ অনেকটাই মেলা মেলার পরিবেশ তৈরি করেছে জুয়েলের বাড়িতে।

মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা, তবে স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীদের মতে নিগ্রোর প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হতে পারতো। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে দাম বলছেন, কেউ আবার বুকিং দিতে চাইছেন, কিন্তু এখনো কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় জুয়েল ষাড়টি ছাড়েননি।

“শখের বসে লালন করেছি, তাই হেলায় ছাড়তে চাই না। তবে কেউ সঠিক মূল্য দিলে নিগ্রোর রশি তার হাতেই তুলে দেব,” বলেন জুয়েল।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এটি শুধু একটি ষাড় নয়, এটি খৈকড়া গ্রামের গর্ব। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত এই ষাড় যেন সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল প্রতীক।

জুয়েলের প্রতিবেশিরা জানান, “এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রতিবছর যেমন লক্ষ লক্ষ পশু প্রস্তুত হয়, তেমনি বিরল আকৃতির পশুরাও হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু। এবারের ঈদে কালীগঞ্জে নিগ্রো যেন সবার আগ্রহ ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। এটি বিক্রি হবে কি না, হবে তো কত দামে, তা সময়ই বলবে। তবে নিঃসন্দেহে, কালীগঞ্জের ঈদ উদযাপন নিগ্রোকে ঘিরেই এবার এক নতুন রঙে রাঙা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় জামায়াত নেতা মিঠু’র উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

কালীগঞ্জ কাঁপাচ্ছে নিগ্রো ঈদে সাড়ে ৮ লাখ টাকার ষাড় দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে

আপডেট সময় ০৭:২১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫


তৈয়বুর রহমান (কালীগঞ্জ) গাজীপুর : 
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি বিশাল আকৃতির ষাড়, নাম তার ‘নিগ্রো’। উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের জুয়েল আকন্দের (৩২) শখের বশে লালন-পালন করা এই বিরল দৃষ্টিনন্দন ষাড়টির ওজন প্রায় ১১৫০ কেজি। জুয়েলের নিজ বাড়িতে ষাড়টি বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও এর চাহিদা ও কৌতূহল এখন ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দূরান্তে।

জুয়েল আকন্দ জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের নাওয়ানের মোড় থেকে মাত্র দুই দাঁতের অবস্থায় কালো রঙের ষাড়টি কেনেন। এরপর থেকেই নিখাদ প্রাকৃতিক খাদ্য ও যতেœ তিনি গড়ে তুলেছেন ‘নিগ্রো’কে। কোনো স্টেরয়েড বা কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই ঘাস, ভুসি, ছোলা, গাজর, কলাই, খাঁটি তেল ও দানাদার খাবারে বড় হয়েছে ষাড়টি। দিনে দুইবার গোসল আর পর্যাপ্ত চলাফেরার সুযোগে নিগ্রো এখন একেবারে স্বাস্থ্যবান এবং ঝলমলে চেহারার একটি ষাড়।

“নিগ্রো নামটি আমি দেইনি,” বলেন জুয়েল। “কালো জিভ আর কুচকুচে কালো গায়ের রঙ দেখে আগেই লোকজন এ নাম দিয়েছিল। সেই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।”

এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন নিগ্রোকে একনজর দেখতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ করছেন ফেসবুক লাইভ। এমন উৎসাহ অনেকটাই মেলা মেলার পরিবেশ তৈরি করেছে জুয়েলের বাড়িতে।

মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা, তবে স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীদের মতে নিগ্রোর প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হতে পারতো। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে দাম বলছেন, কেউ আবার বুকিং দিতে চাইছেন, কিন্তু এখনো কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় জুয়েল ষাড়টি ছাড়েননি।

“শখের বসে লালন করেছি, তাই হেলায় ছাড়তে চাই না। তবে কেউ সঠিক মূল্য দিলে নিগ্রোর রশি তার হাতেই তুলে দেব,” বলেন জুয়েল।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এটি শুধু একটি ষাড় নয়, এটি খৈকড়া গ্রামের গর্ব। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত এই ষাড় যেন সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল প্রতীক।

জুয়েলের প্রতিবেশিরা জানান, “এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রতিবছর যেমন লক্ষ লক্ষ পশু প্রস্তুত হয়, তেমনি বিরল আকৃতির পশুরাও হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু। এবারের ঈদে কালীগঞ্জে নিগ্রো যেন সবার আগ্রহ ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। এটি বিক্রি হবে কি না, হবে তো কত দামে, তা সময়ই বলবে। তবে নিঃসন্দেহে, কালীগঞ্জের ঈদ উদযাপন নিগ্রোকে ঘিরেই এবার এক নতুন রঙে রাঙা হয়েছে।