মোঃ মিনহাজুল ইসলাম সুজন, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি। বরিশাল বাকেরগঞ্জের ভরপাশা ইউনিয়ন বিএনপি’র মধ্যের অনুপ্রবেশকারীদের উৎপাত বেড়েই চলছে। এতে হামলা-মামলার ঘটনার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
অনেকগুলো ঘটনার মধ্যে এধরণের একটি ঘটনায় সোমবার(২৬ মে) বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র মধ্যের অনুপ্রবেশকারী কৃষ্ণকাঠী গ্রামের শাহআলম ডাক্তার (৫৫) এবং তার দুই পুত্র ইব্রাহীম ডাক্তার (২৫) ও আরিফ হাওলাদার (২২), ছালাম হাওলাদারের পুত্র কামাল হাওলাদার, বারেক হাওলাদারের পুত্র আদম আলী হাওলাদার, আবুল হাওলাদারের পুত্র জসিম হাওলাদার বহিরাগত সন্ত্রাসী বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের রুনসীর বাসীন্দা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত ৪০জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখিতদের মধ্যে শাহআলম ডাক্তার (৫৫) এবং তার দুই পুত্র ইব্রাহীম ডাক্তার (২৫) ও আরিফ হাওলাদার (২২), ছালাম হাওলাদারের পুত্র কামাল হাওলাদার, বারেক হাওলাদারের পুত্র আদম আলী হাওলাদার, আবুল হাওলাদারের পুত্র জসিম একটি ‘সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট’ তৈরি করেন। বিএনপি’তে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এই সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়। তারা ত্রাসের মাধ্যমে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বিভিন্নভাবে ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
বিএনপি’তে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তৈরি এই সিন্ডিকেটের ধারাবাহিক অপকর্মের অংশ হিসেবে সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০টার দিকে কৃষ্ণকাঠী নতুনবাজার এলাকায় লাঠি-সোটা, দা-রামদা নিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে একটি জঙ্গীমিছিল বের করে। এতে পুরো এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় শহিদ হাওলাদার, মোশারেফ হোসেন, ফারুক হোসেন, রহমান খান সহ অনেকেই জানান- ‘কৃষ্ণকাঠী নতুনবাজার এলাকায় লাঠি-সোটা, দা-রামদা নিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে জঙ্গীমিছিল বের করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বিএনপি নেতা দুলাল হাওলাদার ও তার ভাতিজা অপু হাওলাদার কে হত্যা করতে চেয়েছিলো অনুপ্রবেশকারী সিন্ডিকেট।
তাদের দাবী- অপকর্মের প্রতিবাদ করায় এর আগে ওই দুজন কে হত্যার হুমকী দেওয়া হয়েছিলো। এছাড়া বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা শাহআলম ডাক্তার (৫৫) এবং তার দুই পুত্র ইব্রাহীম ডাক্তার (২৫) ও আরিফ হাওলাদার (২২), ছালাম হাওলাদারের পুত্র কামাল হাওলাদার, বারেক হাওলাদারের পুত্র আদম আলী হাওলাদার, ও আবুল হাওলাদারের পুত্র জসিম ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা দুলাল হাওলাদার এবং তার ভাতিজা অপু হাওলাদারের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এছাড়া, বিএনপিদলীয় এই নির্যাতিত পরিবারের অপু হাওলাদারের নিকট থেকে ১ লাখ টাকা ছিনতাই করে ‘অনুপ্রবেশকারী সিন্ডিকেট’।
এবিষয়ে ভরপাশা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোঃ শামিম খান বলেন ‘সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। ঘটনার তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি’।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন- ‘অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে