ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রকৃতি মানুষ আর সংস্কৃতির গল্পে ‘দৃষ্টিনন্দন কালীগঞ্জ’      কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন বদরগঞ্জে রাস্তায় ভারি যানবাহন না চালানোর অনুরোধ করায় প্রভাবশালী কর্তৃক বাড়িঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করার প্রধান আসামী স্বামী সুমন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ফরিদগঞ্জে বাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার এরা বনানী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী-চাঁদাবাজ ‎সাহেবের চর গ্রাম সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা। চকনিহাল জামতলা বায়তুল ফালাহ্ নবনির্মিত মসজিদের শুভ উদ্বোধন  রাণীশংকৈলে যৌতুকের টাকায় প্রাইভেট কার ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে দোকান ভাঙচুর আহত-৪  খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

গবেষণা জালিয়াতির বিষয়ে প্রশাসনের নীরবতার অভিযোগ রাবি অধ্যাপকের

গবেষণা জালিয়াতির বিষয়ে প্রশাসনের নীরবতার অভিযোগ রাবি অধ্যাপকের

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন ও ভ‚মি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গবেষণা প্রবন্ধ জালিয়াতির অভিযোগ আনেন তাঁরই সহকর্মী ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদুল ইসলাম।


এ নিয়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। 
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও জমা হয়নি প্রতিবেদন। ফলে প্রশাসনের এ নীরব ভ‚মিকার প্রতিবাদ জানিয়ে ফের সংবাদ সম্মেলন করেছেন অধ্যাপক মোরশেদুল। সোমবার (২৬ মে) বিকেলে অধ্যাপক সাহাল উদ্দিনের আটটি গবেষণা প্রকাশনার সবকটিতেই জালিয়াতির অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন অধ্যাপক মোরশেদুল।


এ বিষয়ে তিনি প্লেজারিজম চেকসংক্রান্ত প্রমাণপত্র হাজির করেন। 
ড. সাহাল আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে প্র্রেষণে কর্মরত আছেন এবং গত বছরের ১৭ নভেম্বর ওই বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি আইন বিভাগে অধ্যাপনা করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমি অধ্যাপক মো. সাহাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। তিনি সহকারী অধ্যাপক থাকাকালে তিনটি গবেষণা প্রকাশনা উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে দুটি প্রকাশনাতেই জালিয়াতির প্রমাণ রয়েছে। একটি প্রকাশনায় ৫৬% এবং অপরটিতে ৮৫% জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী গবেষণার গুণমান ও সততার পরিপন্থি।

তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক ও পরে অধ্যাপক পদে যেভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন, তা সম্পূর্ণভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত। সহকারী অধ্যাপক হওয়ার সময় তিনি যে তিনটি গবেষণা প্রকাশ করেন, তার মধ্যে দুটি প্রকাশনায় যথাক্রমে ৫৬% ও ৮৫% প্লেজারিজমের প্রমাণ পাওয়া যায়।

পরে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সময় তিনি ছয়টি গবেষণা প্রকাশ করেন, যার প্রতিটিতেই জালিয়াতি রয়েছে। এসব প্রকাশনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেজারিজম চেকিংয়ের পেইড সফটওয়্যারে বারবার যাচাই করে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার পর বিষয়টি ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে উলটো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিভাগের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়, যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারের ৬১, ৬২, ৬৩ ও ৬৪ ধারার সরাসরি লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীন দেশে এই ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকলে তাঁদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। জালিয়াতির বিষয়ে ভিসি স্যার বলেছেন এটা নমিনাল কেজ্। প্রকাশনা জালিয়াতি যদি তুচ্ছ বিষয় হয় তাহলে কেন প্রতিটা বিভাগে প্রথম বর্ষ থেকেই গবেষণা করানো হয়।

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৃতি মানুষ আর সংস্কৃতির গল্পে ‘দৃষ্টিনন্দন কালীগঞ্জ’     

গবেষণা জালিয়াতির বিষয়ে প্রশাসনের নীরবতার অভিযোগ রাবি অধ্যাপকের

আপডেট সময় ১১:৩১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন ও ভ‚মি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গবেষণা প্রবন্ধ জালিয়াতির অভিযোগ আনেন তাঁরই সহকর্মী ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদুল ইসলাম।


এ নিয়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। 
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও জমা হয়নি প্রতিবেদন। ফলে প্রশাসনের এ নীরব ভ‚মিকার প্রতিবাদ জানিয়ে ফের সংবাদ সম্মেলন করেছেন অধ্যাপক মোরশেদুল। সোমবার (২৬ মে) বিকেলে অধ্যাপক সাহাল উদ্দিনের আটটি গবেষণা প্রকাশনার সবকটিতেই জালিয়াতির অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন অধ্যাপক মোরশেদুল।


এ বিষয়ে তিনি প্লেজারিজম চেকসংক্রান্ত প্রমাণপত্র হাজির করেন। 
ড. সাহাল আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে প্র্রেষণে কর্মরত আছেন এবং গত বছরের ১৭ নভেম্বর ওই বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি আইন বিভাগে অধ্যাপনা করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমি অধ্যাপক মো. সাহাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। তিনি সহকারী অধ্যাপক থাকাকালে তিনটি গবেষণা প্রকাশনা উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে দুটি প্রকাশনাতেই জালিয়াতির প্রমাণ রয়েছে। একটি প্রকাশনায় ৫৬% এবং অপরটিতে ৮৫% জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী গবেষণার গুণমান ও সততার পরিপন্থি।

তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক ও পরে অধ্যাপক পদে যেভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন, তা সম্পূর্ণভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত। সহকারী অধ্যাপক হওয়ার সময় তিনি যে তিনটি গবেষণা প্রকাশ করেন, তার মধ্যে দুটি প্রকাশনায় যথাক্রমে ৫৬% ও ৮৫% প্লেজারিজমের প্রমাণ পাওয়া যায়।

পরে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সময় তিনি ছয়টি গবেষণা প্রকাশ করেন, যার প্রতিটিতেই জালিয়াতি রয়েছে। এসব প্রকাশনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেজারিজম চেকিংয়ের পেইড সফটওয়্যারে বারবার যাচাই করে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার পর বিষয়টি ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে উলটো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিভাগের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়, যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারের ৬১, ৬২, ৬৩ ও ৬৪ ধারার সরাসরি লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীন দেশে এই ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকলে তাঁদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। জালিয়াতির বিষয়ে ভিসি স্যার বলেছেন এটা নমিনাল কেজ্। প্রকাশনা জালিয়াতি যদি তুচ্ছ বিষয় হয় তাহলে কেন প্রতিটা বিভাগে প্রথম বর্ষ থেকেই গবেষণা করানো হয়।