ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পদ স্থগিত হিমাগারে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়কে আলু ফেলে অবরোধ ভূঞাপুরে হতদরিদ্রদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ তানোরে পোস্ট অফিসে জমানো টাকা আত্মসাৎ গ্রাহকদের মানববন্ধন মুলাদী পৌরসভার আলাউদ্দিন হাওলাদার সড়কটি ব্যাবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে    মাধবপুরে পুলিশের হাতে বিদেশি মদসহ ১ জন গ্রেফতার  সিরাজদিখান-কেরানীগঞ্জে অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর প্রতিরোধ এবং ড্রেজার ভাঙচুর অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। চাঁদাবাজি মামলার আসামী তাইজুল কেরাণীগঞ্জ হতে র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। সাংবাদিককে যারা শত্রু ভাবে, তারা দেশের শত্রু : মোমিন মেহেদী

বড়াইগ্রামে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

বড়াইগ্রামে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি, নাটোর। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় নিম্নমানের ইট দিয়ে এক কিলোমিটার হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি। এতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের ভেতরে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ‘শিবপুর পদ্মবিলের কাছে কচুয়া ব্রিজ অভিমুখে এবং শিবপুর সোহেলের বাড়ির কাছে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) রাস্তার মাথা থেকে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক এইচবিবি করণ’ কাজ চলছে।

গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে এইচবিবি ২য় পর্যায়ের আওতায় মোট ৮০ লাখ ৫৭৯ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ শুভ সড়কটি নির্মাণ করছেন। কিন্তু শিডিউলে এক নম্বর ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও শুরু থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের তিন নম্বর ইট দিয়ে সড়কের কাজ করছেন।

এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দেওয়া হয়েছে। সড়কটিতে কর্মরত ঠিকাদারের লোকজনকে স্থানীয়রা বারবার এ বিষয়টি জানালেও তারা কর্ণপাত করছেন না। এমনকি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কে ব্যবহার করা ইটগুলোর ৭৫ ভাগই মিঠা বা তিন নম্বর ইট। সাধারণ সাইকেল বা ভ্যানের চাপেই এসব ইট ভেঙে যাচ্ছে। ইটের নিচে তিন ইঞ্চি পরিমাণে বালু দেওয়ার কথা থাকলেও কোথাও এক ইঞ্চি কোথাও দুই ইঞ্চি বালু দেওয়া হয়েছে।

এ সময় সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, তাদের ঠিকাদার যা দিয়েছেন, তারা তা দিয়েই কাজ করছেন। তারা বলেন, আমাদের এখানে কিছু করার নেই। শিবপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ও আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, সড়কে ব্যবহার করা ইটগুলো একেবারেই নিম্নমানের। শতকরা ২০ ভাগ ইটও ভাল নেই। এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দিচ্ছে। আমরা আপত্তি করলেও ঠিকাদার বা তার লোকজন কর্ণপাত করছে না।

ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. মামুন জানান, ইটের মান খারাপ না, কিছু লোক এমনিতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এ ব্যাপারে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ শুভর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. এমদাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, তিনি নিজে গিয়ে ঠিকাদারকে নিষেধ করেছেন এবং ভালো মানের ইট দিতে বলেছেন। তারপরও যদি খারাপ ইট দেয় তাহলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানতে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি মোবাইল ফোনও রিসিভ করেননি।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পদ স্থগিত

বড়াইগ্রামে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি, নাটোর। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় নিম্নমানের ইট দিয়ে এক কিলোমিটার হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি। এতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের ভেতরে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ‘শিবপুর পদ্মবিলের কাছে কচুয়া ব্রিজ অভিমুখে এবং শিবপুর সোহেলের বাড়ির কাছে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) রাস্তার মাথা থেকে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক এইচবিবি করণ’ কাজ চলছে।

গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে এইচবিবি ২য় পর্যায়ের আওতায় মোট ৮০ লাখ ৫৭৯ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ শুভ সড়কটি নির্মাণ করছেন। কিন্তু শিডিউলে এক নম্বর ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও শুরু থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের তিন নম্বর ইট দিয়ে সড়কের কাজ করছেন।

এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দেওয়া হয়েছে। সড়কটিতে কর্মরত ঠিকাদারের লোকজনকে স্থানীয়রা বারবার এ বিষয়টি জানালেও তারা কর্ণপাত করছেন না। এমনকি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কে ব্যবহার করা ইটগুলোর ৭৫ ভাগই মিঠা বা তিন নম্বর ইট। সাধারণ সাইকেল বা ভ্যানের চাপেই এসব ইট ভেঙে যাচ্ছে। ইটের নিচে তিন ইঞ্চি পরিমাণে বালু দেওয়ার কথা থাকলেও কোথাও এক ইঞ্চি কোথাও দুই ইঞ্চি বালু দেওয়া হয়েছে।

এ সময় সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, তাদের ঠিকাদার যা দিয়েছেন, তারা তা দিয়েই কাজ করছেন। তারা বলেন, আমাদের এখানে কিছু করার নেই। শিবপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ও আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, সড়কে ব্যবহার করা ইটগুলো একেবারেই নিম্নমানের। শতকরা ২০ ভাগ ইটও ভাল নেই। এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দিচ্ছে। আমরা আপত্তি করলেও ঠিকাদার বা তার লোকজন কর্ণপাত করছে না।

ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. মামুন জানান, ইটের মান খারাপ না, কিছু লোক এমনিতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এ ব্যাপারে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ শুভর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. এমদাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, তিনি নিজে গিয়ে ঠিকাদারকে নিষেধ করেছেন এবং ভালো মানের ইট দিতে বলেছেন। তারপরও যদি খারাপ ইট দেয় তাহলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানতে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি মোবাইল ফোনও রিসিভ করেননি।