রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি। রংপুরের বদরগঞ্জ সরকারি চাউল রাতের অন্ধকারে পাচারের উদ্দেশ্য পাওয়ারট্রলিতে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে এলাকাবাসী।
গত (২০মে) রাত ১০টায় মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘর বকুলতলা এলাকায় ব্যবসায়ী বাপ্পি সাহা নামের এক গোডাউন ঘরের সামনে ট্রলিতে থাকা ১৫৬ বস্তা সরকারি সিল যুক্ত চাউল আটক করা হয়। এ ঘটনায় মুঠোফোনে সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল যান।
পরে চাউল ভর্তি ট্রলিটি ঐ ব্যাবসায়ী ঘরের সামনে থেকে উদ্ধার করে ইউএনও বাসভবনে একটি গ্যারেজে নিয়ে রাখা হয়।পরের দিন ১৮৩ বস্তা চাউল এল এস ডি গোডাউনে জমা রাখার নির্দেশ দেন ইউএনও। সাংবাদিকের এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফুড অফিসার।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ব্যবসায়ী বাপ্পি সাহা রাতের আঁধারে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের চাউল গুলো তার নিজের গোডাউনে রাখার জন্য নিয়ে আসে। এলাকাবাসীরা সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের চাউলের বস্তা দেখে আটক করে দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান তারা। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান এসে চাউল গুলো জব্দ করে নিয়ে যান।
এলাকাবাসীরা আরো জানান, বদরগঞ্জ উপজেলার যেকোনো একটি ইউনিয়নের এই চাউলগুলো। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে দোস্ত মাতার চাউল বিতরণ করা হচ্ছে। গরীব দুঃখীদের সেই চাউল বিতরণ না করে বাপ্পি সাহার কাছে বিক্রি করে দেন। সেই চালগুলোন এই ট্রলিতে আটক করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চাউল ব্যবসায়ী বাপ্পি সাহা মুঠোফোনে বলেন, সরকারি চাউলগুলো বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কিনে নিয়েছি। আমি ফুলবাড়িতে মুড়ির মিলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার গোডাউনে ট্রলি পাঠিয়েছি। এলাকাবাসীর লোকজন ভুল বুঝে আমার চাউল গুলো আটক করেছে।
এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ উপজেলা ফুড অফিসারের বিপ্লব কুমার সিং এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাউল গুলো ইউএনও স্যারের হুকুমে বর্তমানে এলএসডি গোডাউনে আছে। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে ১৫৬ বস্তা জনতার হাতে আটক হওয়া চাউল গুলোর উদ্ধার করে এল এস ডি গোডাউনে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেল চারটায় আরো ২৭ বস্তা চাল গোডাউন থেকে উদ্ধার করে মোট ১৮৩ বস্তা চাউল এল এসডি জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত জন্য ফুটো অফিসার কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।