ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অর্গেনাইজেশন অব দি রিকগনিশন বাংলা কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ​মাদকের একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফারুক র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। তানোরের তালন্দ ডিগ্রী কলেজে অচলাবস্থা দায় কার ? খোকসায় পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক ৭ আসামি গ্রেফতার নওগাঁর পোরশায় ডালিম নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্য জনক মৃত্যু  অসাম্প্রদায়িক ও যুক্তিবাদী কথাশিল্পী শওকত ওসমানের প্রয়াণ দিবস আজ  নওগাঁর মান্দায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামীলীগের সহযোগী ৪ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার  নওগাঁর নিয়ামতপুর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ নওগাঁ সাংবাদিকদের হয়রানী সংবাদের প্রতিবাদে হাপানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রাজার সংবাদ সম্মেলন করেন  নওগাঁ থেকে র মহাদেবপুরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় উল্লাসে ছাত্র-জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ

নওগাঁর নিয়ামতপুর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

নওগাঁর নিয়ামতপুর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

 

 
উজ্জ্বল কুমার প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণা করায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে নিয়ামতপুর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিয়ামতপুর উপজেলায় টপ আফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে ।
জানা গেছে, গত ৯ মে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোপাল চক হটাতপাড়া এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগমের (২৮) রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের মালিক প্রথমে জানায়, তার পেটের শিশুটি মারা গেছে এবং দ্রুত সিজার অপারেশন করার পরামর্শ দেয়।
তাড়াহুড়ো করে অপারেশন করার জন্য অনুমতি দেন প্রসূতির বাবা-মা।
এ সময় ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন ৫ টার দিকে অপারেশন শুরু করেন। অপারেশনের পর নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে একটি কার্টুনে ভরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেন। রাত ৮ টার দিকে মৃত নবজাতক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু, দাফনের প্রস্তুতির সময় পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে নবজাতক নড়াচড়া করছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান যে শিশুটির প্রাণ আছে। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমা বেগম বলেন, ‘ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের তাড়াহুড়ার কারণে অপারেশন করা হয়েছিল। শিশুটি মারা গেছে বলে আমাদের জানানো হয়। কিন্তু দাফন করতে গিয়ে শিশুটি নড়ে ওঠে। আমরা খুব অসহায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল নাহিদ বলেন, ‘এ ধরনের অপারেশন ক্লিনিকে করা ঠিক হয়নি। । এ বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুর্শিদা খাতুন বলেন, ‘যদি অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নবজাতককে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্গেনাইজেশন অব দি রিকগনিশন বাংলা কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁর নিয়ামতপুর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

 
উজ্জ্বল কুমার প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণা করায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে নিয়ামতপুর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিয়ামতপুর উপজেলায় টপ আফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে ।
জানা গেছে, গত ৯ মে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোপাল চক হটাতপাড়া এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগমের (২৮) রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের মালিক প্রথমে জানায়, তার পেটের শিশুটি মারা গেছে এবং দ্রুত সিজার অপারেশন করার পরামর্শ দেয়।
তাড়াহুড়ো করে অপারেশন করার জন্য অনুমতি দেন প্রসূতির বাবা-মা।
এ সময় ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন ৫ টার দিকে অপারেশন শুরু করেন। অপারেশনের পর নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে একটি কার্টুনে ভরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেন। রাত ৮ টার দিকে মৃত নবজাতক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু, দাফনের প্রস্তুতির সময় পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে নবজাতক নড়াচড়া করছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান যে শিশুটির প্রাণ আছে। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমা বেগম বলেন, ‘ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের তাড়াহুড়ার কারণে অপারেশন করা হয়েছিল। শিশুটি মারা গেছে বলে আমাদের জানানো হয়। কিন্তু দাফন করতে গিয়ে শিশুটি নড়ে ওঠে। আমরা খুব অসহায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল নাহিদ বলেন, ‘এ ধরনের অপারেশন ক্লিনিকে করা ঠিক হয়নি। । এ বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুর্শিদা খাতুন বলেন, ‘যদি অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নবজাতককে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।’