মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালী পৌর শহরে অবস্থিত জনসেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তিকৃত রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পটুয়াখালী সদর থানা এবং সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ই মে (রবিবার) গভীর রাতে শহরে বিদ্যুৎ না থাকায় পটুয়াখালী জনসেবা হাসপাতালে ভর্তিকৃত ভুক্তভোগী মোঃ জহিরুল ইসলাম এর স্ত্রী ও নবজাতক সন্তান গরমে অসুস্থ হয়ে পরে। এ সময় ভুক্তভোগী কর্তৃপক্ষকে জেনারেটর চালু করতে বলে কিন্তু তারা কর্ণপাত না করায় ভুক্তভোগী তার মুঠোফোনে বিদ্যুৎ না থাকার ভিডিও ধারণ করে। এই ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগীর উপর ভোর ৬টায় এবং বেলা ১১টায় ২ দফায় হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হামলা ও মারধর করে। এ সময়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা ৯০০০ টাকা হামলাকারীরা নিয়ে যায় এবং তার পরিহিত শার্ট ছিড়ে ফেলে।
আরো জানা যায়, হামলা ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পর ভুক্তভোগী মোঃ জহিরুল ইসলাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ওই হাসপাতালের ডাঃ মোঃ এসএম কবির হাসানকে ঘটনার ব্যাপারে অবহিত করলে তারা ওই ঘটনার বিচারের জন্য ভুক্তভোগীকে আশ্বস্ত করেন। ১৯ মে বিকালে রোগীকে রিলিজ করে দিলেও কর্তৃপক্ষ হামলার ঘটনার বিচারের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এ ব্যাপারে ডাঃ মোঃ কবির হাসান বলেন, ভর্তৃকৃত রোগী সাদিয়া আমার পেসেন্ট। রোগী স্বামীর সাথে কর্মচারীদের একটি ঝামেলা হয়েছে আমি শুনেছি তবে আমার কিছুই করার নেই। এগুলো হাসপাতাল মালিক কর্তৃপক্ষ দেখবে। আমি তাদের শুধুই চিকিৎসা দিয়েছি।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জনসেবা হাসপাতালে রোগীর স্বজনের উপর হামলার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মোঃ খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, একটি অভিযোগের চিঠি আমি পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।