আশিকুর রহমান শান্ত ভোলা প্রতিনিধিঃ যৌতুক দিতে না পারায় দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার উম্মে হাবিবা (২২) নামের এক গৃহবধূ। ভোলা পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর কাঠালী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সালাউদ্দিন এর যৌতুকলোভী ছেলে মোঃ কামরুল হাসান (৩০), শাশুড়ি বিউটি বেগম (৬০), শশুর সালাউদ্দিন (৬৮), ননদ সিমা বেগম (৩৫) দের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে অবশেষে ন্যায়বিচারের আশায় আইনের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।
এই ঘটনাকে, কেন্দ্র করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কানাইনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ছিদ্দিক ওরফে বাহার এর মেয়ের সাথে পৌর কাঠালীর কামরুল এর ৩ বৎসর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত ও রেজিঃ কাবিনমূলে বিবাহ হয়।
বিবাহিত সংসার জীবনে কারিমা হাসান নামের ১৫ মাস বয়সের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিবাহের কিছু দিন পর হইতে কামরুল হাবিবা কে ঠিকমতো ভরণপোষণ দেয় না। কামরুল তার বাবা, মা ও বোনের প্ররোচনা ও কুপরামর্শে যৌতুকের দাবীতে হাবিবার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে। তাকে কারনে অকারনে মারধর করে। বিবাহের সময় হাবিবা কামরুল কে ১ ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের ৩টি আংটি ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন মালামাল যৌতুক হিসাবে দেয়। কামরুল পূর্ণরায় তার পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনায় ও কুপরামর্শে যৌতুকের দাবীতে হাবিবাকে নানান প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে।
হাবিবা তার মেয়েদের ভবিষ্যতের কথ্য চিন্তা করে স্বামীর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করে আসিতেছে। গত ১৫ মে বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় তাদের বসত বাড়ীতে বসিয়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া কামরুল অন্যান্যদের কুপরামর্শে স্ত্রী কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে কামরুল তাকে এলোপাথারী কিল ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। তাহার হাতে থাকা কাঠের চেড়া দিয়া হাবিবা কে এলোপাথারী মারধর করে। তার ডাকচিৎকারে হাবিবাকে রক্ষা করার জন্য আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে কামরুল হাবিবা কে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকী প্রদান করে মেয়ে কে রাখিয়া তাকে কে ঘর হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় হাবিবা তার মেয়েকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ বলেন, বাচ্চা আটকে রাখার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে বাচ্চাটি উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিউটি বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন।