দেলোয়ার হোসেন সোহেল তানোর থেকে : রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ অপারেটরের বিরুদ্ধে বোরো জমিতে সেচ (পানি) না দিয়ে ধান মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির গাংঘাটি আমিরপুর গ্রামের জমির মাঠে।
এঘটনায়, (১৪ই মে) বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী কৃষক কামারগাঁ ইউপির আমিরপুর গ্রামের মৃত যোতিন্দ্রনাথ প্রামানিকের পুত্র খগেন প্রামানিক বাদি হয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অপারেটর ডাংহাটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের গনেশ মন্ডলের পুত্র খোকন মন্ডলের বিরুদ্ধে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কামারগাঁ ইউপির আমিরপুর মৌজায় জে-এল নং ২০৭, গভীর নলকূপের আওতায় ভুক্তভোগী কৃষক ১ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন। ১ বিঘা জমির জন্য তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়েছেন অপারেটর। সেচ চার্জ বেশী নেয়া হচ্ছে এমন কথা বলার কারনে অপারেটর ভুক্তভোগী ওই কৃষকের জমিতে গত ১৫ দিন ধরে সেচ (পানি) দিচ্ছেন না। ফলে, ফেটে গেছে জমি মরে গেছে জমির ধান।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন ওই জমিতে গিয়ে দেয়া গেছে, সেচ (পানি) না দেয়ায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে একই সাথে ধানের গাছের (গোড়া থেকে আগা) পাতা পর্যন্ত মরে পাওয়ার পাশাপাশি পাতা লাল রং ধারন করেছে। ফলে, ওই ধান গুলো আর হবে না, (অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শীষ বের হতো)। পার্শ্বের সব গুলো জমিতে পানি রয়েছে সেই ধান গুলোর শীষ বের হতে শুরু করেছে। কিন্তু পানি সেচ না দেয়ায় বর্গাচাষী অসহায় কৃষক খগেনের জমির দান গুলো আর হবে না। ফলে, কৃষক খগেনের প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শি এলাকার কৃষকরা বলেন, অপারেটরের চাহিদামত টাকা দেয়ার বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই সেচ ( পানি) না দিয়ে জমির ফসল নষ্ট করে দেন অপারেটর খোকন। অপারেটর এমন ঘটনা বেশ কয়েকজনের সাথে ঘটিয়েছেন বলেও নাম প্রকাশ না করার সর্তে জানান এলাকার কৃষকরা।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অপারেটর খগেন মন্ডল বলেন, খোকনের কাছে আলু চাষের সময়ের টাকা পাওয়া যাবে, সেই টাকা না দেয়ায় তার জমিতে (পানি) সেচ দেয়া বন্ধ করা হয়েছে বরে জানান তিনি।
তবে, ভুক্তভোগী কৃষক খোকন বলেন, আমার কাছে কোন টাকা পাবে না, আমি বোরো চাষের সেচ চার্জ বেশী হচ্ছে শুধু মাত্র এমন কথা বলার কারনে হঠাৎ করে আমার জমিতে সেচ পানি দেয়া বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার জমিতে সেচ পানি না দেয়ায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে, মরে গেছে জমির ধান। ফলে, তার প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমান বলেন, বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।