ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তানোরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ গৌরীপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি রফিকুল, সম্পাদক মানিক বাগেরহাটে ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে পানি-স্যালাইন বিতরণ  রাবি শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ ভারতের পেট্টাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত   শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ৬০ বোতল ভারতীয় মদসহ পিকআপ আটক অনলাইন মিডিয়া ‘আলোকিত নন্দিরগাঁও ডটকম’র ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি সংখ্যায় লেখা আহবান  হত্যা মামলার আসামী রাতুল কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কালিহাতীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে প্রশান্তির হাসি বিপুল পরিমাণে গাঁজাসহ ০৪ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

কটিয়াদীতে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে বৈশাখী মেলা শুরু

কটিয়াদীতে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে বৈশাখী মেলা শুরু

 

এম এ কুদ্দুছ, প্রতিনিধি , কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে অস্কার বিজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে আজ বুধবার (১৩ মে) থেকে তিনদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, প্রায় ২০০ বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায়চৌধুরী কালভৈরব পূজা উপলক্ষে এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। এরপর থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এ মেলা বসে। বর্তমানে কালভৈরব পূজা না হলেও বন্ধ হয়নি মেলা। সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি এলাকায় ‘রায়’ বাড়ি নামেই পরিচিত। রায় বাড়ির সামনের খোলা মাঠ ও পুকুরের আশেপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে বসে এ মেলা।

জানা যায়, এ রায় বাড়িতেই ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী। ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা বিশিষ্ট ছড়াকার সুকুমার রায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির আগেই উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান। কারুকার্যখচিত ভগ্নপ্রায় প্রাচীন দালান পরিবেষ্টিত বিশলায়তনের রায় বাড়িটি বর্তমানে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত¡াবধানে রয়েছে।

আয়োজকরা জানান, মেলায় রয়েছে রকমারি পণ্যের কয়েকশ স্টল। এসব স্টলে রয়েছে কাঠের আসবাবপত্র, গৃহস্থলি নানা সামগ্রী, খেলনা, মিষ্টান্নদ্রব্য, প্রসাধনীসহ নানা ধরনের পণ্য। এছাড়া রয়েছে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ নানা আয়োজনও।

স্থানীয় বাসিন্দা সমাজকর্মী মানিক ভট্রাচায জানান- মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কবি, সাহিত্যিক ও বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় বসবে গান ও কবিতা পাঠের আসর।

মেলা কমিটির সভাপতি গোলাপ মিয়া জানান, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা এখন এই অঞ্চলের স¤প্রীতির প্রতীক। মেলাকে ঘিরে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।


কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ ইনচাজ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, 
গ্রাম-বাংলার লোকজ সংস্কৃতি হলো মেলা। মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য বছরের ন্যায়ই থাকবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ

কটিয়াদীতে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে বৈশাখী মেলা শুরু

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

এম এ কুদ্দুছ, প্রতিনিধি , কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে অস্কার বিজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে আজ বুধবার (১৩ মে) থেকে তিনদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, প্রায় ২০০ বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায়চৌধুরী কালভৈরব পূজা উপলক্ষে এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। এরপর থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এ মেলা বসে। বর্তমানে কালভৈরব পূজা না হলেও বন্ধ হয়নি মেলা। সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি এলাকায় ‘রায়’ বাড়ি নামেই পরিচিত। রায় বাড়ির সামনের খোলা মাঠ ও পুকুরের আশেপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে বসে এ মেলা।

জানা যায়, এ রায় বাড়িতেই ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী। ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা বিশিষ্ট ছড়াকার সুকুমার রায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির আগেই উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান। কারুকার্যখচিত ভগ্নপ্রায় প্রাচীন দালান পরিবেষ্টিত বিশলায়তনের রায় বাড়িটি বর্তমানে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত¡াবধানে রয়েছে।

আয়োজকরা জানান, মেলায় রয়েছে রকমারি পণ্যের কয়েকশ স্টল। এসব স্টলে রয়েছে কাঠের আসবাবপত্র, গৃহস্থলি নানা সামগ্রী, খেলনা, মিষ্টান্নদ্রব্য, প্রসাধনীসহ নানা ধরনের পণ্য। এছাড়া রয়েছে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ নানা আয়োজনও।

স্থানীয় বাসিন্দা সমাজকর্মী মানিক ভট্রাচায জানান- মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কবি, সাহিত্যিক ও বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় বসবে গান ও কবিতা পাঠের আসর।

মেলা কমিটির সভাপতি গোলাপ মিয়া জানান, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা এখন এই অঞ্চলের স¤প্রীতির প্রতীক। মেলাকে ঘিরে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।


কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ ইনচাজ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, 
গ্রাম-বাংলার লোকজ সংস্কৃতি হলো মেলা। মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য বছরের ন্যায়ই থাকবে।