ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বেলকুচি-চৌহালীর পরিবেশ রক্ষা ও নদীভাঙন রোধে উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন এনসিপি নেতা মাহিন সরকার নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রায় ১ কোটি ১১লক্ষ টাকার নিমার্ণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ  কয়রায় নিঃসঙ্গ ব্যবসায়ীর বাড়ীতে দুস্কৃতিকারীদের হানা, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট ময়মনসিংহে- নিখোঁজের দু-দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার ছাত্রলীগের খোলস বদলে এখন জামাত কর্মী  গোপালগঞ্জে বিয়ের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুট” স্ত্রী ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। মহামারীর মতো ধেয়ে আসছে উষ্ণ তাপ প্রবাহ নাটক করছে বিএনপি ধরাছোঁয়ার বাহিরে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা গৌরীপুরে প্রায় ৩৮মাস পরে স্ত্রীর মামলায় কবর থেকে স্বামীর লাশ উত্তোলন

মধ্যপাড়া বন বিভাগ কর্তৃক সিএমবি রাস্তার পার্শ্বস্হ ৬ টি দোকান ভাংচুর, এলাকাবাসীর ক্ষোভ 

মধ্যপাড়া বন বিভাগ কর্তৃক সি,এম,বি রাস্তার পার্শ্বস্হ ৬ টি দোকান ভাংচুর, এলাকাবাসীর ক্ষোভ 

বিশেষ প্রতিনিধি, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া বনবিভাগের উদ্যগে ৬ই মে দুপুরে মধ্যপাড়া ভাদুরী বাজারের সিএমবি রাস্তার পাশের ৬ টি দোকান ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় দিনাজপুর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা স্হানীয় বিট, রেঞ্জ অফিসার বন প্রহরী সহ ল অনেকেই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহলের অভিমত বনবিভাগের গাছ প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিনিয়ত কেটে উজাড় করে নিয়ে যায় এবং বন এলাকায় জমি জবরদখল করে অবৈধ ভাবে ঘরবাড়ি তৈরি / চাষাবাদ হলেও দৃশ্যমান প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকার নেই, অথচ জীবন ও জীবিকার তাগিদে রাস্তার পাশে গড়ে তোলা দোকান সমুহ বিনা নোটিশে এভাবে ভাংচুর অমানবিক আচরণ ও নিন্দনীয়। বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকার প্রধান স্বকর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রত্যেক নাগরিক কে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। সেখানে কর্মক্ষম মানুষের কর্মহীন করে দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখ জনক।

এ বিষয়ে দোকান ভাংচুরের শিকার কয়েকজন জানান, আমরা তো বন বিভাগের জায়গা কিংবা আশেপাশে সরকারি গাছ আছে অথবা গাছ নষ্ট করে দোকান ঘর তৈরি করি নাই, সিএমবি রাস্তার পাশের গভীর  গর্ত সমুহ হাজার হাজার টাকার মাটি দিয়ে ভরাট করে জীবিকা নির্বাহের জন্য দোকান ঘর করেছি। এখানে বন বিভাগের ক্ষতি কোথায়? কার ইন্ধনে বন বিভাগ আমাদের পেট ভাত রিজিকের জায়গায় হাত দিয়েছেন? দোকান ঘর সমুহ ভাংচুর করে মালামাল টলি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ায় আমরা অপুরনীয় আর্থিক ক্ষতির সমুক্ষিন হয়েছি।

সচেতন মহল মনে করেন, মধ্যপাড়া বনবিভাগের হরিলুট বানিজ্য আড়াল করেতে এবং তাদের কাংখিত চাহিদা পুরন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার অপপ্রয়াস থেকেই এমনটা করা হয়েছে। ভাংচুর যদি করতে হয় তাহলে শুধু মাত্র ৬ জনের দোকান ঘর ভাংচুরের রহস্য কি? অন্যান্য দোকান ঘর বহাল তবিয়তে রেখে ৬ জনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা মুলক উন্মাদনা নিশ্চয়ই প্রশ্নবিদ্ধ।

বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, এভাবে বিনা নোটিশে দোকান ভাংচুর বনবিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সৃষ্টি করবে। মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতির সম্মুখীন দোকান মালিকের সুব্যবস্হা করবেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বেলকুচি-চৌহালীর পরিবেশ রক্ষা ও নদীভাঙন রোধে উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন এনসিপি নেতা মাহিন সরকার

মধ্যপাড়া বন বিভাগ কর্তৃক সিএমবি রাস্তার পার্শ্বস্হ ৬ টি দোকান ভাংচুর, এলাকাবাসীর ক্ষোভ 

আপডেট সময় ১০:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া বনবিভাগের উদ্যগে ৬ই মে দুপুরে মধ্যপাড়া ভাদুরী বাজারের সিএমবি রাস্তার পাশের ৬ টি দোকান ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় দিনাজপুর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা স্হানীয় বিট, রেঞ্জ অফিসার বন প্রহরী সহ ল অনেকেই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহলের অভিমত বনবিভাগের গাছ প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিনিয়ত কেটে উজাড় করে নিয়ে যায় এবং বন এলাকায় জমি জবরদখল করে অবৈধ ভাবে ঘরবাড়ি তৈরি / চাষাবাদ হলেও দৃশ্যমান প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকার নেই, অথচ জীবন ও জীবিকার তাগিদে রাস্তার পাশে গড়ে তোলা দোকান সমুহ বিনা নোটিশে এভাবে ভাংচুর অমানবিক আচরণ ও নিন্দনীয়। বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকার প্রধান স্বকর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রত্যেক নাগরিক কে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। সেখানে কর্মক্ষম মানুষের কর্মহীন করে দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখ জনক।

এ বিষয়ে দোকান ভাংচুরের শিকার কয়েকজন জানান, আমরা তো বন বিভাগের জায়গা কিংবা আশেপাশে সরকারি গাছ আছে অথবা গাছ নষ্ট করে দোকান ঘর তৈরি করি নাই, সিএমবি রাস্তার পাশের গভীর  গর্ত সমুহ হাজার হাজার টাকার মাটি দিয়ে ভরাট করে জীবিকা নির্বাহের জন্য দোকান ঘর করেছি। এখানে বন বিভাগের ক্ষতি কোথায়? কার ইন্ধনে বন বিভাগ আমাদের পেট ভাত রিজিকের জায়গায় হাত দিয়েছেন? দোকান ঘর সমুহ ভাংচুর করে মালামাল টলি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ায় আমরা অপুরনীয় আর্থিক ক্ষতির সমুক্ষিন হয়েছি।

সচেতন মহল মনে করেন, মধ্যপাড়া বনবিভাগের হরিলুট বানিজ্য আড়াল করেতে এবং তাদের কাংখিত চাহিদা পুরন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার অপপ্রয়াস থেকেই এমনটা করা হয়েছে। ভাংচুর যদি করতে হয় তাহলে শুধু মাত্র ৬ জনের দোকান ঘর ভাংচুরের রহস্য কি? অন্যান্য দোকান ঘর বহাল তবিয়তে রেখে ৬ জনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা মুলক উন্মাদনা নিশ্চয়ই প্রশ্নবিদ্ধ।

বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, এভাবে বিনা নোটিশে দোকান ভাংচুর বনবিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সৃষ্টি করবে। মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতির সম্মুখীন দোকান মালিকের সুব্যবস্হা করবেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।