ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভান্ডারিয়ায় যুবদলের আনন্দ মিছিল রাজশাহী নগরীতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ! গ্রেফতার ধর্ষক বুলবুল ধ্বংসস্তুপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুলিশ- পুলিশ কমিশনার কালীগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াল এনসিপি। ময়মনসিংহে ডিভোর্সি স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হলে বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে -সাবেক এমপি ডা. তাহের অবৈধ দখলমুক্ত হলো মসজিদের জমি, প্রশাসনের কঠোর অভিযানে উচ্ছেদ কুড়িগ্রামের উলিপুরে মোটরবাইক ও ইজিবাইক সংঘর্ষে নিহত -১ গফরগাঁও ব্রহ্মপুত্র নদে খেয়ানৌকা ডুবে ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ, ১জনের লাশ উদ্ধার  গৌরনদীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন, ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি বিলীন, আতংকিত নদীর পাড়ের মানুষ

ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন, ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি বিলীন, আতংকিত নদীর পাড়ের মানুষ

 

আশিকুর রহমান শান্ত ভোলা প্রতিনিধি, উজানের পানির চাপে ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে মাছ ঘাট, শত শত ঘরবাড়ি, বাজার ও মসজিদসহ বহু মাছের ঘের। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে নদী ভাঙ্গুলী পাড়ের মানুষ।

সম্প্রতি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হক। গত শনিবার শিবপুর ইউনিয়নের মাছঘাট ও সুইচগেট এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি। বেঁরী বাঁধ ভেঙ্গে গেলে অতি জোঁয়ার ও স্রোতে আমরা ভেসে যাবো। বর্তমানে বেঁরী বাঁধ থেকে নদী মাত্র ১শ’ ফুট দুরে রয়েছে। এটি অচিরেই ভেঙ্গে যাবে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ভোলা সদর উপজেলার  শিবপুর ইউনিয়নের সুইচগেট পয়েন্টে যে  মাছ ঘাট রয়েছে সেখান থেকে  প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখন ভাঙন চলমান ররেছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় যে প্রকল্প পাঠিয়েছি তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা খাল সচল রাখতে খাল খনন ও প্রশস্থকরন এবং সুইস গেটটি আরও আধুনিক করতে ৬৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে তা পাশ হলে কাজ শুরু করা হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, শিবপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী। বেঁরী বাঁধ থেকে নদীর দুরত্ব ৬০ থেকে ৭০ মিটার। বর্তমানে এ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মানের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে আমরা সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন রোধ করতে পারবো।

পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে নদী ভাঙ্গন সম্পূর্ণ রোধ করা সম্ভব হবে।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ভান্ডারিয়ায় যুবদলের আনন্দ মিছিল

ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন, ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি বিলীন, আতংকিত নদীর পাড়ের মানুষ

আপডেট সময় ১২:২১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

আশিকুর রহমান শান্ত ভোলা প্রতিনিধি, উজানের পানির চাপে ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে মাছ ঘাট, শত শত ঘরবাড়ি, বাজার ও মসজিদসহ বহু মাছের ঘের। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে নদী ভাঙ্গুলী পাড়ের মানুষ।

সম্প্রতি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হক। গত শনিবার শিবপুর ইউনিয়নের মাছঘাট ও সুইচগেট এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি। বেঁরী বাঁধ ভেঙ্গে গেলে অতি জোঁয়ার ও স্রোতে আমরা ভেসে যাবো। বর্তমানে বেঁরী বাঁধ থেকে নদী মাত্র ১শ’ ফুট দুরে রয়েছে। এটি অচিরেই ভেঙ্গে যাবে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ভোলা সদর উপজেলার  শিবপুর ইউনিয়নের সুইচগেট পয়েন্টে যে  মাছ ঘাট রয়েছে সেখান থেকে  প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখন ভাঙন চলমান ররেছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় যে প্রকল্প পাঠিয়েছি তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা খাল সচল রাখতে খাল খনন ও প্রশস্থকরন এবং সুইস গেটটি আরও আধুনিক করতে ৬৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে তা পাশ হলে কাজ শুরু করা হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, শিবপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী। বেঁরী বাঁধ থেকে নদীর দুরত্ব ৬০ থেকে ৭০ মিটার। বর্তমানে এ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মানের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে আমরা সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন রোধ করতে পারবো।

পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে নদী ভাঙ্গন সম্পূর্ণ রোধ করা সম্ভব হবে।