নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফিল্মি স্টাইলে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতী টুর্নামেন্টের মঞ্চে ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় আশিক, হিমেল ও মোস্তাফিজ নামে তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ মে) সকালে চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। চারঘাট পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালেক আদিল ও রাজশাহী জেলা যুবদলের নেতা সাব্বির রহমান মুকুটের নেতৃত্ব এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল।
জানা যায়, চারঘাট বাজারের ইজারাদার আল-মামুনের গ্রুপের সাথে আব্দুস সালেক আদিল গ্রæপের পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে আল-মামুনের নেতৃত্বে চারঘাট পাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি টুর্নামেন্টের খেলার আয়োজন চলছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুস সালেক আদিল ও সাব্বির রহমান মুকুটের নেতৃত্বে প্রায় ৭০-৮০ জন আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রধারী লোকজন মাঠে আসে। এরপর দফায় দফায় ককটেল ও গুলি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খেলার মঞ্চেও ভাংচুর চালানো হয়। এতে প্রধান অতিথি আবু সাইদ চাঁদের ছবি সংবলিত ব্যানার ভেঙে টুকরো টুকরো করা হয়। ককটেলের বিষ্ফোরণের শব্দে খেলার অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে লোকজন এদিক সেদিক ছুটোছুটি শুরু করে।
চারঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল বলেন, আদিল ও মুকুটের নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে খেলার মাঠে হামলা করে দেশনায়ক তারেক রহমান ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ ভাইয়ের ব্যানার ভাংচুর করা হয়েছে। ককটেলের পাশাপাশি দুই রাউন্ড গুলিও হয়েছে বলে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে। ককটেলের আলামত থানার ওসির কাছে প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জানতে আব্দুস সালেক আদিল ও সাব্বির রহমান মুকুটের সাথে যোগাযোগ করা হলেও। তাকে পাওয়া যায়নি।
চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজাজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে অস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি শুনেছি। কে বা কারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।