ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রাজধানীর মতিঝিলে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের মুল শক্তি ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির- ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।  নান্দাইলে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন পিতা-পুত্র কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযান: যুবকের ৪ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড        দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সভায় কমিটির পূর্নগঠন নুরুল করিম মজুমদারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ খানসামায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা মাধবপুর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম আটক রামবুটান চাষে ভাগ্য বদল প্রবাস ফেরত আফজাল শেখের সাফল্যের গল্প   

রোজায় সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের ১০ পরামর্শ

রোজায় সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের ১০ পরামর্শ

 

ফাহাদ মোল্লা 

বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র মাহে রমজান। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছেই এ মাসটি খুব ফজিলত পূর্ণ। ধর্মপ্রাণ মুসলমান নরনারীরা এ মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পানাহার থেকে বিরত থেকে সিয়াম সাধনায় রত থাকবেন। তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা রোজায় কীভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন, এ বিষয়ে রয়েছে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। রোজায় তাদের ইফতার ও সেহরি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে খাওয়া উচিত, যাতে সুস্থ থাকা যায়।

খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করুন: তবে চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। অনেক ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চ রক্তচাপও থাকে, তাই ভাজাপোড়া খাবারও কম খাওয়াই ভালো।

চিনিযুক্ত শরবতের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ফলের রস: বেল, তরমুজ, পাকা আম, পাকা পেঁপে বা মাল্টার রস চিনি ছাড়া খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারে আঁশযুক্ত খাবার: খেজুর, বিভিন্ন রকম সালাদ ও ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়ায় না।

সেহরিতে আমিষের ভালো উৎস: ডিম, ডাল, মাছ বা মুরগির মাংস রাখতে পারেন। গরুর মাংস সপ্তাহে ১-২ বারের বেশি খাওয়া উচিত নয়।

সব ধরনের সবজি সেহরিতে: সবজি খেতে পারবেন, তবে শাকজাতীয় খাবার রাতের বেলায় না খাওয়াই ভালো; এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।

ওষুধের ক্ষেত্রে সতর্কতা: কখনই আগের ওষুধের মাত্রা বা ইনসুলিন নিজে সমন্বয় করবেন না। ডোজ কমানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সেহরির সময়সীমা: নির্ধারিত সময়ের শেষভাগে ও মাগরিবের আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার গ্রহণ করুন। ইফতার করতে দেরি করবেন না।

অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: ইফতারে অতিভোজন বা সাহরিতে কম খাবেন না। এক গ্লাস পানি খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়, ডায়াবেটিস রোগীরা এভাবে করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। ইনসুলিন নেওয়ার সময়: রোজা রেখেও ইনসুলিন নেওয়া যায়। তাই, ইফতারের নির্ধারিত সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে ইনসুলিন নিন।

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে সতর্কতা: যারা ডায়াবেটিস নিয়ে সমস্যা ভোগেন, তারা সবসময় কাছে গ্লুকোজ মিশ্রিত পানি রাখুন। রক্তে সুগারের মাত্রা খুব কমে গেলে রোজা ভেঙে ফেলুন এবং শরীর দুর্বল লাগলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

রোজায় সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের ১০ পরামর্শ

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

ফাহাদ মোল্লা 

বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র মাহে রমজান। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছেই এ মাসটি খুব ফজিলত পূর্ণ। ধর্মপ্রাণ মুসলমান নরনারীরা এ মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পানাহার থেকে বিরত থেকে সিয়াম সাধনায় রত থাকবেন। তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা রোজায় কীভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন, এ বিষয়ে রয়েছে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। রোজায় তাদের ইফতার ও সেহরি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে খাওয়া উচিত, যাতে সুস্থ থাকা যায়।

খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করুন: তবে চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। অনেক ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চ রক্তচাপও থাকে, তাই ভাজাপোড়া খাবারও কম খাওয়াই ভালো।

চিনিযুক্ত শরবতের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ফলের রস: বেল, তরমুজ, পাকা আম, পাকা পেঁপে বা মাল্টার রস চিনি ছাড়া খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারে আঁশযুক্ত খাবার: খেজুর, বিভিন্ন রকম সালাদ ও ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়ায় না।

সেহরিতে আমিষের ভালো উৎস: ডিম, ডাল, মাছ বা মুরগির মাংস রাখতে পারেন। গরুর মাংস সপ্তাহে ১-২ বারের বেশি খাওয়া উচিত নয়।

সব ধরনের সবজি সেহরিতে: সবজি খেতে পারবেন, তবে শাকজাতীয় খাবার রাতের বেলায় না খাওয়াই ভালো; এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।

ওষুধের ক্ষেত্রে সতর্কতা: কখনই আগের ওষুধের মাত্রা বা ইনসুলিন নিজে সমন্বয় করবেন না। ডোজ কমানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সেহরির সময়সীমা: নির্ধারিত সময়ের শেষভাগে ও মাগরিবের আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার গ্রহণ করুন। ইফতার করতে দেরি করবেন না।

অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: ইফতারে অতিভোজন বা সাহরিতে কম খাবেন না। এক গ্লাস পানি খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়, ডায়াবেটিস রোগীরা এভাবে করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। ইনসুলিন নেওয়ার সময়: রোজা রেখেও ইনসুলিন নেওয়া যায়। তাই, ইফতারের নির্ধারিত সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে ইনসুলিন নিন।

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে সতর্কতা: যারা ডায়াবেটিস নিয়ে সমস্যা ভোগেন, তারা সবসময় কাছে গ্লুকোজ মিশ্রিত পানি রাখুন। রক্তে সুগারের মাত্রা খুব কমে গেলে রোজা ভেঙে ফেলুন এবং শরীর দুর্বল লাগলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন।