ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে ‘হারপি’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত অতীতের মতো বস্তাপঁচা নির্বাচন মেনে নেবে না জামায়াত বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  কাজিহাল ইউনিয়নে টিসিবি’র পণ্য বিতরনের উদ্বোধন মধ্যপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ীঘর ভাংচুর প্রতিপক্ষের হামলায় নারী পুরুষসহ ৬ ব্যক্তি আহত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন উল্লাপাড়ায় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে সর্বোচ্চ হারাচ্ছে হাজারো পরিবার।  কুড়িগ্রামের উলিপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ। রাজশাহীতে নাবিল গ্রুপকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ।

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দেশের উত্তর অঞ্চলরের একমাত্রা দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রটির কারণে ৩য় ইউনিটটি এর উৎপাদন বন্ধ। ১ম ইউনিটটি গত ২২শে জুলাই সন্ধ্যায় বন্ধ হলেও গতকাল রাত ১০টায় তা পুনরায় জোড়া তালি দিয়ে চালু করা হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অদক্ষ জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে।

তারা জানেনা কিভাবে ইউনিট পরিচালনা করতে হয়। বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক উৎপাদনশীল ৩য় ইউনিট থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ০২ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর অঞ্চলের ভারী, মাঝারি শিল্পকারখানা গুলো ও বোর ধান সেচ মৌসুমে উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সংকট বিরাজ করছে।

দিনাজপুরের পার্শ্বতী কয়লাখনি উৎপাদিত কয়লাদিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট নির্মাণকৃত ৩টি ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমের মধ্যে ২নং ইউনিটটি প্রায় ০৮ বছর ধরে অকেজ অবস্থা পড়ে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে এক সময় ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উৎপাদন হত মাত্র ৬০-৭০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ। সেই ইউনিটিও এখন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ০১নং ইউনিটি মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালু করলেও বছরে কয়েকবার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়।

গত ০৫ বছর আগে ৩য় ইউনিটি নির্মাণ করা হয় এবং যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াড। উৎপাদনে যাওয়ার পরেও এ পর্যন্ত কতবার যে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছিল তার কোন হিসাব নেই। গত ২০ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ০৩নং ইউনিট ও ০১ নং ইউনিরট বন্ধ হয়ে যায়। ০১নং ও ০২ নং ইউনিট ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।

যার কারনে ০২নং ইউনিটটি ০৮ বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে প্রায় ৫শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কমরত রয়েছেন। এদের পিছনে বিদ্যুৎ উন্নয় বোর্ডের কোটি কোটি ব্যয় করছে। ০৩টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর অঞ্চলে কৃষিতে ও শিল্পতে বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে। গতকাল রবিবার উত্তর অঞ্চলের অনেক জেলায় বিদ্যুতের চরম দুর্ভোগে পড়ে শিল্প কলকারখানা সহ আবাসিক এলাকাগুলো।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, যান্ত্রি ত্রুটির কারণে ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একটি একটি ইউনিট রাতেই চালু করা হয় এবং ৩য় ইউনিটটির মেরামত কাজ চলমান আছে আগামী ০২/০১ দিনের মধ্যে পুনরায় উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে ‘হারপি’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ।

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দেশের উত্তর অঞ্চলরের একমাত্রা দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রটির কারণে ৩য় ইউনিটটি এর উৎপাদন বন্ধ। ১ম ইউনিটটি গত ২২শে জুলাই সন্ধ্যায় বন্ধ হলেও গতকাল রাত ১০টায় তা পুনরায় জোড়া তালি দিয়ে চালু করা হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অদক্ষ জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে।

তারা জানেনা কিভাবে ইউনিট পরিচালনা করতে হয়। বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক উৎপাদনশীল ৩য় ইউনিট থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ০২ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর অঞ্চলের ভারী, মাঝারি শিল্পকারখানা গুলো ও বোর ধান সেচ মৌসুমে উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সংকট বিরাজ করছে।

দিনাজপুরের পার্শ্বতী কয়লাখনি উৎপাদিত কয়লাদিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট নির্মাণকৃত ৩টি ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমের মধ্যে ২নং ইউনিটটি প্রায় ০৮ বছর ধরে অকেজ অবস্থা পড়ে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে এক সময় ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উৎপাদন হত মাত্র ৬০-৭০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ। সেই ইউনিটিও এখন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ০১নং ইউনিটি মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালু করলেও বছরে কয়েকবার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়।

গত ০৫ বছর আগে ৩য় ইউনিটি নির্মাণ করা হয় এবং যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াড। উৎপাদনে যাওয়ার পরেও এ পর্যন্ত কতবার যে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছিল তার কোন হিসাব নেই। গত ২০ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ০৩নং ইউনিট ও ০১ নং ইউনিরট বন্ধ হয়ে যায়। ০১নং ও ০২ নং ইউনিট ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।

যার কারনে ০২নং ইউনিটটি ০৮ বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে প্রায় ৫শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কমরত রয়েছেন। এদের পিছনে বিদ্যুৎ উন্নয় বোর্ডের কোটি কোটি ব্যয় করছে। ০৩টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর অঞ্চলে কৃষিতে ও শিল্পতে বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে। গতকাল রবিবার উত্তর অঞ্চলের অনেক জেলায় বিদ্যুতের চরম দুর্ভোগে পড়ে শিল্প কলকারখানা সহ আবাসিক এলাকাগুলো।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, যান্ত্রি ত্রুটির কারণে ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একটি একটি ইউনিট রাতেই চালু করা হয় এবং ৩য় ইউনিটটির মেরামত কাজ চলমান আছে আগামী ০২/০১ দিনের মধ্যে পুনরায় উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে।