ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গফরগাঁও মদের ডিপোতে মোবাইল কোট পরিচালিত কালীগঞ্জে গরু চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, চোরাই গরু উদ্ধার সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদারের ইন্তিকালে ড. মাওলানা আব্দুস সামাদের শোক আজও বাবার অপেক্ষায় থাকে শহীদ জসিম উদ্দিনের দুই শিশু সন্তান, স্ত্রীর গর্ভে রেখে যাওয়া শহীদ রনি’র মেয়ে “রোজা” বেড়ে উঠছে বাবাকে ছাড়া ! তুরাবসহ সকল শহিদ আমাদের প্রেরনা- ফয়সল চৌধুরী সিলেট-৬ রাজশাহীর পবায় বিনামূল্যে গাছের চাড়া বিতরণ  নকলায় তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ৫ দিন পর নিখোঁজ সোহাগের লাশ মিলল নদীতে। মনপুরায় পুলিশের অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যান সহ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ নেতা আটক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননার প্রতিবাদে গৌরীপুরে কৃষকদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

নান্দাইলে প্রবাসীর জমি ও বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ.

নান্দাইলে প্রবাসীর জমি ও বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ.

 

নিজস্ব প্রতিবেদক- তৌহিদুল ইসলাম সরকার।

ময়মনসিংহের- নান্দাইল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাচপাড়া গ্রামের প্রবাসী মোঃ ফরিদ মিয়া তাঁর ছোট ভাই আল-আমীন ও তার স্ত্রী ময়না আক্তারের বিরুদ্ধে জমি ও বাড়ি জোরপূর্বক দখলের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

ভুক্তভোগী ফরিদ মিয়া জানান, তাঁর পিতা আব্দুল বারেক ২০০৫ সালের ৩০ আগস্ট মারা যাওয়ার পর তিনি পারিবারিক কিছু জটিলতা নিরসনে মামলা দায়ের করেন। এরপর তিনি জীবিকার তাগিদে বিদেশ চলে যান। বিদেশে অবস্থানকালে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ছোট ভাই আল-আমীন এর ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত অর্থ পাঠাতেন। টানা তিন বছর তিনি প্রায় ২১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু এর কোনো হিসাব আজ পর্যন্ত পাননি।

২০০৯ সালে দেশে ফিরে তিনি দেখতে পান যে, তার ভাই আল-আমীন গোপনে তাঁদের বসতভিটায় একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে এবং পৈতৃক সম্পত্তি ও ফসলি জমিও বিক্রি করে দিয়েছে বলে আশেপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করিয়াছে। ফরিদ মিয়া অভিযোগ করেন, এই সম্পত্তির কোনও কাগজপত্র তাঁকে দেখাতে পারেনি আল-আমীন বা তার স্ত্রী।

তিনি বলেন, এই জমি আমরা বড় দুই ভাই – আমি ও শাহাজাহান – আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে খাউলা করে নিই। কিন্তু ছোট দুই ভাই আল-আমীন ও রুহুল আমিন কখনো কোনো টাকা দেয়নি বরং এখন পুরো জমির দখল নিয়ে বসে আছে। জমি চাইলেই বলে, বড় ভাইদের কোনো জমি নেই।

সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি সরেজমিনে গেলে, আল-আমীনের স্ত্রী ময়না আক্তার প্রথমে বলেন, ফরিদ সব সম্পত্তি ৯ বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। কখনও বলেন দলিল করেছে, আবার কখনও বলেন স্ট্যাম্পে সই করে দিয়েছেন – কিন্তু কোনোটিরই সুনির্দিষ্ট দলিল দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে ফরিদ মিয়ার বক্তব্য, আমি যদি জমি বিক্রি করেই থাকি, তাহলে তারা জনসম্মুখে বৈধ কাগজপত্র দেখাক। যদি দেখাতে না পারে, তাহলে আমার জমি ও বসতভিটা থেকে তাদের দখল সরিয়ে নেওয়া হোক – এটাই আমার অনুরোধ।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী ফরিদ মিয়া।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

গফরগাঁও মদের ডিপোতে মোবাইল কোট পরিচালিত

নান্দাইলে প্রবাসীর জমি ও বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ.

আপডেট সময় ০৫:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক- তৌহিদুল ইসলাম সরকার।

ময়মনসিংহের- নান্দাইল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাচপাড়া গ্রামের প্রবাসী মোঃ ফরিদ মিয়া তাঁর ছোট ভাই আল-আমীন ও তার স্ত্রী ময়না আক্তারের বিরুদ্ধে জমি ও বাড়ি জোরপূর্বক দখলের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

ভুক্তভোগী ফরিদ মিয়া জানান, তাঁর পিতা আব্দুল বারেক ২০০৫ সালের ৩০ আগস্ট মারা যাওয়ার পর তিনি পারিবারিক কিছু জটিলতা নিরসনে মামলা দায়ের করেন। এরপর তিনি জীবিকার তাগিদে বিদেশ চলে যান। বিদেশে অবস্থানকালে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ছোট ভাই আল-আমীন এর ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত অর্থ পাঠাতেন। টানা তিন বছর তিনি প্রায় ২১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু এর কোনো হিসাব আজ পর্যন্ত পাননি।

২০০৯ সালে দেশে ফিরে তিনি দেখতে পান যে, তার ভাই আল-আমীন গোপনে তাঁদের বসতভিটায় একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে এবং পৈতৃক সম্পত্তি ও ফসলি জমিও বিক্রি করে দিয়েছে বলে আশেপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করিয়াছে। ফরিদ মিয়া অভিযোগ করেন, এই সম্পত্তির কোনও কাগজপত্র তাঁকে দেখাতে পারেনি আল-আমীন বা তার স্ত্রী।

তিনি বলেন, এই জমি আমরা বড় দুই ভাই – আমি ও শাহাজাহান – আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে খাউলা করে নিই। কিন্তু ছোট দুই ভাই আল-আমীন ও রুহুল আমিন কখনো কোনো টাকা দেয়নি বরং এখন পুরো জমির দখল নিয়ে বসে আছে। জমি চাইলেই বলে, বড় ভাইদের কোনো জমি নেই।

সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি সরেজমিনে গেলে, আল-আমীনের স্ত্রী ময়না আক্তার প্রথমে বলেন, ফরিদ সব সম্পত্তি ৯ বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। কখনও বলেন দলিল করেছে, আবার কখনও বলেন স্ট্যাম্পে সই করে দিয়েছেন – কিন্তু কোনোটিরই সুনির্দিষ্ট দলিল দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে ফরিদ মিয়ার বক্তব্য, আমি যদি জমি বিক্রি করেই থাকি, তাহলে তারা জনসম্মুখে বৈধ কাগজপত্র দেখাক। যদি দেখাতে না পারে, তাহলে আমার জমি ও বসতভিটা থেকে তাদের দখল সরিয়ে নেওয়া হোক – এটাই আমার অনুরোধ।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী ফরিদ মিয়া।