ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০১নং পলাতক আসামী গ্রেফতার। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গার্ডেনারের বদলি হওয়ায় তৈরি হয়নি ভেষজ বাগান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ফুলবাড়ীতে শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালখালী মেধস মুনির আশ্রম অধ্যক্ষ স্বামী বুলবুলানন্দ গিরি মহারাজের দেহত্যাগে বোয়ালখালীতে ১৩০ মৎস্যচাষীর পেল মাছের খাদ্য   কালিহাতীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ: আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ১৯১ বোতল বিদেশী মদসহ ০১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। টাঙ্গাইল মহাসড়কে আবারও প্রবাসীর গা‌ড়িতে ডাকা‌তি, গুলিবিদ্ধ ১    রংপুরের মিঠাপুকুরে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ী আটক।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঘুষ নেওয়ার কর্মকর্তা বহিষ্কার 

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঘুষ নেওয়ার কর্মকর্তা বহিষ্কার 

মো নাহিদুর রহমান শামীম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধ : মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরে কর্মকালীন সময়ে ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্ত আদেশ সম্প্রতি ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে। অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি বিবেচনায় পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাককে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৩৯ ধারা এবং সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২ অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে পাওয়া প্রাপ্ত নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে, মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে চাকরিরত সময়ে ইটভাটা থেকে আব্দুর রাজ্জাকের ঘুষ নেওয়ার একটি অডিও রেকর্ড সোসাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) ভাইরাল হয়। এছাড়া একজন ইটভাটা মালিক তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে গত মাসের ২০ এপ্রিল সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্তে শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

জানা গেছে, পরিবেশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ১৯৯৫ সালে জুন মাসের ২০ তারিখে নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে সদর দপ্তরে যোগদান করেন। সাতদিন পর তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় (বগুড়া) যোগদেন। সেখানে তিনি টানা সাড়ে আট বছর নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আব্দুর রাজ্জাক খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে দুই বছর নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালের ৫ জানুয়ারি পরিদর্শক হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে যোগ দেন।

তারপর তিনি, পরিদর্শক হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঁচ বছর, গাজীপুর জেলা কার্যালয়ে চার বছর, চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে দুই মাস, মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে এক বছর আট মাস দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে তার বিরুদ্ধে উঠা এসব অনিয়মের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে কর্তৃপক্ষ তাকে রাঙামাটি বদলি করেন। সেখানে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনি সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন।

বর্তমানে রাঙামাটি পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কর্মরত আছেন তিনি। তার কর্মকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। 

পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ফাইনালি তো কিছু হয়নি। এ বিষয়ে আইনানুগভাবে লড়াই করব।

রাঙামাটি পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুমিনুল ইসলাম বলেন, পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ফেব্রুয়ারি মাসে রাঙামাটি কার্যালয়ে যোগদান করেন। আগে কোথায় কি অনিয়ম হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে গতমাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ায় অফিসের সব কার্যক্রম থেকে আব্দুর রাজ্জাক বিরত রয়েছেন বলে তিনি জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঘুষ নেওয়ার কর্মকর্তা বহিষ্কার 

আপডেট সময় ০৫:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

মো নাহিদুর রহমান শামীম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধ : মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরে কর্মকালীন সময়ে ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্ত আদেশ সম্প্রতি ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে। অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি বিবেচনায় পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাককে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৩৯ ধারা এবং সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২ অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে পাওয়া প্রাপ্ত নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে, মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে চাকরিরত সময়ে ইটভাটা থেকে আব্দুর রাজ্জাকের ঘুষ নেওয়ার একটি অডিও রেকর্ড সোসাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) ভাইরাল হয়। এছাড়া একজন ইটভাটা মালিক তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে গত মাসের ২০ এপ্রিল সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্তে শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

জানা গেছে, পরিবেশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ১৯৯৫ সালে জুন মাসের ২০ তারিখে নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে সদর দপ্তরে যোগদান করেন। সাতদিন পর তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় (বগুড়া) যোগদেন। সেখানে তিনি টানা সাড়ে আট বছর নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আব্দুর রাজ্জাক খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে দুই বছর নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালের ৫ জানুয়ারি পরিদর্শক হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে যোগ দেন।

তারপর তিনি, পরিদর্শক হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঁচ বছর, গাজীপুর জেলা কার্যালয়ে চার বছর, চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে দুই মাস, মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে এক বছর আট মাস দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে তার বিরুদ্ধে উঠা এসব অনিয়মের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে কর্তৃপক্ষ তাকে রাঙামাটি বদলি করেন। সেখানে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনি সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন।

বর্তমানে রাঙামাটি পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কর্মরত আছেন তিনি। তার কর্মকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। 

পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ফাইনালি তো কিছু হয়নি। এ বিষয়ে আইনানুগভাবে লড়াই করব।

রাঙামাটি পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুমিনুল ইসলাম বলেন, পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ফেব্রুয়ারি মাসে রাঙামাটি কার্যালয়ে যোগদান করেন। আগে কোথায় কি অনিয়ম হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে গতমাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ায় অফিসের সব কার্যক্রম থেকে আব্দুর রাজ্জাক বিরত রয়েছেন বলে তিনি জানান।