ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলবাড়ী উপজেলার শিবপুর গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিট গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী কফিল উদ্দিন গ্রেফতার। চান্দিনায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন বিষয়ক ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান বোয়ালখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা  বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার। পটিয়া চন্দনাইশ নতুন ওসি নুরুজ্জামান ও গোলাম সরওয়ার  অপহরণ মামলার ১ নং এজাহারনামীয় আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার। ব্রাহ্মণপাড়ায় কমফোর্ট হসপিটালের শুভ উদ্ভোধন যুক্তরাজ্য সফরে সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ-কে ফুলেল শু‌ভেচ্ছা জানিয়েছে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশে ৫০ বছর পর ভুমি ফিরে পেলেন এক প্রবাসী পরিবার।

জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশে ৫০ বছর পর ভুমি ফিরে পেলেন এক প্রবাসী পরিবার।

মাসুম আহমদ : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ৫০ বছর পর সাড়ে ২২ একর জমি ফিরে পেলেন শ্রীরামসি গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রেদওয়ানুল হক নামের এক প্রবাসীর উত্তরসূরীরা। ১৯৭৫ সালে উক্ত জায়গার মালিকানার অধিকার নিয়ে প্রবাসী রেদোয়ানুল হক এ মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে)  আদালতের নির্দেশে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞার নেতৃত্বে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উক্ত জমি তাঁর উত্তরসূরিদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। লাল কাপড়ে মোড়ানো খুঁটি ও সীমানা পিলার স্হাপন করে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জায়গা জমির মধ্যে রয়েছে, বাড়ি,বড়ন্ডি পতিত ও দিঘি রকম ভূমি।

মামলার বিবরণ ও তাঁর পরিবার সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন শ্রীরামসি গ্রামের রেদওয়ানুল হক ১ম সাবজজ আদালত সিলেটে একই গ্রামের আব্দুল মোতালিব খাঁন ও আব্দুল মনির খাঁ গংদের বিরুদ্ধে স্বত্ব বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে এ মামলা সুনামগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯৪ সালের ৬ জানুয়ারি এ মামলার প্রথম ডিগ্রি হয়। পরে স্বত্ব ৫/২০০৪ নম্বরভূক্ত হয়ে এনিয়ে আইনি লড়াই চলে। ২০০৭ সালে তাদের পক্ষে চুড়ান্ত রায় হয়।

পরে রায় কার্যকর করতে রেদওয়ানুল হক স্বত্বজারী ও দখলদেহী মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিবাদী পক্ষ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত স্থগিতাদেশ দেন।পরে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর চুড়ান্ত নিস্পত্তি হয়। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে জারির মামলার রায় কার্যকর করতে যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে আবেদন করলে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রেদওয়ানুল হক গংদের

উত্তরসূরিদের দখল ও জমি বুঝিয়ে দিতে আদেশ দেন। রেদওয়ানুল হকের ছেলে এমদাদুল হক টিপু জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর পর জমি ফিরে পাওয়ায় আমরা খুশি। আমার বাবা সম্পদের নায্যদাবি প্রতিষ্ঠায় এ মামলা দায়ের করেছিলেন।২০১০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। এ মামলার সাথে জড়িত অনেকেই মারা গেছেন আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে বিচারক আইনজীবী সহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা জমি প্রয়াত রেদওয়ানুল হকের উত্তরসূরীদের বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, ৫০ বছর পর হলেও সম্পদের অধিকার ফিরে পাওয়ায় প্রমান হয়েছে জোর করে কারো সম্পদ দখলে রাখা যায় না।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবপুর গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিট

জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশে ৫০ বছর পর ভুমি ফিরে পেলেন এক প্রবাসী পরিবার।

আপডেট সময় ১২:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

মাসুম আহমদ : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ৫০ বছর পর সাড়ে ২২ একর জমি ফিরে পেলেন শ্রীরামসি গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রেদওয়ানুল হক নামের এক প্রবাসীর উত্তরসূরীরা। ১৯৭৫ সালে উক্ত জায়গার মালিকানার অধিকার নিয়ে প্রবাসী রেদোয়ানুল হক এ মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে)  আদালতের নির্দেশে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞার নেতৃত্বে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উক্ত জমি তাঁর উত্তরসূরিদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। লাল কাপড়ে মোড়ানো খুঁটি ও সীমানা পিলার স্হাপন করে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জায়গা জমির মধ্যে রয়েছে, বাড়ি,বড়ন্ডি পতিত ও দিঘি রকম ভূমি।

মামলার বিবরণ ও তাঁর পরিবার সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন শ্রীরামসি গ্রামের রেদওয়ানুল হক ১ম সাবজজ আদালত সিলেটে একই গ্রামের আব্দুল মোতালিব খাঁন ও আব্দুল মনির খাঁ গংদের বিরুদ্ধে স্বত্ব বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে এ মামলা সুনামগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯৪ সালের ৬ জানুয়ারি এ মামলার প্রথম ডিগ্রি হয়। পরে স্বত্ব ৫/২০০৪ নম্বরভূক্ত হয়ে এনিয়ে আইনি লড়াই চলে। ২০০৭ সালে তাদের পক্ষে চুড়ান্ত রায় হয়।

পরে রায় কার্যকর করতে রেদওয়ানুল হক স্বত্বজারী ও দখলদেহী মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিবাদী পক্ষ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত স্থগিতাদেশ দেন।পরে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর চুড়ান্ত নিস্পত্তি হয়। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে জারির মামলার রায় কার্যকর করতে যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে আবেদন করলে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রেদওয়ানুল হক গংদের

উত্তরসূরিদের দখল ও জমি বুঝিয়ে দিতে আদেশ দেন। রেদওয়ানুল হকের ছেলে এমদাদুল হক টিপু জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর পর জমি ফিরে পাওয়ায় আমরা খুশি। আমার বাবা সম্পদের নায্যদাবি প্রতিষ্ঠায় এ মামলা দায়ের করেছিলেন।২০১০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। এ মামলার সাথে জড়িত অনেকেই মারা গেছেন আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে বিচারক আইনজীবী সহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা জমি প্রয়াত রেদওয়ানুল হকের উত্তরসূরীদের বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, ৫০ বছর পর হলেও সম্পদের অধিকার ফিরে পাওয়ায় প্রমান হয়েছে জোর করে কারো সম্পদ দখলে রাখা যায় না।