ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলবাড়ী উপজেলার শিবপুর গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিট গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী কফিল উদ্দিন গ্রেফতার। চান্দিনায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন বিষয়ক ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান বোয়ালখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা  বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার। পটিয়া চন্দনাইশ নতুন ওসি নুরুজ্জামান ও গোলাম সরওয়ার  অপহরণ মামলার ১ নং এজাহারনামীয় আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার। ব্রাহ্মণপাড়ায় কমফোর্ট হসপিটালের শুভ উদ্ভোধন যুক্তরাজ্য সফরে সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ-কে ফুলেল শু‌ভেচ্ছা জানিয়েছে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ছাত্রদল নেতা সাম্যের হত্যার প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

ছাত্রদল নেতা সাম্যের হত্যার প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

 

বাকৃবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একইসঙ্গে বাকৃবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

রবিবার (১৮ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন বীরপ্রতীক এটিএম খালিদের স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তুষারের নেতৃত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য নেতাকর্মীরা ‘বীরপ্রতীক খালিদ থেকে সাম্য—এমন হত্যা নয় কারো কাম্য’, ‘২৪, ৭১-এর চেতনা—মুছে যেতে দেব না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা তুষার বলেন, “ক্যাম্পাসে চায়ের দাম বেড়েছে, কিন্তু জীবনের দাম বাড়েনি। তাই এখনো ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হয়। ১৯৮০ সালে শহীদ বীরপ্রতীক এটিএম খালিদকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে রক্তাক্ত অধ্যায় শুরু হয়েছিল, তা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।প্রশাসন যেমন ১৯৮০ সালে শহীদ খালিদকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, তেমনি এখন ২০২৫ সালেও সাম্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা বারবার ধৈর্য ধরছি, কিন্তু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে ছাত্রদল নিজেই প্রতিরোধের ইতিহাস লিখবে।

সম্প্রতি বাকৃবিতে এক দোকানির হাতে শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতের চেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে তুষার বলেন, শুক্রবার বিকেলে পোল্ট্রি মোড়ে এক দোকানদার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। এটি পরিষ্কারভাবে দেখায়, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কতটা উদাসীন। আমরা অবিলম্বে সেই দোকানি মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবপুর গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিট

ছাত্রদল নেতা সাম্যের হত্যার প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০১:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

 

বাকৃবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একইসঙ্গে বাকৃবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

রবিবার (১৮ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন বীরপ্রতীক এটিএম খালিদের স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তুষারের নেতৃত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য নেতাকর্মীরা ‘বীরপ্রতীক খালিদ থেকে সাম্য—এমন হত্যা নয় কারো কাম্য’, ‘২৪, ৭১-এর চেতনা—মুছে যেতে দেব না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা তুষার বলেন, “ক্যাম্পাসে চায়ের দাম বেড়েছে, কিন্তু জীবনের দাম বাড়েনি। তাই এখনো ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হয়। ১৯৮০ সালে শহীদ বীরপ্রতীক এটিএম খালিদকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে রক্তাক্ত অধ্যায় শুরু হয়েছিল, তা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।প্রশাসন যেমন ১৯৮০ সালে শহীদ খালিদকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, তেমনি এখন ২০২৫ সালেও সাম্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা বারবার ধৈর্য ধরছি, কিন্তু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে ছাত্রদল নিজেই প্রতিরোধের ইতিহাস লিখবে।

সম্প্রতি বাকৃবিতে এক দোকানির হাতে শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতের চেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে তুষার বলেন, শুক্রবার বিকেলে পোল্ট্রি মোড়ে এক দোকানদার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। এটি পরিষ্কারভাবে দেখায়, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কতটা উদাসীন। আমরা অবিলম্বে সেই দোকানি মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।