ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খানসামায় চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া, ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ  বাহুবল মডেল প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সমুজ আলী রানা সভাপতি সাজিদুর রহমান সম্পাদক বিজয়নগর সীমান্তে পুশ-ইনের চেষ্টা, নিরাপত্তা জোরদার হানাহানি-খুন-ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে কালো কার্ড প্রদর্শন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টি পাথরের মূর্তিসহ যুবক গ্রেফতার কাউখালীতে দেশি মাছের আকাল  পৃথক অভিযানে কুষ্টিয়ার সুরমান খাঁ হত্যা মামলার ০৫ জন আসামী র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বনানীর আওয়ামী লীগ নেতা শহর আলী প্রকাশ্যে এসেও অধরা, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়  কয়রায় স্কুলের নির্মাণাধীন প্রাচীরে ৭টি পরিবার অবরুদ্বের অভিযোগ  কয়রায় মাছের ঘের দখলের চেষ্টায় হামলার অভিযোগ 

রাবি শিক্ষকের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার! 

রাবি শিক্ষকের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার! 

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষকের কক্ষ থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন তাদের হাতেনাতে ধরেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র সদস্য। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে দেখা গেছে।
ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) ওই ছাত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক। তিনি স্নাতকে (বিবিএ) ভালো ফল অর্জন করেন।   
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন বিকেল ৫টার দিকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। কক্ষে প্রবেশের পর বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই কক্ষের দরজায় কড়া নাড়েন। বেশ কিছুক্ষণ পর শিক্ষক দরজা খুলে দেন। শিক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন, ছাত্রীর ওড়না-হিজাব শরীরে নেই। ছাত্রীর ব্যাগ, সেফটিপিনসহ অনেক কিছু শিক্ষকের টেবিলে ছিল। পাশেই রাখা ছিল বালিশ।
ছাত্ররা ভিডিও করার সময় ওই ছাত্রীর মাথায় একটি রুমাল পরিয়ে মাথা ঢেকে দেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তখন জানতে চান, ছাত্রীর মাথায় কেন রুমাল পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
জবাবে শিক্ষক বলেন, ‘সে মেয়ে মানুষ, তাই।’ এ সময় ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় কক্ষে প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের। পরে বিষয়টি তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শিবলী সাদিক বলেন, মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে এর আগে এক ছাত্রী বিভাগে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছিল। তখন বিভাগের সভাপতি আরেকজন ছিলেন। পরে বিভাগের সভাপতি বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে গত রবিবার ছাত্রীর সঙ্গে কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর কক্ষে ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, কেউ অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খানসামায় চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া, ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ 

রাবি শিক্ষকের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার! 

আপডেট সময় ০৩:০৮:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষকের কক্ষ থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন তাদের হাতেনাতে ধরেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র সদস্য। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে দেখা গেছে।
ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) ওই ছাত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক। তিনি স্নাতকে (বিবিএ) ভালো ফল অর্জন করেন।   
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন বিকেল ৫টার দিকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। কক্ষে প্রবেশের পর বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই কক্ষের দরজায় কড়া নাড়েন। বেশ কিছুক্ষণ পর শিক্ষক দরজা খুলে দেন। শিক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন, ছাত্রীর ওড়না-হিজাব শরীরে নেই। ছাত্রীর ব্যাগ, সেফটিপিনসহ অনেক কিছু শিক্ষকের টেবিলে ছিল। পাশেই রাখা ছিল বালিশ।
ছাত্ররা ভিডিও করার সময় ওই ছাত্রীর মাথায় একটি রুমাল পরিয়ে মাথা ঢেকে দেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তখন জানতে চান, ছাত্রীর মাথায় কেন রুমাল পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
জবাবে শিক্ষক বলেন, ‘সে মেয়ে মানুষ, তাই।’ এ সময় ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় কক্ষে প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের। পরে বিষয়টি তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শিবলী সাদিক বলেন, মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে এর আগে এক ছাত্রী বিভাগে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছিল। তখন বিভাগের সভাপতি আরেকজন ছিলেন। পরে বিভাগের সভাপতি বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে গত রবিবার ছাত্রীর সঙ্গে কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর কক্ষে ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, কেউ অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।