ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ১ দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ স্বনির্ভর হতে সময় লাগবে না -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফেনী সাহিত্য ফোরামের আয়োজনে ভাষা সাহিত্য, সাংবািদকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ভোলায় গনঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও গণমিছিল    জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে পৈল কমিউনিটি ক্লিনিক  সভাপতি কামরান সাধারণ সম্পাদক সাহান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন পিআর পদ্ধতিতের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব: আলহাজ মাসুদ সাঈদী গৌরীপুরে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার গৌরীপুরের রুদিতা জাককানইবি’র ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম!

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, পরবর্তী কর্মদিবসে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

 

 

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বিচার বিভাগীয় প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের মতামতের ভিত্তিতে এই কঠোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম চলাকালে দলের সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, প্রচারণা, এবং সাইবার স্পেসে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্থগিত থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীকে এসব কার্যক্রম নজরদারি এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে এবং বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের সমর্থন নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো সক্রিয় থাকবে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবর শোনা মাত্র ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে উচ্ছ্বাস শুরু করেন আন্দোলনকারীরা, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিক এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ১

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

আপডেট সময় ১১:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, পরবর্তী কর্মদিবসে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

 

 

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বিচার বিভাগীয় প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের মতামতের ভিত্তিতে এই কঠোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম চলাকালে দলের সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, প্রচারণা, এবং সাইবার স্পেসে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্থগিত থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীকে এসব কার্যক্রম নজরদারি এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে এবং বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের সমর্থন নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো সক্রিয় থাকবে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবর শোনা মাত্র ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে উচ্ছ্বাস শুরু করেন আন্দোলনকারীরা, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিক এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।