নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, পরবর্তী কর্মদিবসে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বিচার বিভাগীয় প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের মতামতের ভিত্তিতে এই কঠোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম চলাকালে দলের সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, প্রচারণা, এবং সাইবার স্পেসে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্থগিত থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীকে এসব কার্যক্রম নজরদারি এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে এবং বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের সমর্থন নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো সক্রিয় থাকবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবর শোনা মাত্র ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে উচ্ছ্বাস শুরু করেন আন্দোলনকারীরা, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিক এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।