ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হিজলায় ৬টি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের আগমন: পরিদর্শনে যাচ্ছেন মৌলবির হাট লঞ্চ ঘাট বরিশালের হত্যা মামলার আসামী ঢাকা থেকে আটক। ময়নামতি ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ১১% ডেলিগেট থাকায় ঘোষনা হয়নি কমিটি! রাজশাহীর ২ সাবেক চেয়ারম্যানের দেশ ত্যাগে নিষেধ  গোপালগঞ্জে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫ পালতি। র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন-স্ত্রী সুস্মিতার বিচারের দাবী গোপালগঞ্জ বাসীর।  অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী শাহীন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ২৮৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ০১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। দেবীগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুই জনের মৃত্যু গনহত্যার বিচার ও আ.লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না- নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি।

জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি

জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি

 

মাসুম আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল জগদীশপুর বড়খালের সেতু। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় এই সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৩০টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

এই সেতুটিই জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর, শ্রীধরপাশা, গলাখাল, কামারখাল, কান্দারগাঁও, কাদিপুর, নোয়াগাঁও, তেলিকোনাসহ আশপাশের শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার বহু গ্রামের মানুষের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর এবং সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।

বন্যার স্রোতে সেতুর পিলার দেবে গেছে এবং এপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। তবুও বিকল্প কোনো পথ না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন, এমনকি পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন এই বিপজ্জনক সেতু দিয়ে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর আশঙ্কা- যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তারা জানান, এলজিইডি’র আওতাধীন এই সেতুটি বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, আমাদের জীবন যেন সেতুর ওপরে ঝুলে আছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী ভ্যান, কৃষক, ব্যবসায়ী সবাইকে এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।


এলাকাবাসী জোর দাবি জানাচ্ছেন, 
এলজিইডি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি, যেন অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সেতু পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, অর্ধলক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।


জগন্নাথপুর এলজিইডি অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন,
 ইতিমধ্যে জগদীশপুর বড়খালের নব নির্মিতব্য সেতুর টেন্ডার হয়েছে। আশা করা যায়, যথা সম্ভব দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য সবাইকে সতর্কতা জানিয়ে সেতুর সম্মুখে সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

হিজলায় ৬টি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের আগমন: পরিদর্শনে যাচ্ছেন মৌলবির হাট লঞ্চ ঘাট

জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি

আপডেট সময় ১২:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

মাসুম আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল জগদীশপুর বড়খালের সেতু। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় এই সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৩০টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

এই সেতুটিই জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর, শ্রীধরপাশা, গলাখাল, কামারখাল, কান্দারগাঁও, কাদিপুর, নোয়াগাঁও, তেলিকোনাসহ আশপাশের শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার বহু গ্রামের মানুষের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর এবং সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।

বন্যার স্রোতে সেতুর পিলার দেবে গেছে এবং এপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। তবুও বিকল্প কোনো পথ না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন, এমনকি পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন এই বিপজ্জনক সেতু দিয়ে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর আশঙ্কা- যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তারা জানান, এলজিইডি’র আওতাধীন এই সেতুটি বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, আমাদের জীবন যেন সেতুর ওপরে ঝুলে আছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী ভ্যান, কৃষক, ব্যবসায়ী সবাইকে এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।


এলাকাবাসী জোর দাবি জানাচ্ছেন, 
এলজিইডি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি, যেন অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সেতু পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, অর্ধলক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।


জগন্নাথপুর এলজিইডি অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন,
 ইতিমধ্যে জগদীশপুর বড়খালের নব নির্মিতব্য সেতুর টেন্ডার হয়েছে। আশা করা যায়, যথা সম্ভব দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য সবাইকে সতর্কতা জানিয়ে সেতুর সম্মুখে সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।