ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ১ দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ স্বনির্ভর হতে সময় লাগবে না -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফেনী সাহিত্য ফোরামের আয়োজনে ভাষা সাহিত্য, সাংবািদকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ভোলায় গনঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও গণমিছিল    জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে পৈল কমিউনিটি ক্লিনিক  সভাপতি কামরান সাধারণ সম্পাদক সাহান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন পিআর পদ্ধতিতের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব: আলহাজ মাসুদ সাঈদী গৌরীপুরে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার গৌরীপুরের রুদিতা জাককানইবি’র ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম!

কাউখালীতে কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করছে

কাউখালীতে কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করছে

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। 
পিরোজপুরের কাউখালীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরেজমিনে বুধবার (৭ মে) উপজেলা সদর ইউনিয়নের কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সালে স্থাপিত হলেও ভবনের সমস্যা রয়েই গেছে।

বর্তমানে ১৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে ২৫ জন, প্রথম শ্রেণীতে ২০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ২২ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৩৩ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৩১ জন ও পঞ্চম শ্রেণীতে ৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে জরাজীর্ণ ভবনে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছেন। ভবনের প্লাস্টার ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষক সহ ছাত্র-ছাত্রীরা মাঝেমাঝে আহত হচ্ছে। জরাজীর্ণ ভবনে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা টেনশনে থাকে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিদ্যালয়টি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহি আক্তার ও নিবির কুন্ড বলেন, জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করতে আমাদের খুবই ভয় হয়। আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি।

ছাত্র অভিভাবক ফারজানা মুনমুন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আমাদের ছেলেমেয়েরা উক্ত বিদ্যালয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করে। আমরা সব সময়ই আতঙ্কে থাকি। এছাড়া বিদ্যালয়ের গভীর নলকূপটি দীর্ঘদিন যাবত অচল। ছেলে-মেয়েদের পানি খেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিথীকা সাহা জানান, অফিস কক্ষসহ প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীকক্ষ খুবই ঝুঁকির ভিতরে রয়েছে। মাঝে মাঝে প্লাস্টার খসে পড়ছে।আমার কাঁধের পাশে দুইবার প্লাস্টার ধসে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ভবন মেরামত দরকার।যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর দায়ভার কে নেবে?


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিবুর রহমান জানান, উক্ত বিদ্যালয়টি আমি সরেজমিনে দেখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভবনের ব্যাপারে অবহিত করেছি। আশা করি অবিলম্বেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ১

কাউখালীতে কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করছে

আপডেট সময় ০৬:২৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। 
পিরোজপুরের কাউখালীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরেজমিনে বুধবার (৭ মে) উপজেলা সদর ইউনিয়নের কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সালে স্থাপিত হলেও ভবনের সমস্যা রয়েই গেছে।

বর্তমানে ১৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে ২৫ জন, প্রথম শ্রেণীতে ২০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ২২ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৩৩ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৩১ জন ও পঞ্চম শ্রেণীতে ৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে জরাজীর্ণ ভবনে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছেন। ভবনের প্লাস্টার ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষক সহ ছাত্র-ছাত্রীরা মাঝেমাঝে আহত হচ্ছে। জরাজীর্ণ ভবনে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা টেনশনে থাকে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিদ্যালয়টি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহি আক্তার ও নিবির কুন্ড বলেন, জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করতে আমাদের খুবই ভয় হয়। আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি।

ছাত্র অভিভাবক ফারজানা মুনমুন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আমাদের ছেলেমেয়েরা উক্ত বিদ্যালয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করে। আমরা সব সময়ই আতঙ্কে থাকি। এছাড়া বিদ্যালয়ের গভীর নলকূপটি দীর্ঘদিন যাবত অচল। ছেলে-মেয়েদের পানি খেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিথীকা সাহা জানান, অফিস কক্ষসহ প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীকক্ষ খুবই ঝুঁকির ভিতরে রয়েছে। মাঝে মাঝে প্লাস্টার খসে পড়ছে।আমার কাঁধের পাশে দুইবার প্লাস্টার ধসে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ভবন মেরামত দরকার।যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর দায়ভার কে নেবে?


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিবুর রহমান জানান, উক্ত বিদ্যালয়টি আমি সরেজমিনে দেখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভবনের ব্যাপারে অবহিত করেছি। আশা করি অবিলম্বেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।