ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাঙ্গালহালিয়া সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক রনজিত কুমার রায়ের বিদায় সংবর্ধনা   নওগাঁয় বিএমডিএ কার্যালয়ের অবহেলা ও অযত্নে অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্র নষ্টের পথে দেখার কেউ নেই! ধর্ষণ মামলার আসামী শফিকুল রাজবাড়ীর পাংশায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে অবরোধকালে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২ মোটরসাইকেলে ৫৫ পিস ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব কর্তৃক মুন্সীগঞ্জের গোয়ালিমান্দ্রায় গ্রেফতার। ৫.১৭৫ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব কর্তৃক ফরিদপুরের কোতয়ালীতে গ্রেফতার। কটিয়াদী ফেকামারা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটি গঠন বিরামপুরে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন নওগাঁয় সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর ১ হাজার ৪শ বিঘা সম্পত্তি ভূমি দুস্যুদের দখলে দেখার কেউ নেই প্রশাসন নিরব! 

নওগাঁয় সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর ১ হাজার ৪শ বিঘা সম্পত্তি ভূমি দুস্যুদের দখলে দেখার কেউ নেই প্রশাসন নিরব! 

নওগাঁয় সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর ১ হাজার ৪শ বিঘা সম্পত্তি ভূমি দুস্যুদের দখলে দেখার কেউ নেই প্রশাসন নিরব! 

উজ্জ্বল কুমার প্রতিনিধি নওগাঁঃ
পতিত ফ্যাসিস্ট ভারতপন্থী অপশক্তি আওয়ামী লীগের লগি-বইঠা বাহিনীর দালাল অবৈধ সরকারের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এলাকার গড ফাদার, ত্রাস ও ভূমি দস্যু সাধন চন্দ্র মজুমদার ও তার দোসর নিয়ামতপুর-মান্দা এলাকার রাজখাড়া দেবোত্তর ষ্টেটের প্রায় ১ হাজার ৪শত বিঘা সম্পত্তিতে ওই দেবোত্তর সম্পত্তির দেবায়েতদের ঢুকতে দেয়নি। তারা জোরপূর্বক সমস্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করেই যাচ্ছে।
২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও ওই একই কায়দায় বিএনপির নামধারী কিছু ভূমিদস্যু সেই সম্পত্তি ভোগ দখলের পাঁয়তারা করছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নিয়ামতপুর-মান্দা রাজখাড়া ষ্টেটের উত্তরাধীকারী জমিদার কালিপদ রায়ের নাতি অশোক রায় বাপ্পি (অমিত রায়ের ছেলে)। এই সকল সম্পত্তি কসবা মান্দার জমিদার কালিপদ রায় ও দেবিপদ রায়ের।
১৯৪৯ সালে জমিদারী প্রথা উচ্ছেদ হলে ১৯৫১ সালের ২ নং ইবি অ্যাক্টের চ্যাপ্টারের ৪ বিধি মতে বাংলা ১৩৬৩ সালে জমিদারের সকল সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহন করে নেয়। দেবোত্তর ষ্টেটের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য বোর্ড অব রেভিনিউ ১৯৭২ সালের ১৫ জুন আদেশ জানালে রাজশাহীর ডিসির কার্যালয়ে ২৫০/৭৫ ক্ষতিপূরণ কেস হিসাবে রুজু করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৬ জুন ও ১৯৮৬ সালের ৬ নভেম্বর কেসটির নিস্পত্তি হয়। যার স্মারক নং রাজশাহী ডিসি কার্যালয় ৪৮৯ আরএম শাখা তারিখ ৫/৭/১৯৮৮।
ওই ক্ষতিপূরণ নিস্পত্তি বাবদ সরকার রাজখাড়া দেবোত্তর ষ্টেটের শ্রী শ্রী জয় কালি মাতার নামে ২৫০/৭৫//০২/১৫/৯৮ স্মারকে ২০০২ সালের ২ অক্টোবর ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৪নং শাখার ২০০২-৮৮০ নং স্মারকে ১ নং খাস খতিয়ান থেকে১ হাজার ৪শত বিঘা সম্পত্তি তাদের পছন্দমত নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ প্রদান করেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। ১ হাজার ৪শত বিঘার মধ্যে দীঘি, পুকুর ও চাষযোগ্য জমিও রয়েছে। হাইকোর্ট এও নির্দেশ প্রদান করেন যে, তাদের পছন্দ মত সম্পত্তি শ্রী শ্রী জয় কালি মাতার নামে হোল্ডিং খোলা ও খাজনা গ্রহনেরও। অথচ শ্রী শ্রী জয় কালি মাতা ও শ্রী শ্রী শরৎ কালি মাতা দেবোত্তর ষ্টেটের ওই সমস্ত সম্পত্তিতে বিগত ২০১১ সাল হতে ২০২৪ সালের আগষ্ট পর্যন্ত যেতে পারেনি। এখনও যেতে পারছেন না।
হাইকোর্ট ওই সব সম্পত্তি সরকারীভাবে ইজারা প্রদান থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ সমস্ত সম্পত্তি নিয়ামতপুর ও মান্দা উপজেলার প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নে রয়েছে। অথচ এত বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত দেবোত্তর ষ্টেটের সেবায়েতগণ কোন সম্পত্তিতে যেতে পারছেন না।
অশোক রায় বাপ্পি আরো বলেন, আমরা দেবোত্তর সম্পত্তি কাগজ অনুযায়ী বুঝিয়ে নিতে গেলেই ভূমি দস্যুরা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি হত্যারও হুমকি দিচ্ছে। আমি বিএনপির হাই কমান্ডের নিকট আকুল আবেদন জানাই,
শ্রী শ্রী জয় কালি মাতার নামে রাজখাড়া দেবোত্তর ষ্টেটের সম্পত্তি ন্যায় সংগতভাবে উদ্ধারের সার্বিক সহযোগতা করবেন বলে প্রত্যাশা করি। বিগত সরকারের দোসররা যেভাবে জবর দখল করে রেখেছিলো, এখন যেন তা না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তা না হলে গুটি কয়েক বিএনপি নামধারী ভূমিদস্যুর কারণে বিএনপির মত একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঙ্গালহালিয়া সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক রনজিত কুমার রায়ের বিদায় সংবর্ধনা  

নওগাঁয় সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর ১ হাজার ৪শ বিঘা সম্পত্তি ভূমি দুস্যুদের দখলে দেখার কেউ নেই প্রশাসন নিরব! 

আপডেট সময় ১০:২৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
উজ্জ্বল কুমার প্রতিনিধি নওগাঁঃ
পতিত ফ্যাসিস্ট ভারতপন্থী অপশক্তি আওয়ামী লীগের লগি-বইঠা বাহিনীর দালাল অবৈধ সরকারের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এলাকার গড ফাদার, ত্রাস ও ভূমি দস্যু সাধন চন্দ্র মজুমদার ও তার দোসর নিয়ামতপুর-মান্দা এলাকার রাজখাড়া দেবোত্তর ষ্টেটের প্রায় ১ হাজার ৪শত বিঘা সম্পত্তিতে ওই দেবোত্তর সম্পত্তির দেবায়েতদের ঢুকতে দেয়নি। তারা জোরপূর্বক সমস্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করেই যাচ্ছে।
২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও ওই একই কায়দায় বিএনপির নামধারী কিছু ভূমিদস্যু সেই সম্পত্তি ভোগ দখলের পাঁয়তারা করছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নিয়ামতপুর-মান্দা রাজখাড়া ষ্টেটের উত্তরাধীকারী জমিদার কালিপদ রায়ের নাতি অশোক রায় বাপ্পি (অমিত রায়ের ছেলে)। এই সকল সম্পত্তি কসবা মান্দার জমিদার কালিপদ রায় ও দেবিপদ রায়ের।
১৯৪৯ সালে জমিদারী প্রথা উচ্ছেদ হলে ১৯৫১ সালের ২ নং ইবি অ্যাক্টের চ্যাপ্টারের ৪ বিধি মতে বাংলা ১৩৬৩ সালে জমিদারের সকল সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহন করে নেয়। দেবোত্তর ষ্টেটের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য বোর্ড অব রেভিনিউ ১৯৭২ সালের ১৫ জুন আদেশ জানালে রাজশাহীর ডিসির কার্যালয়ে ২৫০/৭৫ ক্ষতিপূরণ কেস হিসাবে রুজু করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৬ জুন ও ১৯৮৬ সালের ৬ নভেম্বর কেসটির নিস্পত্তি হয়। যার স্মারক নং রাজশাহী ডিসি কার্যালয় ৪৮৯ আরএম শাখা তারিখ ৫/৭/১৯৮৮।
ওই ক্ষতিপূরণ নিস্পত্তি বাবদ সরকার রাজখাড়া দেবোত্তর ষ্টেটের শ্রী শ্রী জয় কালি মাতার নামে ২৫০/৭৫//০২/১৫/৯৮ স্মারকে ২০০২ সালের ২ অক্টোবর ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৪নং শাখার ২০০২-৮৮০ নং স্মারকে ১ নং খাস খতিয়ান থেকে১ হাজার ৪শত বিঘা সম্পত্তি তাদের পছন্দমত নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ প্রদান করেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। ১ হাজার ৪শত বিঘার মধ্যে দীঘি, পুকুর ও চাষযোগ্য জমিও রয়েছে। হাইকোর্ট এও নির্দেশ প্রদান করেন যে, তাদের পছন্দ মত সম্পত্তি শ্রী শ্রী জয় কালি মাতার নামে হোল্ডিং খোলা ও খাজনা গ্রহনেরও। অথচ শ্রী শ্রী জয় কালি মাতা ও শ্রী শ্রী শরৎ কালি মাতা দেবোত্তর ষ্টেটের ওই সমস্ত সম্পত্তিতে বিগত ২০১১ সাল হতে ২০২৪ সালের আগষ্ট পর্যন্ত যেতে পারেনি। এখনও যেতে পারছেন না।
হাইকোর্ট ওই সব সম্পত্তি সরকারীভাবে ইজারা প্রদান থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ সমস্ত সম্পত্তি নিয়ামতপুর ও মান্দা উপজেলার প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নে রয়েছে। অথচ এত বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত দেবোত্তর ষ্টেটের সেবায়েতগণ কোন সম্পত্তিতে যেতে পারছেন না।
অশোক রায় বাপ্পি আরো বলেন, আমরা দেবোত্তর সম্পত্তি কাগজ অনুযায়ী বুঝিয়ে নিতে গেলেই ভূমি দস্যুরা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি হত্যারও হুমকি দিচ্ছে। আমি বিএনপির হাই কমান্ডের নিকট আকুল আবেদন জানাই,
শ্রী শ্রী জয় কালি মাতার নামে রাজখাড়া দেবোত্তর ষ্টেটের সম্পত্তি ন্যায় সংগতভাবে উদ্ধারের সার্বিক সহযোগতা করবেন বলে প্রত্যাশা করি। বিগত সরকারের দোসররা যেভাবে জবর দখল করে রেখেছিলো, এখন যেন তা না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তা না হলে গুটি কয়েক বিএনপি নামধারী ভূমিদস্যুর কারণে বিএনপির মত একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।