ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজিবি ও বন বিভাগের যৌথ টহলকালে অবৈধ চিড়াই কাঠ বোঝাই পিক আপ আটক  কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজের দুইদিন পরে ভেসে উঠলো দুই ভাই মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিহাদ ফরিদপুরের কোতয়ালীতে র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। সৎ দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক তৈরি আমাদের অঙ্গীকার শিবির সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম তানোরে অভ্যন্তরীন বোরো ধান চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন ১৭০ পিস ইয়াবাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষা আব্দুল মজিদের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  ২২ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুড়িচংয়ে তেল কম দেওয়ায় একটি পেট্রোল পাম্প সিলগালা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত দাবিতে মানববন্ধন

প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পালাক্রমে ধর্ষণ : কবিরাজের ছদ্মবেশে তিন ধর্ষক, আটক ২

প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পালাক্রমে ধর্ষণ : কবিরাজের ছদ্মবেশে তিন ধর্ষক, আটক ২

 

মোঃ মোহন মিয়া স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১নং অমরখানা ইউনিয়নের মডেল হাট বাজার এলাকায় ‘জিন তাড়ানো’ ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে তিন ভণ্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে, অপর একজন পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ২৯ বছর বয়সী ওই নারী জানান, পরিচিত মাহবুব (৪৩) নামের এক ব্যক্তি নিজেকে কবিরাজ পরিচয়ে তার পারিবারিক সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে তার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। কিছুদিন পর মাহবুব নানা প্রলোভনে রাতের অন্ধকারে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

ভয়াবহতার চূড়ান্ত রূপ নেয় ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাতে, যখন মাহবুব আরও দুই সহযোগী—আজিজুল ওরফে নুর নবী (২৩) এবং শহিদুল ইসলাম (৩৫)—কে নিয়ে এসে ওই নারীকে জানায়, তার সমস্যার পুরো সমাধান করতে হলে তাদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ওই তিনজন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পালিয়ে যায়।

নারীটি আরও অভিযোগ করেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তিনি আসামিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। একাকী, নির্জন বাড়িতে বসবাস এবং স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগ নিয়ে তার উপর এমন নৃশংসতা চালানো হয় বলে জানান তিনি।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী সাহস করে পঞ্চগড় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার তদন্ত কর্মকর্তা এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী জানান, “মামলার প্রেক্ষিতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামিকে আটকে অভিযান চলছে।”

এ ঘটনাটি শুধু আইনশৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘনই নয়, বরং সমাজের ধর্মীয় ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দিয়েছে। জনসচেতনতা ও নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি গভীর বার্তা বহন করে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজিবি ও বন বিভাগের যৌথ টহলকালে অবৈধ চিড়াই কাঠ বোঝাই পিক আপ আটক 

প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পালাক্রমে ধর্ষণ : কবিরাজের ছদ্মবেশে তিন ধর্ষক, আটক ২

আপডেট সময় ১০:০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

মোঃ মোহন মিয়া স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১নং অমরখানা ইউনিয়নের মডেল হাট বাজার এলাকায় ‘জিন তাড়ানো’ ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে তিন ভণ্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে, অপর একজন পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ২৯ বছর বয়সী ওই নারী জানান, পরিচিত মাহবুব (৪৩) নামের এক ব্যক্তি নিজেকে কবিরাজ পরিচয়ে তার পারিবারিক সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে তার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। কিছুদিন পর মাহবুব নানা প্রলোভনে রাতের অন্ধকারে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

ভয়াবহতার চূড়ান্ত রূপ নেয় ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাতে, যখন মাহবুব আরও দুই সহযোগী—আজিজুল ওরফে নুর নবী (২৩) এবং শহিদুল ইসলাম (৩৫)—কে নিয়ে এসে ওই নারীকে জানায়, তার সমস্যার পুরো সমাধান করতে হলে তাদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ওই তিনজন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পালিয়ে যায়।

নারীটি আরও অভিযোগ করেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তিনি আসামিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। একাকী, নির্জন বাড়িতে বসবাস এবং স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগ নিয়ে তার উপর এমন নৃশংসতা চালানো হয় বলে জানান তিনি।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী সাহস করে পঞ্চগড় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার তদন্ত কর্মকর্তা এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী জানান, “মামলার প্রেক্ষিতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামিকে আটকে অভিযান চলছে।”

এ ঘটনাটি শুধু আইনশৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘনই নয়, বরং সমাজের ধর্মীয় ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দিয়েছে। জনসচেতনতা ও নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি গভীর বার্তা বহন করে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।