মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪- ২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের জন্য নানামুখী সেবায় নিয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে হবে ৩৯ জরুরি বাইক সার্ভিস্ ৩৯ চিকিৎসা সেবায় ৩৯ মেডিকেল ক্যাম্প্ ৩৯ নির্দেশনা ও সহযোগিতা প্রদানে ৩৯ হেল্পডেস্ক্ ৩৯ চালুসহ দিচ্ছে নানাবিধ সেবা।
এতে ছাত্রদলের প্রতি খুশি সংশ্লিষ্ট সকলে, ভাসাচ্ছেন প্রশংসায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছাতে বেশ খানিকটা সময় লাগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন না পরীক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের এই সংকট কাটাতে ছাত্রদলের জরুরী বাইক সার্ভিস প্রশংসা কুড়াচ্ছে সবার মাঝে।
বিভিন্ন শারিরীক সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিক মেডিকেল সেবা নজর কেড়েছে সেবাগ্রহীতাদের। অন্যদিকে হেল্প ডেস্ক থেকে সুপেয় পানি-স্যালাইন সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানোসহ নির্দেশনা প্রদানের বিষয়গুলো বেশ সাড়া ফেলেছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) ্ ৩৯ এ্ ৩৯ ইউনিট তথা কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, টুকিটাকি চত্বর, বুদ্ধিজীবী চত্বর, প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনেসহ মোট ১১টি বুথ বসিয়েছে ছাত্রদল।
পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থী আবির মাহমুদ বলেন, ছাত্রদলের বাইক সার্ভিস খুব ভালো একটা উদ্যোগ। আমি একা প্রথম রাজশাহীতে এসেছি কিছুই চিনি না। ভাইদেরকে বলার পর তারা আমাকে যে ভবনে পরীক্ষা সেখানে নামিয়ে দিয়ে গেলেন। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা কেন্দ্র চিনে না তাদের জন্য এটা খুবই হেল্পফুল।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্ধসঢ়, বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাইক সার্ভিসের বাইকগুলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছে। এখানে সর্বমোট ১১টি বাইক কাজ করছে। বাইক সার্ভিস্৩৯;র তত্ত¡বাবধানে রয়েছে ছাত্রদলের কর্মী নাহিউল জীবন। এছাড়াও আমাদের মেডিকেল সেবা, ট্রাফিক সেবা, খাবার পানি, স্যালাইন, শিক্ষার্থীদের তথ্যসেবা, অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
রাবি ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে আছে বলে জানান তিনি। উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ধসঢ় হাসান নকীব বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল বা স্বেচ্ছাসেবী দল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় কাজ করবে ততক্ষণ আমি তাদের প্রশংসা করবো। তারা যে মিটিং মিছিল বাদ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করছে এটা সত্যি প্রশংসনীয়।