ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রশাসনিক পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইবির উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল রাঙ্গাবালীতে সংরক্ষিত বনে মহিষ চুরির অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার আড়াই বছরের সন্তান রেখে মায়ের আত্মহত্যা। ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার ০১ জন আসামিকে আটক করেছে র‌্যাব। সাতকানিয়ায় গতকাল রাতে ২জন হত্যা একটি পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকান্ড চিকিৎসকদের সম্মানে এনডিএফ-এর ইফতার মাহফিলে ক্ষমতা নয়, দুনিয়াতে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর -ডা. শফিকুর রহমান। ধনবাড়ীতে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪ গৌরীপুরে নকল জুস কারখানায় অভিযান, মালিককে কারা ও অর্থদণ্ড, কারখানা সীলগালা ট্রিপল মার্ডার মামলায় আরও ০১ জন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য বানারীপাড়ার দুই মেধাবী সন্তান

নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক,ধ্বংসের পথে যুব সমাজ

নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক,ধ্বংসের পথে যুব সমাজ

 

বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি :

নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক,ধ্বংসের পথে যুব সমাজ।

নওগাঁয় বেড়েছে মাদকের কারবার। জেলা শহরের ১৫টিরও বেশি চিহ্নিত স্পটে চলছে মাদক দ্রব্যে কেনাবেচা। এতে শহরজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মাদকসেবীর সংখ্যা। মাদকের টাকা যোগাতে শহরে অপহরণের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, নওগাঁয় সংঘবদ্ধ পাচারকারী দল তৎপর হয়ে উঠেছে। কিছুদিন থেকে হঠাৎ করে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে অপহরণ ও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। বাসা-বাড়ির পাশাপাশি চুরি হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। সেই সঙ্গে বেড়েছে মোটরসাইকেল ও গরু চুরির ঘটনা।

সচেতন মহল বলছেন, জেলা শহরের কলোনী , তাজের মোর এলাকা, মাছ বাজার, ঔষধ পট্টি এলাকা, চকপ্রাণ , শাহী মসজিদ এলাকা, মৃধা পাড়া, কালীতলা ,আরজি নওগাঁ উত্তর পাড়া, আরজি নওগাঁ ডাংগাপাড়া, ফয়েজ উদ্দিন কলেজ সংলগ্ন দুর্গাপুর এলাকা,ঈদুরবটতলী সহ ১৫টির বেশি চিহ্নিত স্পটে চলছে মাদক কেনাবেচা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর জমে উঠছে মাদকের কারবার এসব এলাকায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার অভাবে মাদক সহজলভ্য হয়ে উঠেছে বলে দাবি তাদের।

জেলা শহরের পাশাপাশি সারা উপজেলাতেও বাড়ছে মাদকের ছড়াছড়ি। মাদকের স্পষ্টগুলো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ১০-১২ জন খুচরা মাদক ব্যবসায়ী জানান, পুলিশকে ম্যানেজ না করে মাদক ব্যবসায় টিকে থাকা অসম্ভব। সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছেন তারা।

আরমান হোসেন, এনামুল হক, রাকিবুল ইসলামসহ ১৮-২০ জন কলেজ শিক্ষার্থী জানান, নওগাঁ জেলা এখন হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য। মাদকের নীল ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম, যা ভবিষ্যতের জন্য চরম উদ্বেগজনক। অবৈধ মাদক কারবার দ্রুত বন্ধ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।

জানতে চেয়ে মুঠোফোনে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন জানান , মাদক নিয়ন্ত্রণে নওগাঁয় মোট চারটি বাহিনী কাজ করে। তাদের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলছে। মাদক উদ্ধারসহ ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

নওগাঁ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এর মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,মাদকবিক্রেতা সদস্যদের তালিকা করে নিয়মিত গ্রেফতার করা হচ্ছে যেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও কাজ করছে।

কিছুদিন আগে ৩০জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাদক বন্ধে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক সভাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনিক পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইবির উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল

নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক,ধ্বংসের পথে যুব সমাজ

আপডেট সময় ০১:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি :

নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক,ধ্বংসের পথে যুব সমাজ।

নওগাঁয় বেড়েছে মাদকের কারবার। জেলা শহরের ১৫টিরও বেশি চিহ্নিত স্পটে চলছে মাদক দ্রব্যে কেনাবেচা। এতে শহরজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মাদকসেবীর সংখ্যা। মাদকের টাকা যোগাতে শহরে অপহরণের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, নওগাঁয় সংঘবদ্ধ পাচারকারী দল তৎপর হয়ে উঠেছে। কিছুদিন থেকে হঠাৎ করে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে অপহরণ ও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। বাসা-বাড়ির পাশাপাশি চুরি হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। সেই সঙ্গে বেড়েছে মোটরসাইকেল ও গরু চুরির ঘটনা।

সচেতন মহল বলছেন, জেলা শহরের কলোনী , তাজের মোর এলাকা, মাছ বাজার, ঔষধ পট্টি এলাকা, চকপ্রাণ , শাহী মসজিদ এলাকা, মৃধা পাড়া, কালীতলা ,আরজি নওগাঁ উত্তর পাড়া, আরজি নওগাঁ ডাংগাপাড়া, ফয়েজ উদ্দিন কলেজ সংলগ্ন দুর্গাপুর এলাকা,ঈদুরবটতলী সহ ১৫টির বেশি চিহ্নিত স্পটে চলছে মাদক কেনাবেচা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর জমে উঠছে মাদকের কারবার এসব এলাকায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার অভাবে মাদক সহজলভ্য হয়ে উঠেছে বলে দাবি তাদের।

জেলা শহরের পাশাপাশি সারা উপজেলাতেও বাড়ছে মাদকের ছড়াছড়ি। মাদকের স্পষ্টগুলো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ১০-১২ জন খুচরা মাদক ব্যবসায়ী জানান, পুলিশকে ম্যানেজ না করে মাদক ব্যবসায় টিকে থাকা অসম্ভব। সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছেন তারা।

আরমান হোসেন, এনামুল হক, রাকিবুল ইসলামসহ ১৮-২০ জন কলেজ শিক্ষার্থী জানান, নওগাঁ জেলা এখন হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য। মাদকের নীল ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম, যা ভবিষ্যতের জন্য চরম উদ্বেগজনক। অবৈধ মাদক কারবার দ্রুত বন্ধ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।

জানতে চেয়ে মুঠোফোনে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন জানান , মাদক নিয়ন্ত্রণে নওগাঁয় মোট চারটি বাহিনী কাজ করে। তাদের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলছে। মাদক উদ্ধারসহ ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

নওগাঁ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এর মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,মাদকবিক্রেতা সদস্যদের তালিকা করে নিয়মিত গ্রেফতার করা হচ্ছে যেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও কাজ করছে।

কিছুদিন আগে ৩০জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাদক বন্ধে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক সভাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।