সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি সড়কের পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে একটু বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। বেহাল হয়ে পড়া এসব সড়কগুলোতে এখন প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা লেগেই আছে।
এছাড়া অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে একটু বৃষ্টিতেই পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের ওপর হাঁটু সমান পানি জমে পৌরবাসীর অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌর শহরের টিঅ্যান্ডটি মোড় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণার পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা চরম বেহাল।
২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে বাইপাস সড়ক দিয়ে বাসস্ট্যান্ড ও কলেজ মোড় আবার কলেজ মোড় থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর হাই স্কুল-বাজার এবং ডাকবাংলো-ঘোষের বাড়ি সড়ক বেহাল হয়ে সর্বসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই চিত্র পৌর শহরের অন্য ওয়ার্ডগুলোর সড়কেরও। এছাড়া রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ করা ও রাস্তা কেটে ব্যক্তিগত বাসা-বাড়ির পানির লাইন ড্রেনের সাথে সংযোগ দেওয়ার ফলে রাস্তাগুলো ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
ভূক্তভোগী পৌরবাসী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কার না করায় প্রতিটি সড়ক খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। ওইসব সড়ক দিয়ে ছোট ছোট যানবাহনতো দূরের কথা জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে গিয়েও অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে পৌর শহরের ১৪টি খালের অধিকাংশ বেদখল হয়ে গেছে। খালগুলো উদ্ধারে পৌর কর্তৃপক্ষকে কখনও কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে পৌরসভার অধিকাংশ খাল, শতাধিক পুকুর ও ডোবা-নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও দীর্ঘদিনেও ড্রেন পরিস্কার না করার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই পৌর শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান হাফিজ বলেন, পৌর শহরের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়া বেহাল সড়কগুলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে পৌরসভায় এ সংক্রান্ত মিটিংও করা হয়েছে।