ঢাকা , শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এনসিপি”র কার্যালয় উচ্ছেদের হুমকির অভিযোগ, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।  বোয়ালখালীর এক যুগে ও সংস্কার হয়নি সিপাহীরঘোনা সড়ক দুর্ভোগে স্কুল শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ। স্কুল পর্যায় যৌন হয়রানী প্রতিরোধে গৌরনদীতে কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত বড় দল কোনো দলের মৌলিক পরিচয় হতে পারে না – সাবেক এমপি ডা. তাহের  ব্রাহ্মণপাড়ায় বিএনপির অফিস উদ্বোধন  পার্বতীপুরের মৌলভীর ডাঙ্গা সরকারি প্রা, বিদ্যালয়ে মা” সমাবেশ ও গ্রীন স্কুল বৃক্ষ রোপণ।  রাজশাহী নগরীতে গাঁজা-সহ মাদক কারবারী জহুরুল গ্রেফতার।  গৌরীপুরে শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ।  আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য দেশ জাতির কল্যাণে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে-ফেনীতে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চুক্তির প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ।

লেফটেন্যান্ট তৌকির রাজশাহীতে চীরনিদ্রায় শায়িত।

লেফটেন্যান্ট তৌকির রাজশাহীতে চীরনিদ্রায় শায়িত।

মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি।

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামকে রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে। 
মঙ্গলবার বিকেলে নগরের সপুরা গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তৌকিরের প্রথম একা বিমান ওড়ানোর আনন্দে ছিল পরিবার, বিধ্বস্তের খবরে কান্নার রোল ২১ জুলাই ২০২৫ তৌকিরের প্রথম একা বিমান ওড়ানোর আনন্দে ছিল পুরো পরিবারে, বিধ্বস্তের খবরে কান্নার রোল পরে যায়।

বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে তৌকিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনসহ সেনা ও বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আত্মীয়স্বজন এবং সাধারণ লোকজন অংশ নেন। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে ।

নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম জানাজার আগে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম ও মামা মতিউর রহমান।
তহুরুল ইসলাম বলেন, আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি। ডুকরে কেঁদে উঠে তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের সবার জন্য দোয়া চান তৌকির ইসলামের বাবা।
এর আগে, বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তৌকিরের মরদেহ রাজশাহী সেনানিবাসে নেওয়া হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে সেনানিবাসের পাশেই নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে ভাড়া বাসায় তৌকিরের মরদেহ নেওয়া হয়। এ সময় অসংখ্য মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করেন। বাড়ির সামনে কিছু সময় মরদেহবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়। পরে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয় জানাজার জন্য।
তৌকির ইসলামের বাবা তহুরুল ইসলাম ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বাস করেন। তাঁর একমাত্র ছেলে তৌকিরের বেড়ে ওঠা রাজশাহীতেই। তৌকির রাজশাহীর ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে এসএসসি ও ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে তিনি বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।
বছরখানেক আগে তৌকির বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। প্রশিক্ষণের শেষ ধাপে গত সোমবার একা (সলো) যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে উড়েছিলেন তৌকির। একজন বৈমানিকের জীবনে থাকে এটি বিশেষ দিন। সেদিনই বিমানটি রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে তৌকির প্রাণ হারান।
আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

এনসিপি”র কার্যালয় উচ্ছেদের হুমকির অভিযোগ, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। 

লেফটেন্যান্ট তৌকির রাজশাহীতে চীরনিদ্রায় শায়িত।

আপডেট সময় ০৫:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি।

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামকে রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে। 
মঙ্গলবার বিকেলে নগরের সপুরা গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তৌকিরের প্রথম একা বিমান ওড়ানোর আনন্দে ছিল পরিবার, বিধ্বস্তের খবরে কান্নার রোল ২১ জুলাই ২০২৫ তৌকিরের প্রথম একা বিমান ওড়ানোর আনন্দে ছিল পুরো পরিবারে, বিধ্বস্তের খবরে কান্নার রোল পরে যায়।

বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে তৌকিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনসহ সেনা ও বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আত্মীয়স্বজন এবং সাধারণ লোকজন অংশ নেন। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে ।

নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম জানাজার আগে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম ও মামা মতিউর রহমান।
তহুরুল ইসলাম বলেন, আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি। ডুকরে কেঁদে উঠে তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের সবার জন্য দোয়া চান তৌকির ইসলামের বাবা।
এর আগে, বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তৌকিরের মরদেহ রাজশাহী সেনানিবাসে নেওয়া হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে সেনানিবাসের পাশেই নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে ভাড়া বাসায় তৌকিরের মরদেহ নেওয়া হয়। এ সময় অসংখ্য মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করেন। বাড়ির সামনে কিছু সময় মরদেহবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়। পরে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয় জানাজার জন্য।
তৌকির ইসলামের বাবা তহুরুল ইসলাম ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বাস করেন। তাঁর একমাত্র ছেলে তৌকিরের বেড়ে ওঠা রাজশাহীতেই। তৌকির রাজশাহীর ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে এসএসসি ও ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে তিনি বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।
বছরখানেক আগে তৌকির বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। প্রশিক্ষণের শেষ ধাপে গত সোমবার একা (সলো) যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে উড়েছিলেন তৌকির। একজন বৈমানিকের জীবনে থাকে এটি বিশেষ দিন। সেদিনই বিমানটি রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে তৌকির প্রাণ হারান।