ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের জোরদিগিতে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা গৌরীপুরের মারুফা হতে চায় বিসিএস ক্যাডার কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা  মাদ্রাসার ৪ একর জায়গা অবৈধ্য দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। মঠবাড়িয়ায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল মেঘনায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার। বাগমারায় কে বা কাহারা বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করছে  গৌরনদীতে বর্ষাবরণ ও কবি-সাহিত্যিকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় কৃতকার্য সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এমপি পদপ্রার্থী ড. মোবারক হোসাইন  দিনভর গণসংযোগ ও বিএনপি’র অফিস পরিদর্শন করেন হাজী জসিম উদ্দিন জসিম

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে চার দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার 

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে চার দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার 

নিজস্ব প্রতিবেদক- দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং সম্প্রতি রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ। এ দায়ভার বিএনপিকেই নিতে হবে।তাঁরা অভিযোগ করেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে চাঁদাবাজি ও সহিংসতার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ইমরান হোসাইন নূর বলেন, একজন নাগরিক চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতার হাতে নির্মমভাবে খুন হন এ ঘটনা প্রমাণ করে আজ বাংলাদেশে ইনসাফ, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার কেবলই অলীক কল্পনা। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম ঘটছে, অথচ অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে বিচারের বাইরে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, একটি রাষ্ট্র তখনই ব্যর্থ হয়, যখন নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। মিডফোর্ডের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, আজ বাংলাদেশ একটি জবাবদিহিহীন, ইনসাফবিহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মায়ের কোলে শিশু, রাস্তায় পথচারী কেউ নিরাপদ নয়।


ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাবলিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, 
জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছিল খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের লাগাম টেনে ধরার জন্য। কিন্তু এখন আবার বিএনপির সন্ত্রাসীরা দেশকে একটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে ছাত্রসমাজই হবে ইনসাফের জাগ্রত কণ্ঠস্বর।

বক্তারা আরও বলেন, নারী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হলেও বিচার হয় না। খুনের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিশ্চুপ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাস এখন ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় চলছে। কথিত উন্নয়নের আড়ালে চলছে এক নির্মম মানবিক ধ্বংসযজ্ঞ।

চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন নেতৃবৃন্দ:-
১. মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ডের দ্রুত, নিরপেক্ষ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. দেশব্যাপী ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জরুরি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. বিচারহীনতা রোধে রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতিতে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৪. ইসলামবিরোধী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অপকৌশল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

আজকের বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুরুল হক শান্ত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইলিয়াস তালুকদার, দাওয়াহ সম্পাদক নুরুল জান্নাত মান্না, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মুইনুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক ইকরামুল কবির, প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক সাদমান সাকিব, সাহিত্য সম্পাদক সিয়াম হোসাইন আফজালসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের জোরদিগিতে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে চার দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার 

আপডেট সময় ১২:৪৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক- দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং সম্প্রতি রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ। এ দায়ভার বিএনপিকেই নিতে হবে।তাঁরা অভিযোগ করেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে চাঁদাবাজি ও সহিংসতার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ইমরান হোসাইন নূর বলেন, একজন নাগরিক চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতার হাতে নির্মমভাবে খুন হন এ ঘটনা প্রমাণ করে আজ বাংলাদেশে ইনসাফ, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার কেবলই অলীক কল্পনা। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম ঘটছে, অথচ অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে বিচারের বাইরে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, একটি রাষ্ট্র তখনই ব্যর্থ হয়, যখন নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। মিডফোর্ডের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, আজ বাংলাদেশ একটি জবাবদিহিহীন, ইনসাফবিহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মায়ের কোলে শিশু, রাস্তায় পথচারী কেউ নিরাপদ নয়।


ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাবলিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, 
জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছিল খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের লাগাম টেনে ধরার জন্য। কিন্তু এখন আবার বিএনপির সন্ত্রাসীরা দেশকে একটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে ছাত্রসমাজই হবে ইনসাফের জাগ্রত কণ্ঠস্বর।

বক্তারা আরও বলেন, নারী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হলেও বিচার হয় না। খুনের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিশ্চুপ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাস এখন ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় চলছে। কথিত উন্নয়নের আড়ালে চলছে এক নির্মম মানবিক ধ্বংসযজ্ঞ।

চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন নেতৃবৃন্দ:-
১. মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ডের দ্রুত, নিরপেক্ষ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. দেশব্যাপী ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জরুরি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. বিচারহীনতা রোধে রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতিতে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৪. ইসলামবিরোধী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অপকৌশল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

আজকের বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুরুল হক শান্ত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইলিয়াস তালুকদার, দাওয়াহ সম্পাদক নুরুল জান্নাত মান্না, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মুইনুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক ইকরামুল কবির, প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক সাদমান সাকিব, সাহিত্য সম্পাদক সিয়াম হোসাইন আফজালসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।