ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩ মাসের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে প্রতিকি কাফন মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বিয়ের দিনই আত্মহত্যা করলো বর জুলাই শহীদদের মাগফেরাতে বাকৃবি ছাত্রশিবিরের দোয়া মাহফিল  বানারীপাড়ায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে স্কুল ছাত্রী অপহরণ  ভূঞাপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা বানারীপাড়া বালিকা বিদ্যালয় এসএসির ফলাফলে এবারও সেরা কুবিতে ১১ জুলাই প্রথম প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের, পরিচয় মিললো ২জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। গণতন্ত্র সুসংহত রাখতে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে কাজ করতে হবে- মিফতাহ্ সিদ্দিকী লালমাইয়ে মাদক সেবন ও সংরক্ষণের দায়ে কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন ইউএনও হিমাদ্রী খীসা

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে সাপে কামরের ভ্যাকসিনের অভাবে ৬ বছরের শিশু মৃ”ত্যু

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে সাপে কামরের ভ্যাকসিনের অভাবে ৬ বছরের শিশু মৃ"ত্যু

মো নাহিদুর রহমান শামীম ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি।


মানিকগঞ্জে এত বড় বড় সরকারি বেসরকারি হসপিটাল থাকা সত্ত্বেও একটা ভ্যাকসিনের অভাবে সাপে কাটা ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাহলে মানিকগঞ্জে এত বড় মেডিকেল কলেজ করার দরকার ছিলো কি, একটা দরিদ্র মানুষ সরকারি হসপিটালে গেলে তারা সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয় ডাক্তাররা বলে ওষুধ নাই মানা করে দেয়, এই তামাসার হাসপাতালে দরকার কি যদি মানুষের জীবন না বাঁচে।

মানিকগঞ্জ সদরের মানুষ সব উপজেলার চাইতে স্বার্থপর যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে বিপদে না পড়বে কখনো প্রতিবাদ করে না। সদর হাসপাতাল অনিয়ম নিয়ে এত সংবাদ প্রকাশ হয়েছে ছাত্রজনতা কোনো প্রতিবদ করেনাই আজ পর্যন্ত কোন একটা মানববন্ধন ঠিকমতো করতে পারেনি। চোর বাটপার দিয়ে বড় এই হাসপাতাল ২ টাই।

মানিকগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে এন্টিভেনোম না থাকায় মুন্নি আক্তার (৬) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় সাপে কামড় দেওয়ার পর দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও, সেখানে প্রয়োজনীয় এন্টিভেনোম না থাকায় শিশুটিকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও এন্টিভেনোম না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

তবে ঢাকায় নেওয়ার পথে, রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে নয়াডিঙ্গী এলাকায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরা চরপাড়া গ্রামের সাগর বিশ্বাসের মেয়ে। তার চাচা এরশাদ বলেন, “সদর হাসপাতালে নিলে তখনও ওর জ্ঞান ছিল, এমনকি মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পরও বেঁচে ছিল। কিন্তু দুইটি সরকারি হাসপাতালে এন্টিভেনোম না পাওয়ার কারণে আমাদের মুন্নিকে হারাতে হলো। এটা সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক চরম ব্যর্থতা।”

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, “আমরা অনেক আগেই এন্টিভেনোমের চাহিদা পাঠিয়েছি, কিন্তু এখনও সরবরাহ আসেনি। সাধারণত সাপের কামড়ে যেসব রোগী আসে, তাদের সিম্পটোমেটিক ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। তবে শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি আমি আগামীকাল হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখব।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ মাসের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে প্রতিকি কাফন মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে সাপে কামরের ভ্যাকসিনের অভাবে ৬ বছরের শিশু মৃ”ত্যু

আপডেট সময় ১০:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

মো নাহিদুর রহমান শামীম ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি।


মানিকগঞ্জে এত বড় বড় সরকারি বেসরকারি হসপিটাল থাকা সত্ত্বেও একটা ভ্যাকসিনের অভাবে সাপে কাটা ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাহলে মানিকগঞ্জে এত বড় মেডিকেল কলেজ করার দরকার ছিলো কি, একটা দরিদ্র মানুষ সরকারি হসপিটালে গেলে তারা সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয় ডাক্তাররা বলে ওষুধ নাই মানা করে দেয়, এই তামাসার হাসপাতালে দরকার কি যদি মানুষের জীবন না বাঁচে।

মানিকগঞ্জ সদরের মানুষ সব উপজেলার চাইতে স্বার্থপর যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে বিপদে না পড়বে কখনো প্রতিবাদ করে না। সদর হাসপাতাল অনিয়ম নিয়ে এত সংবাদ প্রকাশ হয়েছে ছাত্রজনতা কোনো প্রতিবদ করেনাই আজ পর্যন্ত কোন একটা মানববন্ধন ঠিকমতো করতে পারেনি। চোর বাটপার দিয়ে বড় এই হাসপাতাল ২ টাই।

মানিকগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে এন্টিভেনোম না থাকায় মুন্নি আক্তার (৬) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় সাপে কামড় দেওয়ার পর দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও, সেখানে প্রয়োজনীয় এন্টিভেনোম না থাকায় শিশুটিকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও এন্টিভেনোম না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

তবে ঢাকায় নেওয়ার পথে, রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে নয়াডিঙ্গী এলাকায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরা চরপাড়া গ্রামের সাগর বিশ্বাসের মেয়ে। তার চাচা এরশাদ বলেন, “সদর হাসপাতালে নিলে তখনও ওর জ্ঞান ছিল, এমনকি মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পরও বেঁচে ছিল। কিন্তু দুইটি সরকারি হাসপাতালে এন্টিভেনোম না পাওয়ার কারণে আমাদের মুন্নিকে হারাতে হলো। এটা সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক চরম ব্যর্থতা।”

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, “আমরা অনেক আগেই এন্টিভেনোমের চাহিদা পাঠিয়েছি, কিন্তু এখনও সরবরাহ আসেনি। সাধারণত সাপের কামড়ে যেসব রোগী আসে, তাদের সিম্পটোমেটিক ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। তবে শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি আমি আগামীকাল হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখব।