ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা বার্ষিক ভ্রমণে টাঙ্গুয়ার হাওরের পথে আমাদের কর্মকান্ডে ধানের শীষের একটি ভোট যেন অন্য দিকে না যায় সহ-সভাপতি নাজমা সরকার ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার অভিযানে ট্রাক চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার ০১ কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু তানোর-বায়া সড়কের ২ টি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ খুলছে না নতুন ব্রিজের রাস্তা  নকলায় সংবর্ধিত হলেন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতি গ্রস্তদের পাশে ব্যারিস্টার মামুন, ফায়ার সার্ভিস করে দেওয়ার আশ্বাস চুরির অপবাদ দিয়ে ব্রাহ্মণপাড়ায় এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত কুমিল্লা মিরপুর সড়ক চার লেনে উন্নীত করার দাবীতে মানববন্ধন বৈষম্যহীন ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই -মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টায় ব্যস্ত রায়গঞ্জের পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টায় ব্যস্ত রায়গঞ্জের পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা

মোঃ আখতার হোসেন হিরন, স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলামের অনিয়মের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার চেষ্টা করছেন। সেই সাথে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনায় বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ প্রকাশের জেরে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন৷ তার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট শরণাপন্ন হন। সেখানে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ওই সাংবাদিকেরা কোন আপোষ না করে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান। সেখানে প্রতিবেদকের কোন বক্তব্য না থাকায় এক তরফা বক্তব্য উপস্থাপন হয়েছে বলে মনে করছেন প্রবীণ গণমাধ্যম কর্মীরা।
রায়গঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের ওই কর্মকর্তার সংবাদ প্রকাশের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আপলোড হওয়ার পর সচেতন মানুষের মধ্যে অনেকেই পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কথা কমেন্টে জানান। 
উল্লেখ থাকে যে, এ কর্মকর্তা ২০২১ সাল থেকে রায়গঞ্জ উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োজিত রয়েছেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তার বদলির আদেশ আসে। তারপর তিনি বিভিন্ন ভাবে তদবির করে সেই বদলির আদেশকেও ‘ম্যানেজ করে’ বহাল তবিয়তে রয়েছে। চাকুরি জীবনে বদলি থাকবেই সেই নিয়মকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি কর্মরত রয়েছেন। এতে সচেতন মহলের মাঝে এক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সংবাদ প্রকাশের পর ওই সাংবাদিকেরা আমার সাথে বসতে চেয়েছিলেন। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিছু বলার নাই। আমি সম্পাদকের কাছে আবেদন পাঠিয়েছি। তিনি সব করেছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলেন, সাংবাদিকেরা নন। পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম আমাকে বলেছিলেন সাংবাদিকেরা ঝামেলা করছে। তাই আপনি একটু তাদের নিয়ে বসার ব্যবস্থা করেন। তার পরই আমি আরডিও শফিকুল ইসলামের অনুরোধে আমার অফিসে ওই সাংবাদিকদের ডাকি। আলোচনা শেষে সাংবাদিকেরা আমার অফিস থেকে চলে যান।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা বার্ষিক ভ্রমণে টাঙ্গুয়ার হাওরের পথে

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টায় ব্যস্ত রায়গঞ্জের পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৬:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
মোঃ আখতার হোসেন হিরন, স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলামের অনিয়মের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার চেষ্টা করছেন। সেই সাথে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনায় বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ প্রকাশের জেরে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন৷ তার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট শরণাপন্ন হন। সেখানে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ওই সাংবাদিকেরা কোন আপোষ না করে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান। সেখানে প্রতিবেদকের কোন বক্তব্য না থাকায় এক তরফা বক্তব্য উপস্থাপন হয়েছে বলে মনে করছেন প্রবীণ গণমাধ্যম কর্মীরা।
রায়গঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের ওই কর্মকর্তার সংবাদ প্রকাশের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আপলোড হওয়ার পর সচেতন মানুষের মধ্যে অনেকেই পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কথা কমেন্টে জানান। 
উল্লেখ থাকে যে, এ কর্মকর্তা ২০২১ সাল থেকে রায়গঞ্জ উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োজিত রয়েছেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তার বদলির আদেশ আসে। তারপর তিনি বিভিন্ন ভাবে তদবির করে সেই বদলির আদেশকেও ‘ম্যানেজ করে’ বহাল তবিয়তে রয়েছে। চাকুরি জীবনে বদলি থাকবেই সেই নিয়মকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি কর্মরত রয়েছেন। এতে সচেতন মহলের মাঝে এক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সংবাদ প্রকাশের পর ওই সাংবাদিকেরা আমার সাথে বসতে চেয়েছিলেন। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিছু বলার নাই। আমি সম্পাদকের কাছে আবেদন পাঠিয়েছি। তিনি সব করেছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলেন, সাংবাদিকেরা নন। পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম আমাকে বলেছিলেন সাংবাদিকেরা ঝামেলা করছে। তাই আপনি একটু তাদের নিয়ে বসার ব্যবস্থা করেন। তার পরই আমি আরডিও শফিকুল ইসলামের অনুরোধে আমার অফিসে ওই সাংবাদিকদের ডাকি। আলোচনা শেষে সাংবাদিকেরা আমার অফিস থেকে চলে যান।