ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার অভিযানে ট্রাক চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার ০১ কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু তানোর-বায়া সড়কের ২ টি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ খুলছে না নতুন ব্রিজের রাস্তা  নকলায় সংবর্ধিত হলেন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতি গ্রস্তদের পাশে ব্যারিস্টার মামুন, ফায়ার সার্ভিস করে দেওয়ার আশ্বাস চুরির অপবাদ দিয়ে ব্রাহ্মণপাড়ায় এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত কুমিল্লা মিরপুর সড়ক চার লেনে উন্নীত করার দাবীতে মানববন্ধন বৈষম্যহীন ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই -মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল ১২ দোকান পুড়ে ছাই ব্রাহ্মণপাড়ার অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি  ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ভাইরাল মোশারফ হোসেন ওরফে আলভিসহ ০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২।

ফাহিম বয়াতী হত্যাকাণ্ড: চার দিনেও মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি, বাউফলে বিক্ষোভ-মিছিল

ফাহিম বয়াতী হত্যাকাণ্ড: চার দিনেও মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি, বাউফলে বিক্ষোভ-মিছিল

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
বাউফলের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতী (১৯) হত্যাকাণ্ডের চার দিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত শাকিল ও সোহাগকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার (৫ জুলাই) নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসীরা নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এবং অভিযুক্ত শাকিলকে ‘গাঁজাখোর’ বলে মন্তব্য করায় ফাহিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা জানান, ঘটনার পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত গ্রেফতার না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ফাহিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই ঘটনায় ফাহিমের বাবা জাকির হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় এক অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সবাই বাউফলের হলেও ঘটনাস্থল দশমিনা থানার আওতাধীন হওয়ায় মামলাটি সেখানে দায়ের হয়েছে। আমরা দশমিনা থানাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।”
দশমিনা থানার ওসি আবদুল আলীম যমুনা টেলিভিশনকে জানান, “মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি—শাকিল ও সোহাগ—কে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। খুব শিগগিরই তারা আইনের আওতায় আসবে।”
নিহতের পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, ফাহিমের পরিবার ও সহপাঠীরা আশঙ্কা করছেন, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রভাবের কারণে গ্রেফতার হচ্ছে না। দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার অভিযানে ট্রাক চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার ০১

ফাহিম বয়াতী হত্যাকাণ্ড: চার দিনেও মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি, বাউফলে বিক্ষোভ-মিছিল

আপডেট সময় ০৪:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
বাউফলের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতী (১৯) হত্যাকাণ্ডের চার দিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত শাকিল ও সোহাগকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার (৫ জুলাই) নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসীরা নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এবং অভিযুক্ত শাকিলকে ‘গাঁজাখোর’ বলে মন্তব্য করায় ফাহিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা জানান, ঘটনার পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত গ্রেফতার না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ফাহিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই ঘটনায় ফাহিমের বাবা জাকির হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় এক অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সবাই বাউফলের হলেও ঘটনাস্থল দশমিনা থানার আওতাধীন হওয়ায় মামলাটি সেখানে দায়ের হয়েছে। আমরা দশমিনা থানাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।”
দশমিনা থানার ওসি আবদুল আলীম যমুনা টেলিভিশনকে জানান, “মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি—শাকিল ও সোহাগ—কে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। খুব শিগগিরই তারা আইনের আওতায় আসবে।”
নিহতের পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, ফাহিমের পরিবার ও সহপাঠীরা আশঙ্কা করছেন, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রভাবের কারণে গ্রেফতার হচ্ছে না। দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।