ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক 

ফাহিম বয়াতী হত্যাকাণ্ড: চার দিনেও মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি, বাউফলে বিক্ষোভ-মিছিল

ফাহিম বয়াতী হত্যাকাণ্ড: চার দিনেও মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি, বাউফলে বিক্ষোভ-মিছিল

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
বাউফলের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতী (১৯) হত্যাকাণ্ডের চার দিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত শাকিল ও সোহাগকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার (৫ জুলাই) নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসীরা নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এবং অভিযুক্ত শাকিলকে ‘গাঁজাখোর’ বলে মন্তব্য করায় ফাহিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা জানান, ঘটনার পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত গ্রেফতার না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ফাহিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই ঘটনায় ফাহিমের বাবা জাকির হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় এক অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সবাই বাউফলের হলেও ঘটনাস্থল দশমিনা থানার আওতাধীন হওয়ায় মামলাটি সেখানে দায়ের হয়েছে। আমরা দশমিনা থানাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।”
দশমিনা থানার ওসি আবদুল আলীম যমুনা টেলিভিশনকে জানান, “মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি—শাকিল ও সোহাগ—কে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। খুব শিগগিরই তারা আইনের আওতায় আসবে।”
নিহতের পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, ফাহিমের পরিবার ও সহপাঠীরা আশঙ্কা করছেন, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রভাবের কারণে গ্রেফতার হচ্ছে না। দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

ফাহিম বয়াতী হত্যাকাণ্ড: চার দিনেও মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি, বাউফলে বিক্ষোভ-মিছিল

আপডেট সময় ০৪:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
বাউফলের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতী (১৯) হত্যাকাণ্ডের চার দিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত শাকিল ও সোহাগকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার (৫ জুলাই) নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসীরা নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এবং অভিযুক্ত শাকিলকে ‘গাঁজাখোর’ বলে মন্তব্য করায় ফাহিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা জানান, ঘটনার পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত গ্রেফতার না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ফাহিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই ঘটনায় ফাহিমের বাবা জাকির হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় এক অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সবাই বাউফলের হলেও ঘটনাস্থল দশমিনা থানার আওতাধীন হওয়ায় মামলাটি সেখানে দায়ের হয়েছে। আমরা দশমিনা থানাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।”
দশমিনা থানার ওসি আবদুল আলীম যমুনা টেলিভিশনকে জানান, “মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি—শাকিল ও সোহাগ—কে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। খুব শিগগিরই তারা আইনের আওতায় আসবে।”
নিহতের পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, ফাহিমের পরিবার ও সহপাঠীরা আশঙ্কা করছেন, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রভাবের কারণে গ্রেফতার হচ্ছে না। দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।