নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরা বিনতে মারুফ (পুলি)’কে সাভার থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৪।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযান, ভিমটিক উদ্ধারের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতোমধ্যে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক, র্যাব-৪ এর নির্দেশনায় সিপিসি-২, সাভার এর একটি আভিযানিক দল ২৯ জুন ২০২৫ তারিখ রাতে সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত নিখোঁজ শিক্ষার্থী মাহিরা বিনতে মারুফ (পুলি)’কে উদ্ধার করেছে।
মাহিরা বিনতে মারুফ পুলি ছিলেন, এইচএসসি-২০২৫ এর পরীক্ষার্থী। তার বাসা রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এবং পরীক্ষা কেন্দ্র ছিলো মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ। তিনি মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ সেন্টারে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রবিবার সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান। ওই দিন দুপুর ১টার মধ্যে তার পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্রে খোঁজ নিতে যান।
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারেন, তিনি ওই দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিতই হননি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও দিনভর মাহিরা’কে না পেয়ে তার পরিবার ডিএমপির গুলশান বিভাগের ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ইতিমধ্যে তার নিখোঁজ হওয়ার খবরটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হলে র্যাব উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং সাভার এলাকায় ভিকটিমের অবস্থান নির্ণয় করে অভিযান পরিচালনা করে।
উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, গত ২৯ জুন ২০২৫ তারিখ তার এইচএসসি পরীক্ষা ছিলো। সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ সেন্টারে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর পরই একজন মহিলা তার সাথে কথা বলতে আসে, কথা বলার এক পর্যায়ে মহিলা চেতনা নাকশ কিছু দ্রব্য তার নাকের সামনে ধরলে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায় এর পরে সে আর কিছু মনে করতে পারে না।
জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে একটি রুমের ভিতরে আবিষ্কার করে। একই সময়ে সিপিসি-২, সাভার এর একটি আভিযানিক দল মেয়েটির সম্ভাব্য অবস্থান সাভার এলাকায় নিশ্চিত করে এবং অভিযান পরিচালনার জন্য মেয়েটির অবস্থানরত এলাকায় যায়। ভিকটিম অজ্ঞাত বাসায় বেশ কিছুসময় অতিবাহিত হওয়ার পরে সুকৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। র্যাবের টহল দল তখন ভিকটিমের সুনির্দিষ্ট অবস্থান নির্ণয় করে তাকে উদ্ধার করে এবং হেফাজতে নেয়।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে প্রাথমিক আইনি কার্যক্রম শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।