ঢাকা , রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে ছাত্রশিবিরের সাথী শিক্ষা বৈঠক–২০২৫ অনুষ্ঠিত বরিশালে ছাত্রশিবিরের সাথী শিক্ষা বৈঠক–২০২৫ অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় বিএনপির যাচাই-বাছাই কমিটিতে আ. লীগের লোক, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ব্রাহ্মণপাড়ায় রাস্তা ধসে পুকুরে বিলীন হওয়ার শঙ্কা বোয়ালখালীতে সিএনজি ইয়াবাসহ যুবক আটক  ব্রাহ্মণপাড়ায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ — ড. রেজাউল করিম হিজলা থানায় সুধী সমাবেশ ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। বরিশালে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত।  ময়নামতির ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধিতে ময়নামতি স্কুল এন্ড কলেজকে গড়ে তুলা হবে : দিদারুল আম

বর্ষা এলেই বাড়ে রাণীশংকৈলে ছাতা কারিগরদের কদর 

বর্ষা এলেই বাড়ে রাণীশংকৈলে ছাতা কারিগরদের কদর 

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ বষার্কাল এলেই আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুমাস প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত না হলেও এখন থেমে থেমে, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এসময়ে ঘরের বাইরে বের হলেই প্রথমেই সঙ্গে নিতে হয় ছাতা। সেই ছাতা যদি ব্যবহারে ফুটো কিংবা ভাঙ্গা হয় তখনই বিপত্তি। আর এই বিপত্তির কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাই ছুঁটে ছাতা মেরামতকারী কারিগরদের কাছে।
কিন্তু ছাতা মেরামতকারীরা বছরের অন্যান্য সময় কেউ করে না। দাম কম হওয়ায় ছাতা নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই আর মেরামত ও করতে চান না। দাম কম থাকাই অনেকেই আবার নতুন ছাতা কিনে নেয়। পূর্বে কাঠের হাতাওয়ালা ছাতার প্রচলন ছিল। গ্রামের লোকেরা ওই ছাতা ব্যবহার করতো। সেই ছাতাও তৈরি হতো। কিন্তু এখন আর সেইদিন নেই। কাঠের ছাতার কারিগরদের দুর্দিন চলছে। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।
তবে বর্ষায় ভরসা এসব কারিগরদের এখন সুদিন। বছরের অন্য সময়ে ছাতা মেরামতের কাজ না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। জেলার বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক হাট রয়েছে যেমন, শনিবার কাতিহার বাজারে দেখা হয় আমজুয়ান গ্রামের কারিগর দরিমান আলী’র সাথে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন উপার্জন তাদের একরকম হয়না গত মঙ্গলবার যাদুরাণী হাটে উপার্জন হয়েছিল ৩ হাজার টাকা, বুধবার কলেজ হাটে হয়েছিল ২ হাজার টাকা, আজ শনিবার কাতিহার বাজারে তেমন একটা আয় হয়নি। তবে দিন দিন এই পেশার কারিগররা হারিয়ে যাচ্ছে।


পীরগঞ্জ উপজেলার ছাতা মেরামতকারি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলে ছাতা মেরামতের কারিগর তেমন ছিল না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে এই এলাকায় আসতেন কারিগররা। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে ফুটো কিংবা ভাঙা ছাতা মেরামত করতেন। ছাতার কারিগরদের সারা বছর কদর না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের কদর বাড়ে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই আমাদের এ পেশা আবার বদল করতে হয়।
আমজুয়ান গ্রামের ছাতা মেরামতকারী তমিজ উদ্দিন ও ফইজুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে কাজের চাপ একটু বেড়েছে। আয় মোটামুটি ভালো হলেও অন্য সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হয় বাসায় নয়তো বা অন্য কাজে। যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন ছাতা মেরামতের কাজ থাকে। বাকি দিনগুলোতে অন্য কাজকর্ম করতে হয়। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। তাদের খরচসহ পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পেশায় আমাদের পরে আর পরিবারের কেউ আসবে না।

এ প্রসঙ্গে সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ছাতা মেরামতকারি কারিগরদের স্বল্প সুদে ঋন দিয়ে স্থায়ী ভাবে ব্যবসা চালানোর সহযোগিতা করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে ছাত্রশিবিরের সাথী শিক্ষা বৈঠক–২০২৫ অনুষ্ঠিত

বর্ষা এলেই বাড়ে রাণীশংকৈলে ছাতা কারিগরদের কদর 

আপডেট সময় ০৯:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ বষার্কাল এলেই আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুমাস প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত না হলেও এখন থেমে থেমে, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এসময়ে ঘরের বাইরে বের হলেই প্রথমেই সঙ্গে নিতে হয় ছাতা। সেই ছাতা যদি ব্যবহারে ফুটো কিংবা ভাঙ্গা হয় তখনই বিপত্তি। আর এই বিপত্তির কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাই ছুঁটে ছাতা মেরামতকারী কারিগরদের কাছে।
কিন্তু ছাতা মেরামতকারীরা বছরের অন্যান্য সময় কেউ করে না। দাম কম হওয়ায় ছাতা নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই আর মেরামত ও করতে চান না। দাম কম থাকাই অনেকেই আবার নতুন ছাতা কিনে নেয়। পূর্বে কাঠের হাতাওয়ালা ছাতার প্রচলন ছিল। গ্রামের লোকেরা ওই ছাতা ব্যবহার করতো। সেই ছাতাও তৈরি হতো। কিন্তু এখন আর সেইদিন নেই। কাঠের ছাতার কারিগরদের দুর্দিন চলছে। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।
তবে বর্ষায় ভরসা এসব কারিগরদের এখন সুদিন। বছরের অন্য সময়ে ছাতা মেরামতের কাজ না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। জেলার বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক হাট রয়েছে যেমন, শনিবার কাতিহার বাজারে দেখা হয় আমজুয়ান গ্রামের কারিগর দরিমান আলী’র সাথে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন উপার্জন তাদের একরকম হয়না গত মঙ্গলবার যাদুরাণী হাটে উপার্জন হয়েছিল ৩ হাজার টাকা, বুধবার কলেজ হাটে হয়েছিল ২ হাজার টাকা, আজ শনিবার কাতিহার বাজারে তেমন একটা আয় হয়নি। তবে দিন দিন এই পেশার কারিগররা হারিয়ে যাচ্ছে।


পীরগঞ্জ উপজেলার ছাতা মেরামতকারি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলে ছাতা মেরামতের কারিগর তেমন ছিল না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে এই এলাকায় আসতেন কারিগররা। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে ফুটো কিংবা ভাঙা ছাতা মেরামত করতেন। ছাতার কারিগরদের সারা বছর কদর না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের কদর বাড়ে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই আমাদের এ পেশা আবার বদল করতে হয়।
আমজুয়ান গ্রামের ছাতা মেরামতকারী তমিজ উদ্দিন ও ফইজুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে কাজের চাপ একটু বেড়েছে। আয় মোটামুটি ভালো হলেও অন্য সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হয় বাসায় নয়তো বা অন্য কাজে। যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন ছাতা মেরামতের কাজ থাকে। বাকি দিনগুলোতে অন্য কাজকর্ম করতে হয়। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। তাদের খরচসহ পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পেশায় আমাদের পরে আর পরিবারের কেউ আসবে না।

এ প্রসঙ্গে সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ছাতা মেরামতকারি কারিগরদের স্বল্প সুদে ঋন দিয়ে স্থায়ী ভাবে ব্যবসা চালানোর সহযোগিতা করা হবে।