দৈনিক বরিশালের প্রাণ ডেস্ক : 
রানা ইসলাম, বদরগঞ্জ রংপুরঃ রংপুরের বদরগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে উৎসবমূখর পরিবেশে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে সাবেক সাংসদ ও বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তীর খামারবাড়ি থেকে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা শুরু হয়ে পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে থানাপাড়ার হরিসভায় এসে শেষ হয়।
এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ৭২ পদাতিক বিগ্রেড ৩৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মেজর সানিয়াত দিক নির্দেশনায় পৌরশহরে বিভিন্ন সড়কে যানযট নিরসন ও নিরাপত্তা চাদরে আবদ্ধে রাখেন ক্যাপ্টেন রাকিবুল ইসলাম। রথযাত্রায় যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার নারী পুরুষ ভক্তবৃন্দ। অপরদিকে পৌরসভার যুগিপাড়া থেকে অন্য একটি রথযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এতে অংশ গ্রহন করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের পৌর শাখার সভাপতি খোকন কুমার দাস।রথ যাত্রাটি আবারো ফিরে যান শ্রী শ্রী রাধামাধব জীউ সেবা কুঞ্জনে।
রথযাত্রার উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তীর।
এ সময় ছিলেন, উপজেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক উত্তম কুমার সাহা, সভাপতি, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, রংপুর জেলা।ধনী কুমার কুন্ডু, সভাপতি, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বদরগঞ্জ উপজেলা শাখা।বিশ্বজিত কুমার বিশ্বাস, সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বদরগঞ্জ উপজেলা শাখা।খোকন কুমার দাস, সভাপতি, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বদরগঞ্জ পৌর শাখা।চঞ্চল রায়, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বদরগঞ্জ পৌর শাখা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন, জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথদেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শুভ রথযাত্রা উপলক্ষে বদরগঞ্জে ৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ।
