ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ত্রিশালে নকলমুক্ত পরিবেশ সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বদলগাছী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার থানা পুলিশের হাতে আটক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির নতুন সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ রানীশংকৈলে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত  চরভদ্রাসন বাজারে ফুটপাত ও রাস্তা দখল: চলাচলে চরম ভোগান্তি হিজলায় চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার। হিজলায় এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অনুপস্থিত- ২০ যৌথ অভিযানে সেনা কল্যাণ সংস্থার মালামাল বহনকারী ট্রাকে চাঁদাবাজির ঘটনায় রুজুকৃত মামলার এজাহারনামীয় ০১ জন আসামী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রাক্টর চালকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পরিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেক্স চালু

ব্রাহ্মণপাড়া হাসপাতালের পাশে ময়লার ভাগাড়, ভোগান্তিতে মানুষ

ব্রাহ্মণপাড়া হাসপাতালের পাশে ময়লার ভাগাড়, ভোগান্তিতে মানুষ

মোঃ অপু খান চৌধুরী। ব্রাহ্মণপাড়া মেজর গনি সড়কের পাশে মধুমতী হসপিটালের উত্তরাংশে সরকারি জায়গায় উপরেই ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এসব আবর্জনা পঁচে চারদিকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী ও হাজারো পথচারী। এলাকায় আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশে এবং মধুমতী হসপিটালের উত্তর পাশে সিএনজি স্টেশন করার জন্য সরকারি খাস জায়গায়টি তৎকালীন ইউ এন ও সোহেল রানা এই জায়গাটি প্রস্তুত করেছিলেন। কিছুদিন উক্ত জায়গায় কুমিল্লার সিএনজিগুলো অবস্থান করত। এর পর আবার আগের জায়গায় ফিরে যায় সিএনজি স্টেশনটি। তখন থেকে এই জায়গাটির কোন ধরনের তদারকি না থাকায় হরহামেশাই সাধারণ মানুষ বর্জ্র নিষ্কাশন এবং বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা এই জায়গায় ফেলে ময়লার ভাগাড় তৈরি করেছে।

ব্রাহ্মণপাড়া বাজারের বিভিন্ন আড়ৎ এবং কাঁচা বাজারের সমস্ত অবশিষ্ট বর্জ্য প্রতিদিনই ভ্যান গাড়ি দিয়ে এই জায়গায় ঢালে ও সমস্ত জায়গা জুড়ে ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে এ স্থানটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে।

কথা হয় ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ সঙ্গে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া আলতাফ আলী মার্কেটে আমার দোকান আছে। প্রতিদিন সকালে আমার দোকানে আসতে হয় এবং রাতের বেলা যেতে হয়। ময়লার ভাগাড়ের দক্ষিণ দিকেই মধুমতী হাসপাতাল এ হাসপাতালে প্রতিদিন শতশত রুগী আসে ময়লার ভাগাড়ে কাছে আসলেই দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়। মনে হয় দুর্গন্ধে এই বুঝি বমি এলো। নাক, মুখে কাপড় চেপে কোনমতে এতোটুকু রাস্তা পার হই।

আরেক ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণ বাজার মধুমতী হাসপাতালে পাশে ময়লার ভাগাড় এখন জনদূর্ভোগ হয়ে দাড়িয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়াচ্ছে। দ্রুত ময়লার ভাগাড় এখান থেকে অপসারণ না করলে এখানে ব্যবসা বানিজ্য ও বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়বে। এ ধরণের অভিযোগ হাজার হাজার সাধারণ মানুষের।

ময়লা ফেলতে আশা আবু কালাম জানায়, আমি বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করি, বিভিন্ন মালামাল বিক্রির পর রাতে অবশিষ্ট বর্জ্য গুলো এখানে ফেলে দেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এ সরকারি জায়গাটা দীর্ঘদিন যাবত খোলা পড়ে আছে তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলছি। আমাদের এখানে আশেপাশে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। তাই এখানে খালি জায়গা পেয়ে ময়লা ফেলছি।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো: হাসিবুর রেজা জানান, 
তীব্র গন্ধদূর্ষনের শিকার হলে যেকোন মানুষের মস্তিস্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়তে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাছাড়া শিশু ও বয়স্কদের শ্বাস কষ্টের সমস্যাও হতে পারে। এ ছাড়া এ-ই ভাগাড়ের পাশে রয়েছে একটা প্রাইভেট হাসপাতাল তাই উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে এটা সরানোর দরকার বলে আমি মনে করি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান বলেন, আমি বাজার পরিচালনা কমিটির সাথে কথা বলবো সরকারি খোলা জায়গায় যাতে তাদের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য না ফেলে। আর সরকারি জায়গাতে তো তাদের ময়লা ফেলার কোন এখতিয়ারই নাই।এ ছাড়া আমি জনসাধারণের সুবিধার্থে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিব যেন কেউ এই জায়গায় ময়লা না ফেলতে পারে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ত্রিশালে নকলমুক্ত পরিবেশ সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ব্রাহ্মণপাড়া হাসপাতালের পাশে ময়লার ভাগাড়, ভোগান্তিতে মানুষ

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

মোঃ অপু খান চৌধুরী। ব্রাহ্মণপাড়া মেজর গনি সড়কের পাশে মধুমতী হসপিটালের উত্তরাংশে সরকারি জায়গায় উপরেই ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এসব আবর্জনা পঁচে চারদিকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী ও হাজারো পথচারী। এলাকায় আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশে এবং মধুমতী হসপিটালের উত্তর পাশে সিএনজি স্টেশন করার জন্য সরকারি খাস জায়গায়টি তৎকালীন ইউ এন ও সোহেল রানা এই জায়গাটি প্রস্তুত করেছিলেন। কিছুদিন উক্ত জায়গায় কুমিল্লার সিএনজিগুলো অবস্থান করত। এর পর আবার আগের জায়গায় ফিরে যায় সিএনজি স্টেশনটি। তখন থেকে এই জায়গাটির কোন ধরনের তদারকি না থাকায় হরহামেশাই সাধারণ মানুষ বর্জ্র নিষ্কাশন এবং বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা এই জায়গায় ফেলে ময়লার ভাগাড় তৈরি করেছে।

ব্রাহ্মণপাড়া বাজারের বিভিন্ন আড়ৎ এবং কাঁচা বাজারের সমস্ত অবশিষ্ট বর্জ্য প্রতিদিনই ভ্যান গাড়ি দিয়ে এই জায়গায় ঢালে ও সমস্ত জায়গা জুড়ে ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে এ স্থানটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে।

কথা হয় ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ সঙ্গে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া আলতাফ আলী মার্কেটে আমার দোকান আছে। প্রতিদিন সকালে আমার দোকানে আসতে হয় এবং রাতের বেলা যেতে হয়। ময়লার ভাগাড়ের দক্ষিণ দিকেই মধুমতী হাসপাতাল এ হাসপাতালে প্রতিদিন শতশত রুগী আসে ময়লার ভাগাড়ে কাছে আসলেই দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়। মনে হয় দুর্গন্ধে এই বুঝি বমি এলো। নাক, মুখে কাপড় চেপে কোনমতে এতোটুকু রাস্তা পার হই।

আরেক ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণ বাজার মধুমতী হাসপাতালে পাশে ময়লার ভাগাড় এখন জনদূর্ভোগ হয়ে দাড়িয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়াচ্ছে। দ্রুত ময়লার ভাগাড় এখান থেকে অপসারণ না করলে এখানে ব্যবসা বানিজ্য ও বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়বে। এ ধরণের অভিযোগ হাজার হাজার সাধারণ মানুষের।

ময়লা ফেলতে আশা আবু কালাম জানায়, আমি বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করি, বিভিন্ন মালামাল বিক্রির পর রাতে অবশিষ্ট বর্জ্য গুলো এখানে ফেলে দেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এ সরকারি জায়গাটা দীর্ঘদিন যাবত খোলা পড়ে আছে তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলছি। আমাদের এখানে আশেপাশে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। তাই এখানে খালি জায়গা পেয়ে ময়লা ফেলছি।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো: হাসিবুর রেজা জানান, 
তীব্র গন্ধদূর্ষনের শিকার হলে যেকোন মানুষের মস্তিস্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়তে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাছাড়া শিশু ও বয়স্কদের শ্বাস কষ্টের সমস্যাও হতে পারে। এ ছাড়া এ-ই ভাগাড়ের পাশে রয়েছে একটা প্রাইভেট হাসপাতাল তাই উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে এটা সরানোর দরকার বলে আমি মনে করি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান বলেন, আমি বাজার পরিচালনা কমিটির সাথে কথা বলবো সরকারি খোলা জায়গায় যাতে তাদের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য না ফেলে। আর সরকারি জায়গাতে তো তাদের ময়লা ফেলার কোন এখতিয়ারই নাই।এ ছাড়া আমি জনসাধারণের সুবিধার্থে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিব যেন কেউ এই জায়গায় ময়লা না ফেলতে পারে।