ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড নিল জগন্নাথপুরের স্কুল ছাত্রী। পঞ্চগড় সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে পুশ-ইন, আটক করেছে বিজিবি মুন্সীগঞ্জ লৌহজং হতে ৫০ পিস ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। ময়মনসিংহ বিভাগের এইচএসসি ২০২৫ ইং পরীক্ষায়  ১০৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৭৮,৯৯৪ জন রায়গঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিতরন  কাপাসিয়ায় ভাতিজার হাতে চাচি খুন চাচা ও চাচাত ভাই আহত শেরপুরের নকলা পৌরসভার বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলন রাজশাহীতে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেফতার  রাজশাহীতে ভূমি জরিপ কার্যক্রমকে জনবান্ধব ও স্বচ্ছ করার আহ্বান 

ঢাকা আলিয়া থেকে শুরু, প্রজন্মকে ছুঁয়ে যাওয়া এক চিন্তার কণ্ঠস্বর

ঢাকা আলিয়া থেকে শুরু, প্রজন্মকে ছুঁয়ে যাওয়া এক চিন্তার কণ্ঠস্বর

 

আরিফুল ইসলাম, ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি, বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তা ও সাহিত্যচর্চার একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.)। আজ ২৫ জুন তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী, যিনি ২০১৬ সালে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তিনি জীবন জুড়ে জ্ঞান ও শিক্ষা ছড়িয়ে প্রজন্মের পথে আলোর দিশা দেখিয়েছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ১৯৩৫ সালের ১৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুখিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তিনি ইসলামি জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করেন।

১৯৫১ সালে পাঁচবাগ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম এবং ১৯৫৩ সালে ফাজিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ঢাকায় আলিয়া মাদ্রাসায় হাদিস ও ফিকহে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন।


ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। 
‘সাপ্তাহিক নয়া জামানা’, ‘মাসিক দিশারী’ এবং দৈনিক ‘আজ’-এর ইসলামি পাতা তিনি সম্পাদনা করেছেন।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খান শুধু লেখক ও চিন্তাবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকও। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে ইসলামি ও সামাজিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ করেছেন। পরে তিনি মাসিক মদীনা পত্রিকা প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদনা করে বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তাধারার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তাঁর লেখা ছিল গভীর ও প্রাঞ্জল, যা বাংলা ইসলামি সাহিত্যে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। যদিও তিনি কোনো মাদ্রাসায় স্থায়ী শিক্ষকতা করেননি, তার মাসিক মদীনা পত্রিকা ও অসংখ্য গ্রন্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ পাঠশালা ছিল।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের জীবন ও কর্ম আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তাঁর শিক্ষা ও চিন্তা বাংলা ভাষায় ইসলামি জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ।

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড নিল জগন্নাথপুরের স্কুল ছাত্রী।

ঢাকা আলিয়া থেকে শুরু, প্রজন্মকে ছুঁয়ে যাওয়া এক চিন্তার কণ্ঠস্বর

আপডেট সময় ০৫:০৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

আরিফুল ইসলাম, ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি, বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তা ও সাহিত্যচর্চার একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.)। আজ ২৫ জুন তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী, যিনি ২০১৬ সালে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তিনি জীবন জুড়ে জ্ঞান ও শিক্ষা ছড়িয়ে প্রজন্মের পথে আলোর দিশা দেখিয়েছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ১৯৩৫ সালের ১৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুখিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তিনি ইসলামি জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করেন।

১৯৫১ সালে পাঁচবাগ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম এবং ১৯৫৩ সালে ফাজিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ঢাকায় আলিয়া মাদ্রাসায় হাদিস ও ফিকহে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন।


ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। 
‘সাপ্তাহিক নয়া জামানা’, ‘মাসিক দিশারী’ এবং দৈনিক ‘আজ’-এর ইসলামি পাতা তিনি সম্পাদনা করেছেন।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খান শুধু লেখক ও চিন্তাবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকও। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে ইসলামি ও সামাজিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি ও সম্পাদনার কাজ করেছেন। পরে তিনি মাসিক মদীনা পত্রিকা প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদনা করে বাংলা ভাষায় ইসলামি চিন্তাধারার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তাঁর লেখা ছিল গভীর ও প্রাঞ্জল, যা বাংলা ইসলামি সাহিত্যে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। যদিও তিনি কোনো মাদ্রাসায় স্থায়ী শিক্ষকতা করেননি, তার মাসিক মদীনা পত্রিকা ও অসংখ্য গ্রন্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ পাঠশালা ছিল।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের জীবন ও কর্ম আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তাঁর শিক্ষা ও চিন্তা বাংলা ভাষায় ইসলামি জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ।