অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রজেক্ট’ (এসএসজিপি) কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। এছাড়াও ময়মনসিংহের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, এনজিও প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মূক্ত আলোচনায় উপস্থিত অংশীজনেরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস পণ্য ও প্রবাসীদের উপর নির্ভরশীলতা কমানো, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা যেমন চিংড়ি ও পাটজাত পণ্যের প্রসার, চা রপ্তানির উদ্যোগ, কৃষিজাত পণ্যের টেকসই উৎপাদন ও সংরক্ষণ, টেকসই গ্রাজুয়েশনে কৃষি গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ, ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর ব্যবসায়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টি, মেধাস্বত্ব ও প্যাটেন্ট এবং পরিসংখ্যানের তথ্যের সঠিকটা নিয়ে আলোচনা করেন।
এরপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে আনন্দের। তবে এর সাথে যে চ্যালেঞ্জ আসবে, তা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বাংলাদেশ অতীতেও এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, সকলের সহযোগিতায় এ যাত্রায়ও উতরে যাবে। সরকার চ্যালেঞ্জ প্রশমিতকরণ এবং এলডিসি উত্তরণকে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মসৃণ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের অর্থনৈতিক অবস্থা একসময় ভালো ছিল না উল্লেখ করে বলেন, তারা জাতীয় দৃঢ়তা ও ঐক্যের মাধ্যমে আজ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যেতে পারলে বাংলাদেশও পারবে। এর জন্য দরকার দেশপ্রেম। আগে লক্ষ্য ঠিক করে তারপর সকলে একত্রে সে লক্ষ্যে অগ্রসর হলেই এলডিসি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি উত্তরণ হতে চলেছে এটা আশার সংবাদ। তবে কিছু সুবিধা যেমন শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা, ওষুধে প্যাটেন্ট, ঋণের সুদহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এতে সাময়িকভাবে অসুবিধা হলেও বৃহৎ পরিসরে দেশের জনগণ উপকৃত হবে, জীবনমানের উন্নয়ন হবে। সচেতনতার পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।