রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর : রংপুরে বদরগঞ্জে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন বোর্ডের হাট এলাকায় অবস্হিত কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ সুযোগে কাঁচা মরিচ ব্যাবসায়ীরা কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিতরে কাঁচা মরিচের মজুদ সংরক্ষণ করে। পরে মজুদকরা মরিচ অধিক মুনাফার আশায় ট্রাক যোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বড় বড় শহরে পাঠানো হয়। যত্রতত্র মরিচের ব্যবসায়র ফলে ক্লিনিকের ভিতর বাইরে পরিবেশ শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। এ দৃশ্য দেখে অনেক রোগী কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে যেয়ে ফিরে আসছেন।পরে ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন।
রব্বানী নামে স্হানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, মানুষের চিকিৎসা সেবা নেওয়ার ঘরে যদি কাঁচা মরিচের হাট বসে তাহলে মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে কোথায়। গ্রামের হতদরিদ্র অসহায় মানুষের চিকিৎসা একমাত্র স্হান এই কমিউনিটি ক্লিনিক। সেখানে এত দূরাবস্থা। দেখার কেউ নেই।
বোর্ডের হাট কবিরাজ পাড়া গ্রামের কেরামত আলী বলেন, ক্লিনিকের ভিতরে কাঁচা মরিচের হাট। আমি জীবনে শুনিনি। এটা চরম বেআইনি। উপজেলা হাসপাতালে দায়িত্ব প্রধানরা কি করে। তাদের গুরত্বপূর্ণ বিষয়টি চোখে পড়ে না।
কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিতরে দুজন কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ক্লিনিকের ইনচার্জ হাসানুজ্জামান কে টাকা দিয়ে এখানে কাঁচা মরিচের কেনা বেচা করি।
জাতীয় নাগরিক ঐক্য (এনসিপি) নেতা মাসুদ রানা বলেন, হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে এ দেশ নতুন করে স্বাধীন হলো। এই অনিয়ম দূনীতি দেখার জন্য। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার শেষ ভরসা কমিউনিটি ক্লিনিক। সেখানে মানুষের সেবার পরিবর্তে অবৈধ উৎকোচ বিনিময়ে কাঁচা মরিচের হাট বসতে দিয়েছেন ক্লিনিক কতৃপক্ষ। এটা এক ধরনের দূনীতি। আমি বিষয়টি রংপুরে সিভিল সার্জন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এবিষয়ে ইনচার্জ হাসানুজ্জামান বিষয়টি অস্বীকার করেন। বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ আশেকুল আরেফিন মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।