হিজলা প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলায় গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে চার জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত ও টাকা ছিনতাই এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার সময় উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের চর কুশুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত চান্দু বেপারী (৬০), আনোয়ারা (৫৫), রাশেদা (৫০), শারমিন (১৭) কে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, পাশ্ববর্তী বাড়ির দেলোয়ার বেপারী ছেলে বাবর, ভাগিনা আলম, মেয়ে তাহমিনা, সুরাইয়া ফল পাড়তে গেলে শহীদ শেখের মেয়ে শারমিন সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার, দিন দেলোয়ার বেপারীর ভাগিনা আলম ফল পাড়তে গিয়ে শহীদ শেখের মেয়ে শারমিনের উপর ফল ছুঁড়ে মারে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আলম শারমিনের গায়ে আঘাত করে, পরে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা না করে দেলোয়ার বেপারী,বাবর, তাহমিনা ও সুরাইয়া সংঘর্ষে অংশ নেন। তাদের বেপরোয়া মারপিটের কারনে একই পরিবারের তিন জন গুরুতর আহত হন।
আহত চান্দু বেপারী বলেন, ঘটনায় সময়ে আমি পারিবারিক কাজে বাড়িতে ছিলাম। পাশের বাড়ির শহীদ শেখের ঘরের ভিতর থেকে মহিলাদের চিৎকার ও চেঁচামেচির শব্দ শুনে আমি উক্ত স্থানে জানতে যাই। আমি যাওয়ার সাথে সাথে দেলোয়ার বেপারী বলে ,তুই কেন এখানে আইছোস? বলেই শুক্ত কাঠের গুঁড়ি দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করলে আমি জ্ঞান শূন্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।
আহত শহীদ শেখের মেয়ে শারমিন জানান, আমি ও আমার মা সকালে বাড়ির কাজ করছিলাম, দেলোয়ার বেপারী ছেলে, মেয়ে ও ভাগিনা ফল পাড়তে এসে আমার গায়ে ফল ছুঁড়ে মারে। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে আমাদের ঘরে ঢুকে আমাদেরকে উপর্যুপরি মারধর করে ও এবং আমাদের গরু বিক্রির (এক লক্ষ) টাকা ড্রয়ার ভেঙে দেলোয়ার বেপারীর ভাগিনা আলম নিয়ে যায়। আমরা খুবই গরীব মানুষ। আমাদের টাকা ও মারামারির সঠিক বিচার চাই। এই ব্যাপারে দেলোয়ার বেপারী সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ হিজলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সত্যতা স্বীকার করে হিজলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন মামলার আসামি একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকীদের ধরার চেষ্টা চলছে।