ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহী নগরীর বিনোদপুরে অজ্ঞাত মৃত নারীর সন্ধান চায় মতিহার থানা পুলিশ  জগন্নাথপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংর্ঘষ: নিহত ১, আহত ২০ জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভার প্রস্তুতি সভা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষীকি: নগরীর কাজলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দ্যোগে পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ  নান্দাইলে আম ও জাম কুড়াতে গিয়ে পুকুরে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু নীরবে আলো ছড়ানো ভাসমান হাসপাতাল কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা পাড়ে জীবন তরী      বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও নারীদের রেসিপি প্রতিযোগিতা ত্রিশালে জিয়াউর রহমান’র শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল প্রতারণার শিকার রাজশাহীর সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ীরা ১৬ বছরেও দোকান বুঝে পাননি  রাজশাহীর আমের হাটে বৃষ্টির প্রভাব ক্ষতির মুখে আম ব্যবসায়ীরা 

ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীহীন মাদ্রাসায় লাখ টাকার বেতন তোলার অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীহীন মাদ্রাসায় লাখ টাকার বেতন তোলার অভিযোগ

 

মো. সুমন হাসান বাপ্পি (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কাদিহাট বেগুনবাড়ি দাখিল মাদ্রাসায় নেই কোনো শিক্ষার্থী, নেই নিয়মিত পাঠদানও। তবে কাগজে-কলমে দেখানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, আর সেই দেখানো তালিকার ভিত্তিতে প্রতি মাসে উত্তোলন করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা বেতন ও ভাতা। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

জরাজীর্ণ মাদ্রাসা, নেই পাঠদানের পরিবেশ স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে কার্যত কোনো শিক্ষার্থী নেই। শ্রেণিকক্ষগুলো দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এমনকি ছাদের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তা কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভুয়া উপস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ, সুপার সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষার্থীদের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দকৃত বেতন-ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করে আসছেন। এছাড়াও ভুয়া ভোটার দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, কাগজপত্রে জালিয়াতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

মাদ্রাসার কয়েকজন সাবেক শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এসব অনিয়ম সম্পর্কে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও প্রশাসন থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিভাবকদের ক্ষোভ স্থানীয় অভিভাবক মো. দরমিয়াল ও আমিরু ইসলাম বলেন, “মাদ্রাসাটিতে অনেক ভয়াবহ অবস্থা কোনো ছাত্র নেই। অথচ সুপার প্রতিনিয়ত কাগজে ছাত্র দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন। আমরা চাই তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।”

সুপারের বক্তব্য অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মাদ্রাসাটি সচল রয়েছে, কিছু সমস্যা আছে, তবে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করছি।”

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া রাণীশংকৈল উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, “ আজ বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায়  তদন্ত অভিযানে  আমি দেখি অনেক বিষয়ে  গরমিল রয়েছে কি অবস্থা ভালো না। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি সচেতন এলাকাবাসীর মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে এই ধরনের দুর্নীতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। তারা দ্রুত তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

শেষ কথা: একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রয়োজন দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী নগরীর বিনোদপুরে অজ্ঞাত মৃত নারীর সন্ধান চায় মতিহার থানা পুলিশ 

ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীহীন মাদ্রাসায় লাখ টাকার বেতন তোলার অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

মো. সুমন হাসান বাপ্পি (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কাদিহাট বেগুনবাড়ি দাখিল মাদ্রাসায় নেই কোনো শিক্ষার্থী, নেই নিয়মিত পাঠদানও। তবে কাগজে-কলমে দেখানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, আর সেই দেখানো তালিকার ভিত্তিতে প্রতি মাসে উত্তোলন করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা বেতন ও ভাতা। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

জরাজীর্ণ মাদ্রাসা, নেই পাঠদানের পরিবেশ স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে কার্যত কোনো শিক্ষার্থী নেই। শ্রেণিকক্ষগুলো দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এমনকি ছাদের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তা কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভুয়া উপস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ, সুপার সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষার্থীদের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দকৃত বেতন-ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করে আসছেন। এছাড়াও ভুয়া ভোটার দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, কাগজপত্রে জালিয়াতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

মাদ্রাসার কয়েকজন সাবেক শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এসব অনিয়ম সম্পর্কে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও প্রশাসন থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিভাবকদের ক্ষোভ স্থানীয় অভিভাবক মো. দরমিয়াল ও আমিরু ইসলাম বলেন, “মাদ্রাসাটিতে অনেক ভয়াবহ অবস্থা কোনো ছাত্র নেই। অথচ সুপার প্রতিনিয়ত কাগজে ছাত্র দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন। আমরা চাই তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।”

সুপারের বক্তব্য অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মাদ্রাসাটি সচল রয়েছে, কিছু সমস্যা আছে, তবে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করছি।”

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া রাণীশংকৈল উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, “ আজ বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায়  তদন্ত অভিযানে  আমি দেখি অনেক বিষয়ে  গরমিল রয়েছে কি অবস্থা ভালো না। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি সচেতন এলাকাবাসীর মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে এই ধরনের দুর্নীতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। তারা দ্রুত তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

শেষ কথা: একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রয়োজন দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত।