ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহী নগরীর বিনোদপুরে অজ্ঞাত মৃত নারীর সন্ধান চায় মতিহার থানা পুলিশ  জগন্নাথপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংর্ঘষ: নিহত ১, আহত ২০ জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভার প্রস্তুতি সভা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষীকি: নগরীর কাজলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দ্যোগে পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ  নান্দাইলে আম ও জাম কুড়াতে গিয়ে পুকুরে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু নীরবে আলো ছড়ানো ভাসমান হাসপাতাল কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা পাড়ে জীবন তরী      বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও নারীদের রেসিপি প্রতিযোগিতা ত্রিশালে জিয়াউর রহমান’র শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল প্রতারণার শিকার রাজশাহীর সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ীরা ১৬ বছরেও দোকান বুঝে পাননি  রাজশাহীর আমের হাটে বৃষ্টির প্রভাব ক্ষতির মুখে আম ব্যবসায়ীরা 

ধর্ষণ মামলার আসামী মোহন মিয়া র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার।

ধর্ষণ মামলার আসামী মোহন মিয়া র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ধর্ষণ মামলার আসামী মোহন মিয়া (৩৫) কেরাণীগঞ্জে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

গত ০৭/১০/২০১০ তারিখে ভিকটিম (২৯) এর সাথে আসামী মো: মোহন মিয়া (৩৫) দেনমোহর ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধার্য্য করে কাবিনমূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর ভিকটিম তার স্বামীর পরিবারের সাথে বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর শনির আখড়াতে বসবাস শুরু করেন।

একপর্যায়ে ভিকটিম ও তার পরিবারের সহযোগীতায় স্বামী মোহন গত ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম ইরাকে ও পরবর্তীতে ২০১৬ সালে গ্রিসে গমন করে। ভিকটিমের স্বামী এক পর্যায়ে গত ০৭/০২/২০২৫ তারিখে দেশে ফিরে এসে তাদের বর্তমান ঠিকানায় স্বামী-স্ত্রী রুপে বসবাস শুরু করেন। ভিকটিমের স্বামী মোহন গোপনে তালাক দেয় এবং এই বিষয়টি প্রতারণার মাধ্যেমে ভিকটিমের নিকট কার্যকর করে প্রতারণামূলক ভিকটিমকে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে আসামীর পরিবারের সাথে বসবাস করতে থাকে।

গত ১৮/০৩/২০২৫ তারিখ আসামী যৌন উত্তেজক ও নেশা জাতীয় ঔষুধ সেবন করে আসামীর বর্তমান বাসায় এসে রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও মারধর করে।

ভিকটিম এর প্রতিবাদ করলে আসামী মোহন ভিকটিমকে তালাক দিয়েছে মর্মে জানায়, এবং গত ০১/০৩/২০২৪ তারিখের তালাকের নোটিশের ছবি ভিকটিমকে দেখায়। পরবর্তীতে ভিকটিমসহ তার পরিবারের লোকজন আসামীর কাছে তালাকের কারণ জানতে চান। কিন্তু আসামী কোনো কারণ না বলে ভিকটিমকে মারধর করে এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মামলা নং- ৬৭, তারিখ- ২২/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/০৩) এর ৯(১) রুজু হয়।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধর্ষণে জড়িত আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র‌্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৮/০৫/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমান ১২.৪০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০, এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার নজরগঞ্জ বটতলার ঈদগাহ মাঠ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মোহন মিয়া (৩৫), পিতা- মোঃ মোসলেম মিয়া, সাং- ভেলানগর, থানা- বাঞ্চারামপুর, থানা- বাঞ্চারামপুর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী নগরীর বিনোদপুরে অজ্ঞাত মৃত নারীর সন্ধান চায় মতিহার থানা পুলিশ 

ধর্ষণ মামলার আসামী মোহন মিয়া র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার।

আপডেট সময় ০৭:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ধর্ষণ মামলার আসামী মোহন মিয়া (৩৫) কেরাণীগঞ্জে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

গত ০৭/১০/২০১০ তারিখে ভিকটিম (২৯) এর সাথে আসামী মো: মোহন মিয়া (৩৫) দেনমোহর ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধার্য্য করে কাবিনমূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর ভিকটিম তার স্বামীর পরিবারের সাথে বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর শনির আখড়াতে বসবাস শুরু করেন।

একপর্যায়ে ভিকটিম ও তার পরিবারের সহযোগীতায় স্বামী মোহন গত ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম ইরাকে ও পরবর্তীতে ২০১৬ সালে গ্রিসে গমন করে। ভিকটিমের স্বামী এক পর্যায়ে গত ০৭/০২/২০২৫ তারিখে দেশে ফিরে এসে তাদের বর্তমান ঠিকানায় স্বামী-স্ত্রী রুপে বসবাস শুরু করেন। ভিকটিমের স্বামী মোহন গোপনে তালাক দেয় এবং এই বিষয়টি প্রতারণার মাধ্যেমে ভিকটিমের নিকট কার্যকর করে প্রতারণামূলক ভিকটিমকে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে আসামীর পরিবারের সাথে বসবাস করতে থাকে।

গত ১৮/০৩/২০২৫ তারিখ আসামী যৌন উত্তেজক ও নেশা জাতীয় ঔষুধ সেবন করে আসামীর বর্তমান বাসায় এসে রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও মারধর করে।

ভিকটিম এর প্রতিবাদ করলে আসামী মোহন ভিকটিমকে তালাক দিয়েছে মর্মে জানায়, এবং গত ০১/০৩/২০২৪ তারিখের তালাকের নোটিশের ছবি ভিকটিমকে দেখায়। পরবর্তীতে ভিকটিমসহ তার পরিবারের লোকজন আসামীর কাছে তালাকের কারণ জানতে চান। কিন্তু আসামী কোনো কারণ না বলে ভিকটিমকে মারধর করে এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মামলা নং- ৬৭, তারিখ- ২২/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/০৩) এর ৯(১) রুজু হয়।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধর্ষণে জড়িত আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র‌্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৮/০৫/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমান ১২.৪০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০, এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার নজরগঞ্জ বটতলার ঈদগাহ মাঠ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মোহন মিয়া (৩৫), পিতা- মোঃ মোসলেম মিয়া, সাং- ভেলানগর, থানা- বাঞ্চারামপুর, থানা- বাঞ্চারামপুর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।