নিজস্ব প্রতিবেদক
জামায়াতে ইসলামী নবী- রাসূলগণের আদর্শে দেশকে ন্যায়-ইনসাফভিক্তিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি আজ বিকালে রাজধানীর পল্লবীতে হীড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মাঠে পল্লবী মধ্য থানা জামায়াত আয়োজিত এক সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর রইসুল ইসলাম পবনের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি জোবায়ের হোসাইন রাজনের পরিচালনায় সম্মেলনের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা-১৬ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কর্নেল (অব:) এম আব্দুল বাতেন ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন রুপনগর থানা আমীর আবু হানিফ, পল্লবী উত্তর থানা আমীর মাওলানা সাইফুল কাদের, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমীর আশরাফুল আলম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসলাম একটি কালজয়ী ও শাস্বত জীবনাদর্শ। মানবজীবনের সকল সমস্যার সকল সমস্যার সমাধান ইসলামের রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন অন্য সব দ্বীনের ওপর দ্বীনে হক্ব তথা ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য । মূলত, জামায়াতের ইসলামী এদেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার করে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে চায়। আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে সমাজে সততা, যোগ্যতা ও তাক্বওয়া অনুযায়ি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব প্রদান করা হবে। সেখানে কোন ধর্ম, মত ও পথকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না বরং সকল ক্ষেত্রে সততা, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতাই হবে যোগ্যতার মানদণ্ড। জামায়াত চায় মানুষ তাদের মনের কথা নির্বিঘ্নে এবং স্বাধীনভাবে বলুক এবং সকল ক্ষেত্রে সুবিচার ও ইনসাফ নিশ্চিত হোক। সকল শ্রেণির নাগরিকের মধ্যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও পারস্পারিক আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠা হোক।
তিনি বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে অতীতের মত এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।অতিতে জামায়াতে ইসলামীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের অপবাদ দিয়ে সাবেক আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, অর্থনীতিবিদ মীর কাশেম আলী, প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শহীদ করা হয়েছে। ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিলো। সময়ের ব্যবধানে তারা এখন দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখন তারা পরাজয় সইতে না পেরে আবার ভারতের চক্রান্তে বাংলাদেশে ফিরে আসার অপকৌশল চালাচ্ছে। তাদেরকে এদেশের মানুষ কোন ভাবেই আর মেনে নিবে না বরং যেকোন মূল্যে তাদের আগমনকে প্রতিহত করবে।
মহানগরী আমীর প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি শহীদের রক্তের পথ ধরেই দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন। তাই শহীদ পরিবারের সাথে কথা না বলে আপনি যেতে পারে না। আপনার সাথেই দেশের সিংহভাগ মানুষ রয়েছে’। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই উপদেষ্টাদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং প্রধান উপদেষ্টার টাইম ফ্রেমের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। এখানে যদি, কেন ও কিন্তুর কোন সুযোগ নেই। তিনি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান করার পর অতি দ্রুততার সাথে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।