ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য সালাউদ্দিনসহ ০২ সহযোগীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার  চান্দিনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, নারীসহ ৫ মাদকসেবী কে সাজা দেওয়া হয়। বাকৃবিতে নির্বাচন ছাড়াই ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতি গঠন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বৈষম্য নিরসনে এমপিও‌ ভুক্ত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন -প্রভাষক ওমর ফারুক  গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মোল্লার বরখাস্ত ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী’র মৃত্যুতে প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া মিলাদ ১৪০০ পিস ইয়াবা সহ নারী ব্যবসায়ী গ্রেফতার ত্রিশালে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শেরপুরের ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

‎হোসেনপুরে কোরবানীর জন্য চাহিদার চেয়ে বেশি প্রস্তুত গবাদিপশু।

‎হোসেনপুরে কোরবানীর জন্য চাহিদার চেয়ে বেশি প্রস্তুত গবাদিপশু।


‎মাহফুজ রাজা, স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কোরবানির প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু ১১,৭৬৬টি।

উপজেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১০,৩৯২টি। অর্থাৎ, চাহিদার তুলনায় গবাদিপশু অতিরিক্ত রয়েছে। ফলে এ বছর হোসেনপুরে স্থানীয় পর্যায়েই পশুর চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

‎উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, গত বছর হোসেনপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল ১১,২৮১টি এবং চাহিদা ছিল ৯,৮৯৭টি। সেই তুলনায় এবছর পশুর সংখ্যা এবং চাহিদা উভয়ই বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে খামারির সংখ্যাও। বর্তমানে উপজেলায় নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা ২,১১৬ জন, যা গতবছর ছিল ২,০৮৭ জন।

‎স্থানীয় খামারিরা বলছেন, সরকারি পরামর্শ ও সেবার কারণে গরু মোটাতাজাকরণ অনেক সহজ হয়েছে। এবার যদি বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়, তাহলে তারা আগামীতেও আরও বড় পরিসরে খামার গড়ে তুলবেন।

তবে, কয়েকজন খামারী অভিযোগ করে বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। যেমন ভূষি, খুদ, চাল ও ভুট্টার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। যে কারণে গবাদিপশু পালনে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের।

‎প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ উপজেলায় এ বছর দেশীয় জাতের গরু মোটাতাজাকরণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খামারগুলোতে হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান ক্রস ও শাহীওয়াল জাতের উন্নত গরুও দেখা যাচ্ছে। এসব গবাদিপশু সুস্থ ও মানসম্পন্ন হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।

‎উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. উজ্জল হোসাইন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই খামারিদের প্রশিক্ষণ,ভেটেরিনারি চিকিৎসা ও নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি। কোরবানির আগে প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং রোগমুক্ত নিশ্চিত করেই বাজারজাত করা হবে।’

তিনি আরও বলেন,‘খামারিদের নিরাপদ পশু প্রস্তুতের বিষয়ে সচেতন করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রচার, পরামর্শ এবং ভেটেরিনারি সেবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদের সময় পশুর হাটগুলোতে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন ও ভ্রাম্যমাণ টিম গঠিত হবে।’

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য সালাউদ্দিনসহ ০২ সহযোগীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

‎হোসেনপুরে কোরবানীর জন্য চাহিদার চেয়ে বেশি প্রস্তুত গবাদিপশু।

আপডেট সময় ০৮:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫


‎মাহফুজ রাজা, স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কোরবানির প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু ১১,৭৬৬টি।

উপজেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১০,৩৯২টি। অর্থাৎ, চাহিদার তুলনায় গবাদিপশু অতিরিক্ত রয়েছে। ফলে এ বছর হোসেনপুরে স্থানীয় পর্যায়েই পশুর চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

‎উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, গত বছর হোসেনপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল ১১,২৮১টি এবং চাহিদা ছিল ৯,৮৯৭টি। সেই তুলনায় এবছর পশুর সংখ্যা এবং চাহিদা উভয়ই বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে খামারির সংখ্যাও। বর্তমানে উপজেলায় নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা ২,১১৬ জন, যা গতবছর ছিল ২,০৮৭ জন।

‎স্থানীয় খামারিরা বলছেন, সরকারি পরামর্শ ও সেবার কারণে গরু মোটাতাজাকরণ অনেক সহজ হয়েছে। এবার যদি বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়, তাহলে তারা আগামীতেও আরও বড় পরিসরে খামার গড়ে তুলবেন।

তবে, কয়েকজন খামারী অভিযোগ করে বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। যেমন ভূষি, খুদ, চাল ও ভুট্টার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। যে কারণে গবাদিপশু পালনে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের।

‎প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ উপজেলায় এ বছর দেশীয় জাতের গরু মোটাতাজাকরণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খামারগুলোতে হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান ক্রস ও শাহীওয়াল জাতের উন্নত গরুও দেখা যাচ্ছে। এসব গবাদিপশু সুস্থ ও মানসম্পন্ন হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।

‎উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. উজ্জল হোসাইন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই খামারিদের প্রশিক্ষণ,ভেটেরিনারি চিকিৎসা ও নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি। কোরবানির আগে প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং রোগমুক্ত নিশ্চিত করেই বাজারজাত করা হবে।’

তিনি আরও বলেন,‘খামারিদের নিরাপদ পশু প্রস্তুতের বিষয়ে সচেতন করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রচার, পরামর্শ এবং ভেটেরিনারি সেবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদের সময় পশুর হাটগুলোতে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন ও ভ্রাম্যমাণ টিম গঠিত হবে।’