মো নাহিদুর রহমান শামীম : হত্যা ও কিছু মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এমপি ও কন্ঠ শিল্পী মমতাজ আজ দুপুরে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ ও আদালত-৩ এ উঠানো হয়।
এর আগে, সকাল সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশি প্রিজনভ্যানে করে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজ বেগমকে আনা হলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা মমতাজের ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন এবং “ফাঁসি চাই” দাবিতে স্লোগান দেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, “আমি সারাক্ষণ তার পাশে ছিলাম, আমার গায়েও ডিম লেগেছে।” দুটি মামলায় পৃথক রিমান্ড
সিঙ্গাইর হত্যা মামলা : ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর স্থানীয় মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আজ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ মমতাজ বেগমের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হরিরামপুর হামলা মামলা : হরিরামপুর উপজেলায় বসতবাড়িতে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন গত ৩০ অক্টোবর একটি মামলা করেন। এই মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হত্যা মামলার বাদীর আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান বলেন, “জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন মমতাজ। মানিকগঞ্জবাসী তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। তিনি অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করি।”
মমতাজ বেগম এর আগে, রাজধানীর মিরপুরে দায়ের করা সাগর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। সেই রিমান্ড শেষে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। আজ তাকে মানিকগঞ্জে এনে নতুন দুটি মামলার শুনানি শেষে মোট ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পৃথক শুনানিতে এই আদেশ দেন বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর ও আইভি আক্তার।