ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১৪ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গৌরীপুরে সাংবাদিকদের কলম বিরতি ১৩ মাসে কোরআনে হাফেজ হলেন ৮ বছরের শিশু সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের মাদক বিরোধী অভিযানে ১২ জন মাদক বিক্রেতাকে মাদকসহ গ্রেপ্তার। বার বার অপরাধের হোতা তালার চিহ্নিত নারী প্রতারক মিতা কয়রায় আটক যশোরের শার্শায় তক্ষকসহ দুইজন আটক বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ঔষধ, কসমেটিক্স সামগ্রী, মাদকদ্রব্য এবং চকলেট আটক করেছে বিজিবি   বদরগঞ্জে ৬ মাস বিদ্যালয়ে যাননি আওয়ামীলীগ নেতা শিক্ষক শাহনেওয়াজ, নিয়মিত বেতন তুলছেন।  নওগাঁর বদলগাছীতে দেরিতে স্কুলে আসায় শিক্ষককে শোকজ  তানোরে প্লাষ্টিক সংগ্রহ ও বর্জন অভিযান মাধবপুরে দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির বির্তক প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত

ভেঙে পড়ল জগন্নাথপুরের ডাকবাংলো সেতুর রেলিং।

ভেঙে পড়ল জগন্নাথপুরের ডাকবাংলো সেতুর রেলিং।

 

মাসুম আহমদ। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতুর রেলিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ফলে মারাত্মক ঝুঁকির দিয়ে সেতু দিয়ে যানচলাচল করছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে নদীর পশ্চিম দিক থেকে মোটরসাইকেল যোগে দুই যুবক সেতু পার হচ্ছিলেন। এসময় সেতুতে যানজটের সৃষ্টি হয়। জটে আটকে যাওয়া বাইকটি বের করার সময় রেলিংয়ে চাপ পড়লে মুর্হুতেই সেতুর একাংশের রেলিং ভেঙে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুহেল আহমদ বলেন, সদরের খাদ্যগুদামের পুরোনো সেতুটি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে নদীর দুই পারের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি। এমনতেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সেতুর করুণ দশা। এরমধ্যে রেলিং ভেঙে যাওয়ায় এখন মরার উপর খারার ঘার মতো অবস্থা। সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা কবির মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জরার্জীণ জোরাতালির এসেতু দিয়ে উপজেলার পূর্বপাড় থেকে পশ্চিমপারে একমুখী যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও প্রতিনিয়ম বিপরীদ দিক থেকে মোটরসাইকেল চলাচল করে আসছে। এতে যানজটের পাশের ঝুঁকি আরো বাড়ছে। দেখার যেন কেউ নেই।

 

এলাকাবাসি ও স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয় সুত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে এলাকাবাসি ও ব্যবসায়ীদের টাকায় একই নদীর ওপর ডাক বাংলো সেতুর নির্মাণ শুরু হলেও ১৯৯৬ সালে এলজিইডি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কাজ শেষ হয়। ২০২২ সালে ১৭ মার্চ নদী খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতু দেবে যাওয়ায় ১১ মাস যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে এলজিইডি ও জগন্নাথপুর পৌরসভা উদ্যোগে সেতুর  ক্ষতিগ্রস্ত অংশে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করা হয়।

 

অপর দিকে ১৯৮৭ সালে উপজেলার নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খাদ্য গুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বিগত সরকারের আমলে পুরোনো এ সেতুটি ভেঙে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে ২৩ সালের ২৬ মার্চ আর্চ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান  সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর থেকে নির্মাণ কাজ শুর হয়। কাজটি পান কিশোরগঞ্জের ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাটি বাংলা এন্টারপ্রাইজ। গত বছরের এপ্রিল মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, টিকাকারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ চলছে ধীরগতিতে।

 

এ সেতুর পাশে ওই সময় বিকল্প হিসেবে হেলিপ্যাড এলাকায় একটি বেইলি সেতু তৈরী করা হলেও এটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বর্ষা এলেই সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে যানচলাচল। তখনই চলাচলের একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠে ডাকবাংলোর ঝুঁকিপূর্ণ সরু সেতুটি।

 


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোরবার হোসেন জানান, 
ডাকবাংলোর সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষনিক কয়েকটি বাঁশ দিয়ে বেরা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এসেতু নতুন করে নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছি। আশার করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে। অপর দিকে খাদ্যগুদামের সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামি আগষ্ট সেতুর ওপেন করে দেওয়া বলে তিনি জানান।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

১৪ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গৌরীপুরে সাংবাদিকদের কলম বিরতি

ভেঙে পড়ল জগন্নাথপুরের ডাকবাংলো সেতুর রেলিং।

আপডেট সময় ১১:৪৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

মাসুম আহমদ। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতুর রেলিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ফলে মারাত্মক ঝুঁকির দিয়ে সেতু দিয়ে যানচলাচল করছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে নদীর পশ্চিম দিক থেকে মোটরসাইকেল যোগে দুই যুবক সেতু পার হচ্ছিলেন। এসময় সেতুতে যানজটের সৃষ্টি হয়। জটে আটকে যাওয়া বাইকটি বের করার সময় রেলিংয়ে চাপ পড়লে মুর্হুতেই সেতুর একাংশের রেলিং ভেঙে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুহেল আহমদ বলেন, সদরের খাদ্যগুদামের পুরোনো সেতুটি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে নদীর দুই পারের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি। এমনতেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সেতুর করুণ দশা। এরমধ্যে রেলিং ভেঙে যাওয়ায় এখন মরার উপর খারার ঘার মতো অবস্থা। সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা কবির মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জরার্জীণ জোরাতালির এসেতু দিয়ে উপজেলার পূর্বপাড় থেকে পশ্চিমপারে একমুখী যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও প্রতিনিয়ম বিপরীদ দিক থেকে মোটরসাইকেল চলাচল করে আসছে। এতে যানজটের পাশের ঝুঁকি আরো বাড়ছে। দেখার যেন কেউ নেই।

 

এলাকাবাসি ও স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয় সুত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে এলাকাবাসি ও ব্যবসায়ীদের টাকায় একই নদীর ওপর ডাক বাংলো সেতুর নির্মাণ শুরু হলেও ১৯৯৬ সালে এলজিইডি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কাজ শেষ হয়। ২০২২ সালে ১৭ মার্চ নদী খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতু দেবে যাওয়ায় ১১ মাস যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে এলজিইডি ও জগন্নাথপুর পৌরসভা উদ্যোগে সেতুর  ক্ষতিগ্রস্ত অংশে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করা হয়।

 

অপর দিকে ১৯৮৭ সালে উপজেলার নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খাদ্য গুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বিগত সরকারের আমলে পুরোনো এ সেতুটি ভেঙে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে ২৩ সালের ২৬ মার্চ আর্চ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান  সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর থেকে নির্মাণ কাজ শুর হয়। কাজটি পান কিশোরগঞ্জের ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাটি বাংলা এন্টারপ্রাইজ। গত বছরের এপ্রিল মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, টিকাকারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ চলছে ধীরগতিতে।

 

এ সেতুর পাশে ওই সময় বিকল্প হিসেবে হেলিপ্যাড এলাকায় একটি বেইলি সেতু তৈরী করা হলেও এটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বর্ষা এলেই সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে যানচলাচল। তখনই চলাচলের একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠে ডাকবাংলোর ঝুঁকিপূর্ণ সরু সেতুটি।

 


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোরবার হোসেন জানান, 
ডাকবাংলোর সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষনিক কয়েকটি বাঁশ দিয়ে বেরা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এসেতু নতুন করে নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছি। আশার করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে। অপর দিকে খাদ্যগুদামের সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামি আগষ্ট সেতুর ওপেন করে দেওয়া বলে তিনি জানান।