লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ টানা কয়েক মাস ধরে অনাবৃষ্টির ফলে শুকিয়ে যাওয়া চা গাছ গুলো বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নতুন সবুজ পত্র পল্লবে ভরে উঠেছে চা বাগান। চিরসবুজ রুপ ফিরে পেয়েছে চায়ের রাজ্য।3 যেন চারদিকে সবুজের সমারোহ। চা গাছের নতুন কচি পাতা তোলার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে চা কন্যারা।
এসব কচি পাতা থেকে সবচেয়ে ভালো মানের চা উৎপাদনের জন্য কারখানায় কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। মাধবপুর উপজেলার পাঁচটি চা বাগান ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকেরা আসছেন চায়ের রাজ্যের অপরুপ দৃশ্য উপভোগ করতে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বিলকিস আক্তার তিনি বলেন, রমজান মাসে ঘুরতে এসেছিলাম, তখন গাছ গুলোতে পাতা ছিল না। তেমন ভালো লাগেনি। আজকে এখানে এসে খুব ভাল লাগছে. মনে হচ্ছে কেউ সবুজ একটা কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে।
সুরমা চা বাগানের টিলা বাবু কাজী দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছর শীতের শুরুতে নভেম্বর মাসে চা বাগানে প্রুনি শুরু হয়। এসময় বাগানের চা গাছগুলো একটি নির্দিষ্ট মাপে ছেটে দেওয়া হয়। মার্চ থেকে ক্লোনিং বা পাতা উত্তোলন শুরু হয়।
এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় গাছে নতুন পাতা তেমন ছিল না বৃষ্টির পরে গাছে নতুন পাতা আসায় কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে চা বাগান সংশ্লিষ্ট সবাই। তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ফেক্টরি বাবু আব্দুল ওয়াহেদ জানান, নতুন পাতা আসায় চা বাগানের কারখানাগুলোতে কাজের চাপ বাড়ছে ধিরে ধিরে। জুন জুলাই মাসে এই চাপ আরও বাড়বে। এখন উৎপাদিত চায়ের মান খুবই ভালো, তাই ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। গত পরশু শ্রীমঙ্গলে চায়ের নিলামে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে উৎপাদিত চা সর্বোচ্চ চারশো টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।