ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজস্থলীতে সিএনজি-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ২ মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের উলিপুরে সংবাদ সম্মেলন যেনতেন একটা নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণের উপরে আবার জুলুমতন্ত্র চালু হবে সেটা হতে দেয়া হবে না : অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল  বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আব্দুল মন্নানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  মঠবাড়িয়ায় বিএনপির সদস্য ফরম বাছাই নিয়ে ছাত্রদল বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ – ৫ জন আহত পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বিক্ষোভের পর কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ‎ রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয়া কে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের ক্ষোভ ভোলা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি’র উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন রবির হলে পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে নবীন শিক্ষার্থীরা

বিজয়নগর সীমান্তে পুশ-ইনের চেষ্টা, নিরাপত্তা জোরদার

 বিজয়নগর সীমান্তে পুশ-ইনের চেষ্টা, নিরাপত্তা জোরদার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নলগড়িয়া ও নোয়াবাদী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতটি ছিল ভিন্ন এক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।

গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আশঙ্কা করা হয়, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দরের পাশের গেট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে প্রায় ১৫০ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানোর (পুশ-ইন) চেষ্টা হতে পারে। তথ্যটি হাতে পেয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয় নজরদারি, চালানো হয় রাতভর ত্রিস্তর বিশিষ্ট টহল।

অপর দিকে, পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। গ্রামের প্রত্যন্ত অলিগলি জেগে ওঠে সতর্কতার সূরে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিজিবির কঠোর তৎপরতা ও মাইকিংয়ের কারণে এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে সতর্ক প্রহরী হিসেবে অবস্থান নেয়।

 নলগড়িয়ার বাসিন্দা আনিস মিয়া বলেন, “রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ মসজিদের মাইক বেজে ওঠে। বলা হয় সীমান্তে সতর্ক থাকতে। আমরা তখনই বুঝি কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।” পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার ভিডিও ক্লিপ। এতে জনমনে আরও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়।

২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ বলেন, “আমরা সবসময় সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকাটিতে পুশ-ইনের আশঙ্কা থাকায় আমরা আগেভাগেই কড়া নজরদারি শুরু করি। আপাতত কোনো অনুপ্রবেশ ঘটেনি, তবে আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান ও স্থানীয় জনগণের সচেতনতা এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।  বিজয়নগরের আকাশে-বাতাসে বৃহস্পতিবার রাতে শুধু সতর্কতা নয়, ছিল এক অনন্য সাহসিকতার গল্প।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজস্থলীতে সিএনজি-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ২

বিজয়নগর সীমান্তে পুশ-ইনের চেষ্টা, নিরাপত্তা জোরদার

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নলগড়িয়া ও নোয়াবাদী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতটি ছিল ভিন্ন এক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।

গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আশঙ্কা করা হয়, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দরের পাশের গেট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে প্রায় ১৫০ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানোর (পুশ-ইন) চেষ্টা হতে পারে। তথ্যটি হাতে পেয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয় নজরদারি, চালানো হয় রাতভর ত্রিস্তর বিশিষ্ট টহল।

অপর দিকে, পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। গ্রামের প্রত্যন্ত অলিগলি জেগে ওঠে সতর্কতার সূরে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিজিবির কঠোর তৎপরতা ও মাইকিংয়ের কারণে এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে সতর্ক প্রহরী হিসেবে অবস্থান নেয়।

 নলগড়িয়ার বাসিন্দা আনিস মিয়া বলেন, “রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ মসজিদের মাইক বেজে ওঠে। বলা হয় সীমান্তে সতর্ক থাকতে। আমরা তখনই বুঝি কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।” পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার ভিডিও ক্লিপ। এতে জনমনে আরও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়।

২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ বলেন, “আমরা সবসময় সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকাটিতে পুশ-ইনের আশঙ্কা থাকায় আমরা আগেভাগেই কড়া নজরদারি শুরু করি। আপাতত কোনো অনুপ্রবেশ ঘটেনি, তবে আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান ও স্থানীয় জনগণের সচেতনতা এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।  বিজয়নগরের আকাশে-বাতাসে বৃহস্পতিবার রাতে শুধু সতর্কতা নয়, ছিল এক অনন্য সাহসিকতার গল্প।